অরুণ কুমার সাউ, তমলুক: প্রচণ্ড গরমের পর টানা কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সেভাবে কোন রক্তদান শিবির হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালের ব্লাড সেন্টারে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার বি…
অরুণ কুমার সাউ, তমলুক: প্রচণ্ড গরমের পর টানা কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সেভাবে কোন রক্তদান শিবির হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালের ব্লাড সেন্টারে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীদের পরিবার রক্ত না পেয়ে হতাশ।
এ বছর গ্রীষ্মকালীন পরিস্থিতিতে গরম ছিল যথেষ্ট। গরম কিছুটা কাটলেও বর্ষার মাঝেই দেখা যাচ্ছে রক্তের সংকট। জেলার মহকুমা হাসপাতালগুলোর বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকের সামান্য সংকট দেখা দিলে সে চাপ এসে পরে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে। বিভিন্ন সময় বেশ কিছু গ্রুপের রক্ত অমিল হয়। সমস্যায় পড়তে হয় রোগী এবং তার পরিজনদের। সে ক্ষেত্রে জরুরী প্রয়োজনে ডোনার বা প্রত্যক্ষ রক্তদাতাই সম্বল।তমলুক ব্লাড সেন্টারের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে রক্তদান শিবির করার জন্য আহ্বান রাখেন। তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারের আধিকারিক তরুণ সিনহা জানান, “গ্রীষ্মকালীন তেমনভাবে কোন সংস্থা বা ক্লাব, সংগঠন রক্তদান শিবির করে উঠতে পারেনি। প্রায় ৮ দিন কোন রক্তদান শিবির হচ্ছে না তমলুক শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। তমলুক শহরকে ঘিরে থাকা নার্সিংহোমের রক্ত চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তার উপর রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তর থেকে আসা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্তের চাহিদা। সব মিলিয়ে সংকট দেখা দেয়। নিরুপায় হয়ে রোগীর পরিবারকে প্রত্যক্ষ রক্তদাতা আনার জন্য আমাদের আবেদন করতে হয়।"
গত কয়েকদিন থেকে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে রক্তের বেশ সংকট দেখা দেয়। সংকট দূর করতে এগিয়ে আসে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সংস্থাটি জরুরী কালীন 'ইন হাউস ব্লাড ডোনেশন' অর্থাৎ সরাসরি ব্লাড সেন্টারে গিয়ে রক্তদান করে রক্তের সংকট দূর করে। সংস্থার আহ্বানে এগিয়ে আসেন বেশ কিছু মানুষ। এদিন তিনজন মহিলা সহ ২৪ জন সরাসরি ব্লাড সেন্টারে রক্তদান করেন। মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্য তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রক্তদান আন্দোলনের কান্ডারী সৌমেন গায়েন বলেন, " মানুষের রক্তের প্রয়োজনে যেকোনো সময় মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। বর্ষাকালীন সময়ে এবং জরুরী কালীন রক্তের প্রয়োজনে ইন হাউস ব্লাড ডোনেশনের মাধ্যমে আমাদের সংস্থা যেমনভাবে এগিয়ে এসেছে। জেলার অন্যান্য সংস্থা গুলো এগিয়ে আসুন তবেই তমলুক ব্লাড সেন্টারে রক্তের সংকট অনেকটা দূর হবে।"