Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানের দূত বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মিছিল করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানের দূত বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাগরিকত্ব বাঁচানোর যে লড়াইয়ে ডাক মুখ্যমন্ত্রী…


নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মিছিল করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানের দূত বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাগরিকত্ব বাঁচানোর যে লড়াইয়ে ডাক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন এদিন তাতে পাহাড় সমতলের মেল বন্ধনে শিলিগুড়িতে জনজোয়ার আছরে পড়েছিল বলে দাবি  করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
কিন্তু পাহাড়ের বিপুল মানুষের উপস্থিতি না দেখে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন '২২ জানুয়ারী আমি পাহাড়েও এই আন্দোলন করবো। আপনারা সকলে জোট বাধুন।'
 মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের আরও চার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব, ইন্দ্রনীল সেন ও গোলাম রব্বানি ও  রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রীরাও মিছিলে হাঁটেন।
শিলিগুড়িতে বিজেপি-র লাখো মানুষের মিছিলকে টেক্কা দিতেই এদিন শিলিগুড়িত মিছিল করার সিদ্ধান্ত্ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক  রথীন্দ্রনাথ বসু বলেন,' তৃণমূলের মিছিল এদিন ফ্লপ হয়েছে। পাহাড় থেকেও সেভাবে  লোক আসেনি। পাহাড়ে তৃণমূলের জোটের নেতাদেরও দেখা যায়নি। পাহাড়ের সব উন্নয়ন বোর্ডকে হুইপ দিয়েও পাহাড় থেকে লোক আনতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী।  মুষলিম অনুপ্রবেশকারিদের পাশে দাঁড়াতে মুখমন্ত্রী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে সিএএ নিয়ে  ভুলে বোঝাচ্ছেন। ভুল বুঝিয়ে তাদের দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী এই আন্দোলন করছেন।

এদিকে এদিন তৃণমূলের মিছলের মাঝপথে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ায় জন্য হুড়োহুড়ি পরে যায়। আর এই মিছিলের জন্য এদিন শহরের মানুষের পাশাপাশি বাইরে থেকে আসা দূরপাল্লার বাসযাত্রীদেন হয়রান হতে হয়। কেননা শহরের বাইরে বাস থামিয়ে দেওয়ায় যাত্রীরা ভিড়ের মধ্য দিয়ে অনেকটা পথ হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছন।

এদিন মিছিল শুরুর আগেই মাল্লাগুড়িতে মৈনাক ট্যুরিস্ট লজের সামনে সভামঞ্চে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দিনের মিছিল করার প্রয়োজনীয়তার কথা জানাতে গিয়ে গিয়ে বলেন,' মিছিল আমাকে করতেই হবে, যাতে কাউকে ঠিকানা হারাতে না হয়। এতদিন শুনে এসেছেন রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড থাকলেই আপনি দেশের নাগরিক। এখন বলা হচ্ছে এসব থাকলেই হবে না। নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে। বিজেপির মাদুলি থাকলেই নাগরিক হওয়ার যোগ্য।আমরা এসব শুনবো না।
বলা হচ্ছে নতুন আইনে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মতুয়ারা আগেই নাগরিকত্ব পেয়ে গিয়েছেন। কারণ এতদিন ধরে তারা ভোট দিয়েছেন। তাই আপনাদের বলছি ভোটার তালিকায় নামটা ঠিকঠাক রাখুন। কাউকে দেশ থেকে বিতাড়িত হতে দেব না।'