সৌন্দর্য কার না ভালো লাগে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে তাই আট থেকে আশি সবাই চায় পাহাড় থেকে সমুদ্র ছুটে বেড়াতে। কিন্তু যাদের উপায় থাকে না যাওয়ার, দেখার, অনুভব করার, তাঁদের দেখালো অনুভব করালো নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতি।
নিমতৌড়…
সৌন্দর্য কার না ভালো লাগে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে তাই আট থেকে আশি সবাই চায় পাহাড় থেকে সমুদ্র ছুটে বেড়াতে। কিন্তু যাদের উপায় থাকে না যাওয়ার, দেখার, অনুভব করার, তাঁদের দেখালো অনুভব করালো নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতি।
নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির জুভেনাইল হোমের এমনই দিব্যাঙ্গকে নিয়ে শীতের সমুদ্র দেখানো র ব্যবস্থা করে। যাদের ৩৮ বালিকার মধ্যে ১১জনই সেরিব্রাল পলিসি। নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির পক্ষে জানানো হয়, হোমের দিদিদের সাথে আলোচনা করে , জেলা প্রশাসনের অনুমতি আর জেলা পুলিশের সহায়তায় হোমের ১৫ জন দিদিরা তাঁদের স্নেহের সালমা, সন্ধ্যা, পূজা, বিদ্যা, নাসিমা, সোনিয়া, গঙ্গার মতো সকল আবাসিকদের সমুদ্রে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশের একটি বাস এবং মাননীয় শ্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া স্কুল বাসে ৬৫ জনের টিম সকাল থেকে বেড়িয়ে পরে।যা রা সব সময় শুয়ে থাকে হুইল চেয়ার ছাড়া ঘোরাফেরা করতে পারে না. বাকিরা মানসিক ভারসাম্য হীন, তারাই সমুদ্রর স্পর্শ অনুভব করে, দেখে খুব খুশি।
দুপুরের রান্না বান্না খাওয়া দাওয়া সবই হয় সারাদিন ধরে।ওরা হেসে, ঠোঁট নেড়ে, চাউনিতে, ওদের মত করে কথা বলাবলি করে খুব আনন্দ উপভোগ করে।
সুপার সঞ্চিতা গিরি, দেবশ্রী ত্রিপাঠি ঈশিতা, কাবেরী, পম্পার এদের বাঁধ ভাঙা আনন্দ দিতে পেরে খুশি, খুশি হোমের কর্তৃপক্ষ ওদের সমুদ্র দেখাতে পেরে ।
হোমের সাধারণ সম্পাদক বলেন সেই ২০০৬সাল থেকে বেড়ানো রীতি বজায় রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত. বিশেষ চাহিদা সন্পন্নদের নিয়ে দার্জিলিং পাহাড় থেকে সাগর এই বাংলার সব রূপই এদের দেখাতে অনুভব করাতে পেরেছি এখন মনে হয় কবে এদের নিয়ে ভিন দেশে পাড়ি দেবো উড়োজাহাজ এ করে সেই অপেক্ষা আছি ।ওরা সব পারে সব করে, ওদের ও মন আছে, প্রাণ আছে, হৃদয় আছে অন্তর আছে. ওদের যদি একটু পাশে দাঁড়াতে পারি তাহলে দেশে বিদেশে ভ্রমণ শুধু নয় ওদের কীর্তি তুলে ধরতে পারে সেই অপেক্ষা য় আমরা এখন প্রহর গুনছি. পুলিশ, প্রশাসন, স্থানীয় মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি , ধন্যবাদ জানাচ্ছি শুভেন্দু বাবুকে.।
