অরুণ কুমার সাউ,তমলুক,পূর্ব মেদিনীপুর : তাম্রলিপ্ত রাজময়দানে রবিবার সকালে হল আদি তাম্রলিপ্ত সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির খুঁটি পুজা।পুজোর আনুষ্ঠানিক পর্ব হিসেবে খুঁটি পূজার মাধ্যমে শুভ সূচনা হয়।
উৎসব ছাড়া বাঙালির জীবন কেমন জানি…
অরুণ কুমার সাউ,তমলুক,পূর্ব মেদিনীপুর :
তাম্রলিপ্ত রাজময়দানে রবিবার সকালে হল আদি তাম্রলিপ্ত সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির খুঁটি পুজা।পুজোর আনুষ্ঠানিক পর্ব হিসেবে খুঁটি পূজার মাধ্যমে শুভ সূচনা হয়।
উৎসব ছাড়া বাঙালির জীবন কেমন জানি অসম্পূর্ণ বলেই মনে হয়। তাইতো বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্বণ হলো দুর্গাপুজো। সাধারণত রথের দিন থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গোৎসবের অপেক্ষার শুরু হয় বাংলার নানা প্রান্তে। তাই এই পুজোর জন্য সারাটা বছর ধরে দিন গুনতে থাকেন প্রায় প্রত্যেক বাঙালি। জেলার বিভিন্ন প্রান্তিক ছোট কিংবা বড় বিভিন্ন পূজার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে।
কলকাতার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের ইতিহাস বিজড়িত রাজবাড়ীর ময়দানে রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত হলো দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজো। এবছর এই পুজো ১৯ তম বর্ষে পদার্পণ করলো।
পুজোর কয়েকটা দিন মেলার আয়োজন করা হয় । ইতিহাস বিজড়িত এই তমলুক শহরের রাজবাড়ির প্রাচীন পুজোর ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলে এই পুজো, বিগত কয়েক বছর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ,এ বছরও মুখ্যমন্ত্রী পুজোর উদ্বোধন করার জন্য এমনটাই জানান আদি তাম্রলিপ্ত সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক তথা তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়।
তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ীর প্রাচীনতম পুজো। আগে রাজবাড়ির ভেতরে হতো। বর্তমানে সবার জন্য উন্মুক্তভাবে রাজবাড়ীর সামনে মাঠে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। তমলুক শহরবাসী সবাই মিলে এই পুজো উপভোগ করে। অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে মিলনমেলার পরিবেশে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। আজ ১১টি ঢাকের বাদ্যি, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হলো দুর্গাপুজোর প্রস্তুতির নতুন যাত্রা। সম্পূর্ণ সাবেকিয়ানা পুজোরীতি এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
আদি তাম্রলিপ্ত সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের সদস্য দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় বলেন, এই পুজো সমগ্র শহরবাসীর পুজো। বিগত বছরগুলোতে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন আশা আছে এ বছরও তিনি এই পুজোর উদ্বোধন করবেন। পুজোতে অষ্টমী এবং নবমীতে পুণ্যার্থীদের জন্য ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থা থাকে। প্রতিদিনই নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে।
এদিনের এই খুঁটিপূজা অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান ছাড়া উপস্থিত ছিলেন তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান লিনা মাভৈ রায় সহ একাধিক কাউন্সিলর ও পুজো কমিটির সদস্য সদস্যরা। খুঁটি পূজা উপলক্ষে সমস্ত মানুষদের মিষ্টিমুখ করানো হয় পুজো কমিটির তরফ থেকে।