বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকতমলুক মহকুমার কোলাঘাট পুরাতন বাজারের শ্রীজীব গাঙ্গুলী, পাশের গ্রাম পাইকপাড়ীর সঙ্গীতা পাল। সামাজিক মতে ধুমধামের সাথেই বিবাহ সম্পন্ন হয় সোমবার। এনারা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিবাহের পরদিন বৃ…
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক
তমলুক মহকুমার কোলাঘাট পুরাতন বাজারের শ্রীজীব গাঙ্গুলী, পাশের গ্রাম পাইকপাড়ীর সঙ্গীতা পাল। সামাজিক মতে ধুমধামের সাথেই বিবাহ সম্পন্ন হয় সোমবার। এনারা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিবাহের পরদিন বৃক্ষরোপণ সেরেই নিজগৃহে বধূবরণে অংশ নেবেন। সেইমত মঙ্গলবার সকালে রূপনারায়ণের পাড়ে নৈসর্গিক শোভার মাঝে গৌরাঙ্গ ঘাটে কৃষ্ণচূড়া ও ঝাউগাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপণে অংশ নিলেন। গৌরাঙ্গ ঘাটে স্বেচ্ছাশ্রমে রক্ষনাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত বিশ্বনাথ দাস জানান এই নব দম্পতি পঞ্চাশটি গাছ বড় করে তোলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি যা যা করা দরকার তার জন্য সাধ্যমত সহযোগিতা করেছেন এবং করবেন বলে কথা দিয়েছেন। বিবাহের সাজে স্বজ্জিত পরিবেশপ্রেমী পাত্রপাত্রী দুজনেই জানিয়েছেন,নির্মল সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে সারা বিশ্বজুড়ে সবুজায়নের প্রয়াস চলছে, আমাদের নতুন জীবন শুরুর আগে এই বৃক্ষরোপণে সামিল হয়ে সাধ্যমত সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছিমাত্র। এই বিবাহবেশে আমরা যেমন সবার শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ প্রার্থী, পাশাপাশি আমরাও কামনা করি সবুজে ভরে উঠুক যত অনাথ জমি। আগামীর জন্য বাসযোগ্য করে তুলতে ধরণী হয়ে উঠুক সবুজে সবুজে সবুজময়। নববধূর এই প্রয়াস এলাকার পরিবেশপ্রেমী মানুষ জন সাধুবাদ জানিয়েছেন। পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার্থে আরো যাতে এরকম প্রয়াস নববধূদের মধ্যে আসে তার আহ্বান জানান।