অরুণ কুমার সাউ,খেজুরি : পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরী শহরে শুরু হলো পঞ্চম বর্ষ 'বই পার্বণ' উৎসব। সোমবার নেতাজী পাঠচক্র, যদি জানতে পত্রিকা পরিবার ও খেজুরি ইতিহাস সংরক্ষণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে খেজুরির ইতিহাস সংরক্ষণ সমিতির হলঘরে এ…
অরুণ কুমার সাউ,খেজুরি : পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরী শহরে শুরু হলো পঞ্চম বর্ষ 'বই পার্বণ' উৎসব। সোমবার নেতাজী পাঠচক্র, যদি জানতে পত্রিকা পরিবার ও খেজুরি ইতিহাস সংরক্ষণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে খেজুরির ইতিহাস সংরক্ষণ সমিতির হলঘরে এই উৎসবের শুভ সূচনা হয়। পাঁচ দিনব্যাপী এই আয়োজন চলবে আগামী ২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন খেজুরি ১ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভাশিস ঘোষ। তাঁর উপস্থিতি এবং বক্তব্যে বইয়ের গুরুত্ব ও সংস্কৃতি চর্চার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাঁথি, ভূপতিনগর, নন্দীগ্রাম এবং খেজুরি থানার বহু বিশিষ্ট কবি ও লেখক উপস্থিত ছিলেন।
এই 'বই পার্বণ'-এর প্রধান আকর্ষণ হলো আঞ্চলিক বইয়ের সম্ভার, প্রদর্শনী এবং বিক্রয়। এর পাশাপাশি প্রতিদিন থাকছে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। মূলত স্থানীয় কবি-সাহিত্যিকদের উৎসাহ দিতে এবং আঞ্চলিক সাহিত্যকে সাধারণ পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ। বই পার্বণের প্রথম দিনটি ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন প্রকাশিত হলো তিনটি নতুন গ্রন্থ। রনজিত দাসের আর্নেস্ট হেমিংওয়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দি সি’-এর অনুবাদ ‘বৃদ্ধ ও সমুদ্র’। সুনীল দাসের কাব্যগ্রন্থ ‘তানপুরা’। তনুশ্রী কর জানার কাব্যগ্রন্থ ‘সমুদ্রের কল্লোল’।নবীন প্রতিভাদের উৎসাহ দিতে মেলার প্রথম দিনেই শুরু হয়েছে শিশু কিশোর শিল্পী সুকন্যা জানা, তিতির জানা এবং শ্রীজা মাইতির আঁকা ছবির বিশেষ প্রদর্শনী।আঞ্চলিক বইয়ের পাশাপাশি এই চিত্র প্রদর্শনীও সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবে প্রতিদিন থাকবে নানান শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজ, শিশু কিশোর সম্মেলন এবং সাহিত্য আড্ডা। খেজুরি, নন্দীগ্রাম, কাঁথি, হলদিয়া, মহিষাদল প্রভৃতি এলাকার কবি-সাহিত্যিকেরা অংশগ্রহন করেন সাহিত্য আলোচনা ও কবিতা পাঠের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে।
উদ্যোক্তারা জোর দিয়ে জানিয়েছেন, বই পার্বন-২০২৫ বইপ্রেমীদের জন্য শুধুই একটি মেলা নয়, এ এক চিন্তা, সৃজন আর ভালোবাসার মিলনমেলা। এটি বই আর মানুষের বন্ধনের এক সুরভিত উৎসব।কর্মকর্তা দের আন্তরিক দাবী, বইয়ের ঘ্রাণে এবং ভালোবাসায় মেতে উঠুক আমাদের সমাজ।