নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর ......পৃথিবী তার কক্ষপথে সাড়ে ৬৬° কোণে হেলে অবস্থান করার কারণে সূর্য রশ্মি কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে মকরক্রান্তি রেখার মধ্যে লম্বভাবে কিরণ দেয়। ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর নিরক্ষরেখার উপর এবং ২১ জুন কর্কট…
নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর ......পৃথিবী তার কক্ষপথে সাড়ে ৬৬° কোণে হেলে অবস্থান করার কারণে সূর্য রশ্মি কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে মকরক্রান্তি রেখার মধ্যে লম্বভাবে কিরণ দেয়।
২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর নিরক্ষরেখার উপর এবং ২১ জুন কর্কটক্রান্তি রেখা ও ২২ ডিসেম্বর মকরক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। গত ২১ জুন সূর্য রশ্মি কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দিয়েছিল। প্রসঙ্গত ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের ঠিক মাঝ বরাবর কর্কটক্রান্তি রেখার অবস্থান। তাই ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গেও কর্কটক্রান্তি রেখার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গুলিতে ২১ জুন তারিখে সূর্য রশ্মি লম্বভাবে কিরণ দেয়। তবে তা সর্বত্র নয়।
মেদিনীপুরের অক্ষাংশ ২২ ডিগ্রি ৪২ মিনিট উত্তর। তাই মেদিনীপুরে ছায়াহীন অবস্থা পরিলক্ষিত হয় বছরের দু'দিন- ১৮ জুন ও ২৪ জুন। তবে ১৬-১৮ এবং ২৪-২৬ জুনও মেদিনীপুরে এই অবস্থা পরিলক্ষিত হবে। যা 'ছায়াহীন মূহুর্ত' নামে পরিচিত। মেদিনীপুর শহরের নিকটেই রয়েছে এলাহিয়া হাই মাদ্রাসা (উঃ মাঃ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে পাঠরত ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে 'ছায়াহীন মূহুর্ত' বোঝানো হয়। এবং ২৪ জুন ঠিক বেলা ১২টায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে সূর্য রশ্মির লম্বভাবে কিরণ ও ছায়াহীন অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। মাদ্রাসার ভূগোল বিষয়ক সহশিক্ষক নরসিংহ দাস বিষয়টি ছাত্র ছাত্রীদের বোঝানোর জন্য, কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করান এবং বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করেন। এইভাবে ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ভিত্তিক পাঠদান উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত ২১ জুন তারিখেও তিনি এই দিবসের গুরুত্ব শ্রেণিকক্ষে আলোচনা করেন। নরসিংহ দাস বলেন, বছরের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো এইভাবে পাঠদান করালে ছাত্রছাত্রীদের বুঝতে সুবিধা হবে। নরসিংহ দাস বাবুর এই উদ্যোগে খুশি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সেক নূর আলম।