তমলুক: বিশ্বাস,সংস্কার আর বিজ্ঞানের এক মেল বন্ধন বারুনীমেলা। বর্তমানের হাত ধরে পৌরানিক বিশ্বাস,পুণ্য অর্জন,গঙ্গা স্নান উপলক্ষে বারুনীমেলা। গঙ্গা স্নান বা
মকরস্নানে এসে শুধু পুণ্য অর্জনই নয়। অন্ধবিশ্বাস আর কু সংস্কারের উর্ধে উঠে ঐ…
তমলুক: বিশ্বাস,সংস্কার আর বিজ্ঞানের এক মেল বন্ধন বারুনীমেলা। বর্তমানের হাত ধরে পৌরানিক বিশ্বাস,পুণ্য অর্জন,গঙ্গা স্নান উপলক্ষে বারুনীমেলা। গঙ্গা স্নান বা
মকরস্নানে এসে শুধু পুণ্য অর্জনই নয়। অন্ধবিশ্বাস আর কু সংস্কারের উর্ধে উঠে ঐতিহাসিক তমলুকের রূপনারায়ণকে স্বাক্ষী রেখে মরনোত্তর দেহদানে এগিয়ে আসার আহ্বয়ান জানাল তমলুকের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তমলুকের উত্তর চড়া শংকর আড়ার শান্তি সংঘ নামে ওই সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও অন্ধ বিশ্বাসকে দুরে সরিয়ে মরণোত্তর দেহদানে সাড়া পড়ে তমলুক জুড়ে। বিগত কয়েক বছর আগেই প্রায় একক ভাবেই এগিয়ে এসেছিলেন তমলুকের উত্তরচড়া শঙ্করআড়া এলাকার মিশ্র পরিবার। পূর্বপুরুষের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ওই পরিবারের ৭ জন ইতিমধ্যেই মরনোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়েছেন। এর পাশাপাশি বিগত বছর ধরে তমলুকের গঙ্গারঘাটের উত্তরচড়া শঙ্করআড়া এলাকায় শান্তি সংঘের উদ্যোগে নানান সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অভিনব ভাবেই বারুণি মেলাতেই মরনোত্তর দেহদানের কর্মসূচী নেওয়া হয়। মেলা জুড়েই চলে মাইকিং এর মাধ্যমে জোর প্রচার। আর তাতেই স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে গত বছরই পুণ্যমেলায় মকর স্নানে এসে মরনত্তোর দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ হন প্রায় ২০জন পূন্যার্থী।
এ ছাড়াও সারা বছর ধরে এই সংস্থার মাধ্যমে দুরদুরান্ত থেকে আসে আগ্রহীরা দেহদানের অঙ্গীকার বদ্ধ হতে। আর সেই সাফল্যই এবার হাতিয়ার করে আবারও এমন অভিনব কর্মসূচীর বাস্তব রূপায়নে নেমেছেন তমলুকের এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তারা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মরমোত্তর দেহদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তথা শান্তি সংঘের কার্যকারী সহ সভাপতি তমলুক জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী দিলীপ কুমার বেরা বলেন, মৃত্যুর পর আমাদের শরীরে পচন ধরতে শুরু করে। কিন্তু এই দেহকে সময় মত সংরক্ষণ করতে পারলে চিকিৎসাবিজ্ঞান সহ বহু মানুষের উপকারে আসে। তাই আগামীদিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর শহর তমলুক জেলা হাসপাতালেই প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজটি গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ায় আমাদের এই প্রচেষ্টাও সার্থক রূপ পাবে বলে আমরা আশাবাদী।
এবিষয়ে সংগঠনের সম্পাদক অপূর্ব মিশ্র বলেন,পারিবারিক ভাবে আমরা দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ। মেলা মানে মিলনস্থল,অনেক মানুষের সমাগম। তাই ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে বিজ্ঞানের এই দিকটাও তুলে ধরার চেষ্টা করি।অভাবনীয় সাড়াও পাওয়া যায়। আগামী দিনে দেহদান কারী ব্যক্তির দেহ সুষ্ঠভাবে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া যায় তার ব্যবস্থার চেষ্টা করতে হবে।
সহ সম্পাদক সৌমেনকুমার গজেন্দ্র মহাপাত্র বলেন, এই ধরণের কর্মসূচী আমাদের সারা বছর ধরেই চলে। তবে বর্তমানে জেলা হাসপাতালেই মেডিক্যাল কলেজ নির্মানের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আমরাও অনেকটাই আশাবাদী। তাই সাধারণ মানুষজন যাতে আরও বেশি করে সতস্ফুর্ত ভাবে এগিয়ে আসন তার আহ্বয়ান জানিয়ে সর্বস্তরেই প্রচার চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত,জেলা সদর তমলুকেই গড়ে তোলার অনুমতি মিলেছে মেডিক্যাল কলেজের। আর শুধু অনুমতিই নয়, অত্যাধুনিক মানের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ইতিমধ্যেই বহু প্রত্যাশিত এই মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার কাজও শুরু হয়েছে জোর কদমেই। মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে মানবসেবা মূলক এমন কাজে ব্রতী হওয়ার আহ্বয়ান জানিয়ে সোস্যাল মিজিয়া জুড়েও জোরদার প্রচার প্রস্তুতি শুরু করেছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
