অরুন কুমার সাউ, কোলাঘাট: গত কয়েকদিন ধরে চলছে অবিরাম বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টির আবহাওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের কানাইচক গ্রামে চার দিন আগে সর্বানী জানার বাড়ির সামনে দেখা মেলে ১.৫ কেজি ওজনের একটি বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ। আর এই কচ্ছ…
অরুন কুমার সাউ, কোলাঘাট: গত কয়েকদিন ধরে চলছে অবিরাম বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টির আবহাওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের কানাইচক গ্রামে চার দিন আগে সর্বানী জানার বাড়ির সামনে দেখা মেলে ১.৫ কেজি ওজনের একটি বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ। আর এই কচ্ছপ উদ্ধারের পর কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না।অনেকেই চেয়েছেলেন কেটে খেয়ে নেওয়ার জন্য।সর্বানী দেবী ভেবেছিলেন বাড়ির কাছাকাছি কোন জলাশয়ে ছেড়ে দেবেন, আবার প্রশ্ন জাগে যদি জলাশয় থেকে আবার উঠে আসে কেউ না কেউ ধরে খেয়ে নেবে। সর্বানী দেবী কোনোভাবেই মেরে ফেলতে নারাজ।তাই কোলাঘাটের গৌরাঙ্গঘাটে কচ্ছপটিকে রীতিমতো সিঁদুর মাখিয়ে, ধুপ জ্বালিয়ে পুজো করে রূপনারায়ণ নদে ছেড়ে দেন সর্বানী দেবী।একপ্রকার নবজীবন দান করলেন। বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপকে নদীতে ফিরিয়ে দেওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা সর্বাণী দেবী।
পরিবেশ প্রেমী মধুসূদন পড়িয়া বলেন,“কানাইচক গ্রামের সর্বানী জানার এই মহতী উদ্যোগে বেশ খুশি। কিন্তু কচ্ছপটি কোন প্রজাতির তা বিবেচনা করেই নদীর জলে ছাড়লে ভালো হতো। কারণ মিঠা জলের কচ্ছপ নদীর জলে বেশি দিন বাঁচতে পারবে না" অপরদিকে জীব বিদ্যার শিক্ষক শান্তনু দাশ বলেন, “ বন্যপ্রাণীরা অভিযোজন ঘটাতে সক্ষম হয়। এরা নোনা জল থেকে উঠে গিয়ে মিঠা জলে চলে যেতে পারবে।"