বছরের শেষ দিনে বালুরঘাট সরগরম। দক্ষিণ দিনাজপুর সংলগ্ন এই শহর বছরের শেষ দিনে উৎসবে মুখর। জাঁকিয়ে পড়া শীতকে সঙ্গী করে বছরের শেষ দিন পিকনিক মুডে কাটাল বালুরঘাটবাসি।এদিন বালুরঘাট শহর ও শহর লাগোয়া পিকনিক স্পটগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।…
বছরের শেষ দিনে বালুরঘাট সরগরম। দক্ষিণ দিনাজপুর সংলগ্ন এই শহর বছরের শেষ দিনে উৎসবে মুখর। জাঁকিয়ে পড়া শীতকে সঙ্গী করে বছরের শেষ দিন পিকনিক মুডে কাটাল বালুরঘাটবাসি।এদিন বালুরঘাট শহর ও শহর লাগোয়া পিকনিক স্পটগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।তেমনি একটি উপচে পড়া ভিড় বালুরঘাট শহরের দূর্দশন ভবন সংলগ্ন আরন্যকে।
বছরের শেষ দিনটিকে উপভোগ করার জন্য সকাল থেকেই আয়োজন লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকদের মধ্যে।গত কাল প্রকৃতির মুখ ভার থাকলেও , আজ সকাল থেকে ই ছিল রোদঝলঝল দিন। তাই খুশির মেজাজে পর্যটকরা দিন টা উপভোগ করতে পেরেছেন।খাওয়া দাওয়া হৈ হুল্লোড়ে দিন কাটলো উৎসবের মেজাজে।
পিকনিকে এসে রান্নাবান্নার চল আজ আর নেই বললেই চলে।পিকনিকের আমেজ বজায় রাখতে তাই অনেকেই ক্যাটারারদের হাতে খাওয়া দাওয়ার ভার সঁপে দিয়ে ঝাড়া হাত পায়ে পিকনিকের আনন্দ উপভোগ করতেই বেশি উৎসাহী। তবে বাজার দর যতই আকাশ চুম্বী হোক না কেন বছরের শেষ দিনে আনন্দ উৎসবের কোনো খামতি নেই। পিকনিক করতে আসা পর্যটকদের কথায়,আজকের দিনে ছুটির আমেজ, বছরের শেষ দিন। বাজার দর যাই হোক না কেন দিনটা পালনের কোন প্রভাব পড়বে না। তবে রান্নার মেঢ় কিছু কম হবে।
তবে সবজির লাগাম ছাড়া দামে সমস্যায় পড়েছে ক্যাটারার সংস্থাগুলি। তাঁরা বলছেন, এখন যারা পিকনিক করতে আসে তারা অনেকেই রান্নাবান্নার ঝামেলা না রেখে ক্যাটারারের ওপর সব দায়িত্ব দিয়ে দেয়। কিন্তু জিনিসপত্রের দামের কারনে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না।
তবে উৎসবের দিনে দাম নিয়ে ভাবার ফুরসত নেই বাঙালির। তাই খিচুড়ি বেগনি ডিমভাজায়, কিংবা মাংসের ঝোল ভাতে জমে উঠলো পিকনিক। শেষ পাতে নলেন গুড়ের রসগোল্লা।আর এসবের মাঝেই নিজেদের উজাড় করে দিয়ে আরন্যকে চড়ুইভাতির সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলেন অনেকেই।