দেবাঞ্জন দাস: বৈদ্যুতিকরণ এবং বিকল্প শক্তির উৎসের লক্ষ্যে ভারতীয় রেল কাজ করছে। ভোপালে আয়োজিত গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট ২০২৫-এ বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তাদের সম্বোধন করে একথা জানিয়েছেন রেল, তথ্য ও সম্প্রচার এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রয…
দেবাঞ্জন দাস: বৈদ্যুতিকরণ এবং বিকল্প শক্তির উৎসের লক্ষ্যে ভারতীয় রেল কাজ করছে। ভোপালে আয়োজিত গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট ২০২৫-এ বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তাদের সম্বোধন করে একথা জানিয়েছেন রেল, তথ্য ও সম্প্রচার এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
রেলভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হল, ভারতীয় রেলে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসা। একইসঙ্গে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে ভারতীয় রেলে ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পূর্ণ করা। তিনি বলেন, ভারতীয় রেল পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তিক্ষেত্রের ওপর জোর দিয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে ইতিমধ্যে ১৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। এই প্রতিশ্রুতিকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলতে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য আজ মধ্যপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও তিনি জানান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, মধ্যপ্রদেশ সরকার রেওয়া আলট্রা মেগা সোলার পাওয়ার লিমিটেডের মাধ্যমে ভারতীয় রেলকে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
রাজ্যে রেলের উন্নয়নের জন্য মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব সক্রিয়
ভূমিকা পালন করেছেন। এরজন্য তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতীয় রেল পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সার্বিকভাবে লজিস্টিক খরচ কমাতে এবং তেল আমদানী হ্রাস করার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই দৃষ্টিভঙ্গির অঙ্গ হিসেবে রেল সৌর, বায়ু এবং পারমাণবিক শক্তির মতো অ-জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এক্ষেত্রে ভারতীয় রেলকে সাহায্য করার জন্য সব রাজ্যকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। চলতি অর্থবর্ষে মধ্যপ্রদেশের রেলক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য ১৪,৭৪৫ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, রাজ্যের নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিমন্ত্রী রাকেশ শুক্লা উপস্থিত ছিলেন।