নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর .... রক্তের গ্রীষ্মকালীন সংকট কিছুটা হলেও মেটাতে এবং 'রক্তদান জীবন দান' এই মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শনিবারস্টেট এগ্রিকালচারাল টেকনোলজিস্টস সার্ভিস এসোসিয়েশন বা সাটসা-এর উদ্যোগে ' কৃষি ভব…
নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর .... রক্তের গ্রীষ্মকালীন সংকট কিছুটা হলেও মেটাতে এবং 'রক্তদান জীবন দান' এই মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শনিবার
স্টেট এগ্রিকালচারাল টেকনোলজিস্টস সার্ভিস এসোসিয়েশন বা সাটসা-এর উদ্যোগে ' কৃষি ভবনে' অনুষ্ঠিত হলো একটি রক্তদান শিবির।
এই শিবিরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত কৃষি দপ্তরের আধিকারিক, কর্মীবৃন্দ ও পরিবারের সদস্যরা এবং কৃষি দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত শুভানুধ্যায়ী মানুষজন অংশগ্রহণ করেন। মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়ে এদিন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রক্তদানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন রক্তদাতারা। এদিনের শিবিরে ৭০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন।
শিবিরে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা রানী মাইতি, এম কে ডি এর চেয়ারম্যান বিধায়ক দীনেন রায়, অতিরিক্ত জেলা শাসক ড.গোবিন্দ হালদার, সাটসা-র রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক গৌতম মন্ডল,সাটসার জেলা সভাপতি সন্তোষ কুমার জানা, জেলা সম্পাদক ড.অনুপ কুমার সামন্ত অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ ও পুর্ব মেদিনীপুর থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।রক্ত সংগ্রহ করেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্লাড সেন্টার কর্তৃপক্ষ। সভাধিপতি প্রতিভা রানী মাইতি বলেন, 'আমাদের সমাজে এখনো অনেক মানুষ প্রয়োজনীয় রক্তের অভাবে প্রাণ হারান। এই ধরনের উদ্যোগ সেই সংকট মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ'।
খড্গপুরের বিধায়ক ,এম কে ডি এ -এর চেয়ারম্যান, বিধানসভার কৃষি স্ট্যান্ডিং সদস্য দীনেন রায় বলেন , "কৃষি আধিকারিকদের সংগঠন সাটসা কৃষকদের উন্নত মানের প্রযুক্তি, সার বীজ ও পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি যে বৃহত্তর সমাজের কথা ভেবে এই ধরনের রক্তদান শিবির আয়োজন করেছেন তার জন্য সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই "। উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন সাটসা পশ্চিম মেদিনীপুরের সন্তোষ কুমার জানা।
আয়োজক সংস্থার সভাপতি সন্তোষ কুমার জানা বলেন, 'এদিন শতাধিক রক্তদাতা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে ৭০ জনের রক্ত নেওয়া হয়।'
সবুজায়নের বার্তা দিতে রক্ত দাতাদের হাতে সার্টিফিকেট ও একটি করে চারাগাছ তুলে দেওয়া হয়।
শিবিরে অনেকেই এই প্রথম রক্তদান করলেন।
আয়োজক সংস্থা পশ্চিম মেদিনীপুরের সম্পাদক ড. অনুপ সামন্ত বলেন, "মানুষের বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য আগামী দিনেও আরো বৃহৎ পরিসরে এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করব।"
এই রক্তদান শিবির সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবতার অনন্য নজির হয়ে রইলো।