অরুন কুমার সাউ, তমলুক : ভোট আসে ভোট যায়, সঙ্গে থাকে প্রতিশ্রুতির বন্যা। কিন্তু ভোট শেষ হলে সবাই ভুলে যায়। বাঁশের সাঁকো বিপজ্জনক ভগ্ন অবস্থা, সংস্কারের দাবি ছাত্র- ছাত্রী ও এলাকাবাসীর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের শহীদ মাতঙ্গি…
অরুন কুমার সাউ, তমলুক : ভোট আসে ভোট যায়, সঙ্গে থাকে প্রতিশ্রুতির বন্যা। কিন্তু ভোট শেষ হলে সবাই ভুলে যায়। বাঁশের সাঁকো বিপজ্জনক ভগ্ন অবস্থা, সংস্কারের দাবি ছাত্র- ছাত্রী ও এলাকাবাসীর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের অন্তর্গত কিয়াখালী গ্রামের সেচ খালের ওপর বর্তমান বাঁশের সাঁকো বেহাল অবস্থা হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন বেশ কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ। কিয়াখালী গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই সাঁকোর উপর নির্ভর করে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাতায়াত করতে হয় ।এই সাঁকো পেরিয়েই কিয়াখালি, নয়াবসান, নারায়ণদাড়ি, দামোদরপুর, আস্তারা গ্রামের মানুষ হাট বাজার অন্যান্য জায়গায় যায়। হেঁটে গেলও সাঁকো টলমল করে। আর সাইকেল কিংবা বাইকে চেপে যাওয়া যায় না। মাঝ অংশ জলে মিশে যাওয়ার মত অবস্থা। কিন্তু এই পথ ছাড়া আর অন্য রাস্তাই বা কোথায়? তাই বাধ্য হয়ে প্রাণ হাতে করে এক প্রকার বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলে যাতায়াত।
পাশে কাঠের সাঁকো কয়েক বছর হয়ে গেল ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে আছে। ওই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুল ছাত্র-ছাত্রী,অসুস্থ রোগী এবং অফিস যাত্রীরা যাতায়াত করেন।গ্রামবাসীর অভিযোগ, ভোটের সময় বহু নেতা-নেত্রী আসেন, প্রতিবারই কথা দেন সাঁকোটি তৈরি হবে, ভোট শেষে আর কারওর দেখা পাওয়া যায় না। এলাকায় ওই সেচ খালের দু’ধারে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। কিন্তু পুরানো কাঠের সেতুর বেহাল অবস্থা এবং বাঁশের সাঁকো একেবারে বেহাল অবস্থা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। দীর্ঘদিনের এই সমস্যার অবসান কবে ঘটবে,সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। ওই গ্রামের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বিকাশ মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সাঁকো বেহাল অবস্থায় থাকার ফলে যাতাযাতে ভীষণ অসুবিধা হয়। সাধারণ মানুষকে পায়ে হেঁটে ও মোটরবাইক নিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়।