মকরস্নানে এসে শুধু পুণ্য অর্জনই নয়। অন্ধবিশ্বাস আর কু সংস্কারের উর্ধে উঠে ঐতিহাসিক তমলুকের রূপনারায়ণকে স্বাক্ষী রেখে মরনোত্তর দেহদানে এগিয়ে আসার আহ্বয়ান জানাল তমলুকের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তমলুকের উত্তর চড়া শংকর আড়ার শান্তি সংঘ নামে ওই সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও অন্ধ বিশ্বাসকে দুরে সরিয়ে মরণোত্তর দেহদানে সাড়া পড়ে তমলুক জুড়ে। বিগত কয়েক বছর আগেই প্রায় একক ভাবেই এগিয়ে এসেছিলেন তমলুকের উত্তরচড়া শঙ্করআড়া এলাকার মিশ্র পরিবার। পূর্বপুরুষের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ওই পরিবারের ৭ জন ইতিমধ্যেই মরনোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়েছেন। এর পাশাপাশি বিগত বছর ধরে তমলুকের গঙ্গারঘাটের উত্তরচড়া শঙ্করআড়া এলাকায় শান্তি সংঘের উদ্যোগে নানান সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অভিনব ভাবেই বারুণি মেলাতেই মরনোত্তর দেহদানের কর্মসূচী নেওয়া হয়। মেলা জুড়েই চলে মাইকিং এর মাধ্যমে জোর প্রচার। আর তাতেই স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে গত বছরই পুণ্যমেলায় মকর স্নানে এসে মরনত্তোর দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ হন প্রায় ২০জন পূন্যার্থী।
এ ছাড়াও সারা বছর ধরে এই সংস্থার মাধ্যমে দুরদুরান্ত থেকে আসে আগ্রহীরা দেহদানের অঙ্গীকার বদ্ধ হতে। আর সেই সাফল্যই এবার হাতিয়ার করে আবারও এমন অভিনব কর্মসূচীর বাস্তব রূপায়নে নেমেছেন তমলুকের এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তারা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মরমোত্তর দেহদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তথা শান্তি সংঘের কার্যকারী সহ সভাপতি তমলুক জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী দিলীপ কুমার বেরা বলেন, মৃত্যুর পর আমাদের শরীরে পচন ধরতে শুরু করে। কিন্তু এই দেহকে সময় মত সংরক্ষণ করতে পারলে চিকিৎসাবিজ্ঞান সহ বহু মানুষের উপকারে আসে। তাই আগামীদিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর শহর তমলুক জেলা হাসপাতালেই প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজটি গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ায় আমাদের এই প্রচেষ্টাও সার্থক রূপ পাবে বলে আমরা আশাবাদী।
এবিষয়ে সংগঠনের সম্পাদক অপূর্ব মিশ্র বলেন,পারিবারিক ভাবে আমরা দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ। মেলা মানে মিলনস্থল,অনেক মানুষের সমাগম। তাই ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে বিজ্ঞানের এই দিকটাও তুলে ধরার চেষ্টা করি।অভাবনীয় সাড়াও পাওয়া যায়। আগামী দিনে দেহদান কারী ব্যক্তির দেহ সুষ্ঠভাবে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া যায় তার ব্যবস্থার চেষ্টা করতে হবে।
সহ সম্পাদক সৌমেনকুমার গজেন্দ্র মহাপাত্র বলেন, এই ধরণের কর্মসূচী আমাদের সারা বছর ধরেই চলে। তবে বর্তমানে জেলা হাসপাতালেই মেডিক্যাল কলেজ নির্মানের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আমরাও অনেকটাই আশাবাদী। তাই সাধারণ মানুষজন যাতে আরও বেশি করে সতস্ফুর্ত ভাবে এগিয়ে আসন তার আহ্বয়ান জানিয়ে সর্বস্তরেই প্রচার চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত,জেলা সদর তমলুকেই গড়ে তোলার অনুমতি মিলেছে মেডিক্যাল কলেজের। আর শুধু অনুমতিই নয়, অত্যাধুনিক মানের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ইতিমধ্যেই বহু প্রত্যাশিত এই মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার কাজও শুরু হয়েছে জোর কদমেই। মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে মানবসেবা মূলক এমন কাজে ব্রতী হওয়ার আহ্বয়ান জানিয়ে সোস্যাল মিজিয়া জুড়েও জোরদার প্রচার প্রস্তুতি শুরু করেছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।