পূর্ব মেদিনীপুর , তমলুক: অর্গান ডোনেশন বিদেশে যতটা বেশি ভারতবর্ষে ততটাই কম। কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে অর্গান ডোনেশন ক্যাম্প, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, এবং রক্তদান শিবির আয়োজিত হলো তমলুক শহরে।
তমলুক হ্যামিলটন90' গ্রুপ প্র…
পূর্ব মেদিনীপুর , তমলুক: অর্গান ডোনেশন বিদেশে যতটা বেশি ভারতবর্ষে ততটাই কম। কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে অর্গান ডোনেশন ক্যাম্প, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, এবং রক্তদান শিবির আয়োজিত হলো তমলুক শহরে।
তমলুক হ্যামিলটন90' গ্রুপ প্রত্যেক বছর রক্তদান শিবির করে, কিন্তু এবছর রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং অর্গান ডোনেশন ক্যাম্প করে তার একটাই কারণ কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক তমলুক হ্যামিলটন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র চিকিৎসক জয়ন্ত দত্ত বলেন মরণোত্তর দেহদান আমাদের দেশে একটা উপেক্ষিত বিষয়। লোকজনের এই বিষয়ে কোন ধ্যান-ধারণা নেই। পাশাপাশি এই অরগানের অভাবে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। এদের বাঁচানোর একটাই উপায়, কোন সুস্থ ব্যক্তি তার যদি একটি অর্গান দান করেন কিংবা মারা যাওয়ার পরে কোন ব্যক্তি তার অর্গানগুলো দিয়ে গেলেন এই অর্গানগুলো এই অসুস্থ ব্যক্তির দেহে বসালে তারা নবজীবন ফিরে পাবে। এই অর্গান ডোনেশন বাইরের দেশে বেশি, আমাদের দেশে সেই তুলনায় অনেক কম।
আগামী ১৩ ই আগস্ট ওয়ার্ল্ড অর্গান ডোনেশন ডে। কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক পিয়ালী সরকার বলেন "বিদেশে বিশেষ করে স্পেন ও বেলজিয়ামে কোন পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে সেই দেহ সরকারি প্রোপার্টি হয়ে যায়, তাদের আগে থেকে অনুমতি দেওয়া থাকে, যদি দেহ না দিতে ইচ্ছুক হয়, তাহলে আবেদন করতে হয়। সেই ব্যক্তি বা তার পরিবারের যদি কোন অঙ্গের দরকার হয়, সেক্ষেত্রে লাস্ট ইন দ্য লিস্ট হয়ে যাবেন। অন্যান্য দেশে সেই নিয়ম নেই। ভারতবর্ষে পাঁচ লক্ষ অর্গান প্রত্যেক বছর দরকার হয়, এক্ষেত্রে কিছুই জোগাড় করা যায় না এমনটাই বলা যায়, যেটুকু আছে গুজরাট এবং চেন্নাই এ। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার অনেকটাই কম। প্রত্যেক বছর ১৩ ই আগস্ট ওয়ার্ল্ড অর্গান ডোনেশন ডে পালন করা হয়। যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করা কিভাবে অর্গান ডোনেট করতে হয়, এর কি লাভ আছে"।
শনিবার তমলুক শহরের সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে তমলুক হ্যামিলটন 90 গ্রুপের পক্ষ থেকে অর্গান ডোনেশন ক্যাম্প, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায়, তমলুক রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রুতিসারানন্দ জি মহারাজ, কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসকরা এবং তমলুক হ্যামিলটন হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষকরা। এদিন প্রায় কুড়িজন অর্গান ডোনেশন করে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ৩০০ জন, রক্তদান করেন ৫০ জন।