Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গুচ্ছ কবিতা-১
এই মাঠ
***********
ধনঞ্জয় দেবসিংহ
****************
কোনো কিছুর বিনিময়ে এই মাঠ আমি
কারো নামে লিখে দিতে পারব না।
পাখি আসে এই মাঠে। প্রজাপতি বসে থাকে
ধানফুলের সুবাসে।

শিশিরে স্নাত এ মাঠের ফসলের সুঘ্রাণে
বাঙ্মময় হয়ে ওঠে…



গুচ্ছ কবিতা-১
এই মাঠ
***********
ধনঞ্জয় দেবসিংহ
****************
কোনো কিছুর বিনিময়ে এই মাঠ আমি
কারো নামে লিখে দিতে পারব না।
পাখি আসে এই মাঠে। প্রজাপতি বসে থাকে
ধানফুলের সুবাসে।

শিশিরে স্নাত এ মাঠের ফসলের সুঘ্রাণে
বাঙ্মময় হয়ে ওঠে তোমার রন্ধন আরতি,
চেটেপুটে  হৃষ্টপুষ্ট তুষ্ট তোমার দেবতা।

এই মাঠ আলো হয়। অন্ধকার হয়।
ভীত সন্ত্রস্ত এই মাঠ।
নকসীকাঁথা এই মাঠ।
প্রতিবাদে এই মাঠ তাপসীও হয়েছে।
.........................................

রোদের দূরত্ব
************
ধনঞ্জয় দেবসিংহ
****************
বটগাছের পাতায় সকালের রোদ।
রোদ পড়ুয়াদের খাতায় কলমে।
পড়ুয়াদের চোখে মুখে রোদ।
রোদকে কেউ রোধ করতে পারে না।
রোদ অতিক্রম করে কয়েক বছর।
কয়েক'শ বছর, কয়েক হাজার বছর
পর্যন্ত রোদের দূরত্ব হতে পারে।

তোমার ভাবনা কিংবা কর্মের বাহক
এই রোদ। বিছানা ছেড়ে ওঠো,
রোদ তোমার শীতের উঠোন
অবধি পোঁছে গেছে।।
............................................
প্রমিত জলরাশি
***************
ধনঞ্জয় দেবসিংহ
***************
 আমগাছের ছায়ার পথটা চলে
গেছে দূর। পথিকও মান্যতা রেখে
সম্পর্ক চুকিয়েছে ধীরে।
সন্ন্যাসী তো কোনো সম্পর্কই বাঁধলো না।

আয়ু বেড়েছে দুর্বাঘাসের।
রোদের কলস নামিয়ে রেখে
চলে গেল সেও।
পদ্মফুল জেগে আছে শুধু,
কখন সরে গেছে জল।

জল কোনোদিনই স্থিরতা মানেনি।
প্রত্যেকেই পার্থিব পুকুরের প্রমিত জলরাশি।
..................................................................
এপিঠ ওপিঠ
************
ধনঞ্জয় দেবসিংহ
*****************
সারামাঠ। সারাদিন ছোটাছুটি। আমি।
পায়রা। ঘুঘু। শালিক। বক। মাছরাঙা।
আমার দু' পা। পাখির ডানা।
ফলত আমার ভাগ্যরেখা পরাজিত।

আগেও অনেকবার পরাজিত হয়েছি।
এখনও হই।
সব মোরগ পাহুড় মারতে পারে না।
সব দল কাপ আনে না।
আমিও জয়ী হতে পারিনি এতকাল।
তবে পরাজয়ের সম্যক নাড়িনক্ষত্র
আমার খুব পরিচিত।
এ জ্ঞানও নেহাত তুচ্ছ নয়।
যেহেতু মুদ্রার দু'পিঠেরই সমান মূল্য।
.....................................
 চাকরির চিঠি
************
ধনঞ্জয় দেবসিংহ
*****************
রাত বাড়ে কুয়াশার।
জ্যোৎস্নারও রাত বাড়ে।
শীতের বাড়ে রাত।
মৃদু গান গেয়ে ঘরে ফেরে সাইকেল।
যিনি আরোহী,
তাঁর হাতে চাকরির চিঠি।

তিনি একা চাকরি পাচ্ছেন না।
চাকরি পাচ্ছেন একটা পরিবার।
চাকরি পাচ্ছেন একটা সময়।
ভাঙা সাইকেলটাও চাকরি পাচ্ছে।

মেঠো রাস্তা আজ উল্লসিত।
গাছপালা মিষ্টিমুখে রত।
চাকরির উঠোনে পাখিদের ভিড়।
একটা সঠিক চাকরি,
একটা গোটা গ্রামকে কল্লোলিত করে ;
কেননা,চাকরি সচরাচর গ্রামে আসে না।।