অরুণ কুমার সাউ, তমলুক: তমলুক থানার অন্তর্গত চিয়াড়া গ্রামে সাড়ে সাত বছর আগে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়দান ১৯ জুলাই নির্ধারিত ছিল। ও দিন আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলার রায়দান পিছিয়ে বৃহস্পতিবার …
অরুণ কুমার সাউ, তমলুক: তমলুক থানার অন্তর্গত চিয়াড়া গ্রামে সাড়ে সাত বছর আগে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়দান ১৯ জুলাই নির্ধারিত ছিল। ও দিন আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলার রায়দান পিছিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার আবার বিচার কার্য শুরু হলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পকসো আদালত নির্দিষ্ট প্রমাণের অভাবে আসামিকে বেকসুর খালাস ঘোষনা করা হয়।
২০১৭ সালে চিয়াড়া গ্রামের এক নাবালিকা হঠাৎ নিখোঁজ হয়। পরদিন গ্রামের একটি মাঠে খড়িবন থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, এবং ময়নাতদন্তে প্রকাশ পায়—তাকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষদের প্রতিবাদ, মানববন্ধন ও আন্দোলনের ফলে প্রশাসন সক্রিয় হয় এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করে। গত সাড়ে সাত বছর ধরে চলেছে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ, বিচার প্রক্রিয়া ও শুনানি। অবশেষে রায়দান চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার সেই বহুল প্রতীক্ষিত রায় ঘোষণা হয়।
এই রায়ে নিহত নাবালিকার পরিবার সহ অনেকেই হতাশ ও ক্ষুব্ধ। ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় চিয়াড়া এবং গোটা সমাজ অপেক্ষা করে ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করে- পুলিশের চরম গাফিলতি, সরকারি উদাসীনতা ও বিচারকের সঠিক মুল্যয়নের অভাবে অভিযুক্ত বেকসুর খালাস হয়ে গেলো।ন্যায় বিচারের গর্ভপাত হলো। গরীব পরিবার কোনো বিচার পেলো না এই প্রায় সাড়ে সাত বছর লড়াই চালিয়েও। আগামী দিনে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলে পরিবারের পক্ষ থেকে।