নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয় হিন্দ নগরে রেল আবাসন এলাকায় রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী দীপা মাহাতোকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন তার স্বামী ৩৭ বছ…
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয় হিন্দ নগরে রেল আবাসন এলাকায় রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী দীপা মাহাতোকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন তার স্বামী ৩৭ বছর বয়সী বিক্রম পুত্তা।
সোমবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে সম্ভবত পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে খড়্গপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিমপুরা এলাকায় পি সোনি নামে এক মহিলাকে ১৫ বছর আগে বিয়ে করে বিক্রম, তার চোদ্দ বছরের এক ছেলে এবং ১২ বছরের দুই যমজ মেয়ে রয়েছে । স্বামী স্ত্রী বনিবনা না হওয়ায় প্রায় পাঁচ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দা দীপা মাহাতো কে দ্বিতীয় বিয়ে করে বিক্রম। তাদের তিন বছরের এক মেয়ে রয়েছে। বিক্রম পেশায় গাড়ির চালক। প্রথম স্ত্রী পি সোনির সঙ্গে ফের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী দীপার সাথে বিক্রমের মনোমালিন্য শুরু হয়। প্রায় প্রতিদিন বিক্রম তার প্রথম স্ত্রীর কাছে রাত্রে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরতো।
রবিবার রাতে বিক্রম তার প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে খেতে যায়নি। কেন বিক্রম তার প্রথম স্ত্রীর কাছে খেতে যায় নি তার খোঁজ নেওয়ার জন্য সোমবার সকালেই বিক্রমের প্রথম স্ত্রী পি সোনি বিক্রমের বাড়িতে আসে, বাড়ির দরজা খুলে সে আঁতকে ওঠে, সে দেখে বিছানায় গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় শুয়ে রয়েছে দীপা মাহাতো তার পাশেই রয়েছে তার তিন বছরের মেয়ে। এবং বিক্রম লোহার সিড়িতে ঝুলছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে খড়্গপুর টাউন থানায় ফোন করে বিষয়টি জানায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ দুটি দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। যার ফলে মর্মান্তিক ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিক্রমের প্রথম স্ত্রী পি সোনি জানান কি করে এমন ঘটনা ঘটলো তা ভাবতে পারছি না। ঘটনাটি ভয়ঙ্কর যা নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাস করতে পারছি না বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
খড়গপুর টাউন থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে মৃত দীপার পাশ থেকে একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে, সম্ভবত তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নিশংসভাবে খুন করে বিক্রম আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে ঠিক কি কারণে ওই ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে তাদের তিন বছরের মেয়েটি সুস্থ অবস্থায় রয়েছে।