Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শীতের সমস্যা ও তার প্রতিকার

সোনালী চ্যাটার্জি (শিক্ষিকা,পুষ্টিবিজ্ঞান)
..................
দেখতে দেখতে ডিসেম্বর মাস শেষ হয়ে গেল আর শীত ও পড়ি পড়ি করে বেশ জাঁকিয়েই পড়ল। হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী সামনের কয়েকটা দিন তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী থাকবে।এই সময় বে…

সোনালী চ্যাটার্জি (শিক্ষিকা,পুষ্টিবিজ্ঞান)
..................
দেখতে দেখতে ডিসেম্বর মাস শেষ হয়ে গেল আর শীত ও পড়ি পড়ি করে বেশ জাঁকিয়েই পড়ল। হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী সামনের কয়েকটা দিন তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী থাকবে।এই সময় বেশ একটা উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয় বড়দিন বর্ষবরণ তো আছেই এছাড়াও এ সময় পিকনিক করতে আর বেড়াতে যেতে আমরা সবাই ভালবাসি। কিন্তু এই হঠাৎ পড়া ঠান্ডায় আমাদের শরীর অনেক সময় খারাপ হয়ে পড়ে আর শরীর খারাপ থাকলে কোন উৎসব ই উপভোগ্য করা হয় না তাই আজ আমরা আলোচনা করব শীতকালে যে সমস্যাগুলো বেশি হয় সেগুলির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে:

1.ঠান্ডা লাগা: জ্বর ইনফ্লুয়েঞ্জা এর কারণ ভাইরাস যা বায়ুবাহিত সংক্রামিত মানুষের  হাঁচি কাশি কফ থেকে সংক্রমণ ছড়ায়।সংক্রমণ তাদের দেহে বেশি হয় যাদের অনাক্রসি তন্ত্র দুর্বল।
 প্রতিকার: বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে মুখ হাত সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। মাক্স ব্যবহার করতে হবে।শীতের টাটকা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আন্টি অক্সিজেন্ট ভরপুর ফল সবজি যেমন ক্যাপসিকাম টমেটো কমলালেবু গাজর পালং শাক বেশি খেতে হবে।সংক্রামিত হলে সুতির পরিবর্তে ডিসপোজেবল রুমাল ব্যবহার করতে হবে।পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও বেশি সংক্রমণের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

2.হার্ট অ্যাটাক:
হার্ট অ্যাটাক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন যারা তাদের ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপদসীমা পেরিয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে এ সময় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না।বিশেষত বয়স যদি 65 পেরিয়ে যায় এর একটা কারণ রক্তনালীর সংকোচনের ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি ও হৃৎপিণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়া।

 প্রতিকার: খুব বেশি ঠান্ডা বাড়ির বাইরে যাবেন না যেতে হলে অবশ্যই টুপি গ্লাভস মোজা ব্যবহার করুন গরম পোশাক ঠান্ডা জলে স্নান করবেন না ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে পান করবেন ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জল খাবেন অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান না করাই উচিত।সমৃদ্ধ প্রাণিজ ফ্যাট খাদ্য তালিকা রাখবেন না হার্ট  সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটা বা কিছু হালকা ব্যায়াম করতে হবে।

 3. এজমা: শুষ্ক ঠান্ডা হাওয়া ডায়াবেটিস গোল্ড ইত্যাদির কারণে শীতকালে এজমা প্রকোপ বাড়ে।

প্রতিকার:  বাড়িতে ভালোভাবে বায়ু চলাচল যাতে হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন। বাইরে বেরোনোর সময় নাক মাথা ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।প্রচুর জল খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। তবে বাড়ির ভেতরেই অনুলোম বিলোম কপালভাতি প্রাণায়ন, এজমা রোগের জন্য উপকারী।

4. ব্রংকাইটিস: শীতের সময় অনেকেরই ঠান্ডা লাগা জ্বর কাশি পরবর্তী সময়ে ব্রঙ্কাইটিসের রূপ নিতে পারে এক্ষেত্রে শিশুদের রিক্স বেশি ব্রঙ্কাইটিসের। কারণ ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ধোঁয়া-ধুলো দূষণ ইত্যাদি কারণে হতে পারে।

 প্রতিকার: ব্রংকাইটিস হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে পারবেন। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে রোগ থেকে দূরে থাকা যায় সেগুলি হল ধূমপান বন্ধ ধোয়া ধুলো দূষণ থেকে দূরে থাকা।যেখানে দূষণের মাত্রা বেশি সেখানে মুখ নাক ডাকা রাখুন মাক্স দিয়ে বারে বারে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
5. শীতে বদহজমের সমস্যা: আমরা অনেকেই হজমের সমস্যায় ভুগি এর কারণ ঠান্ডা আবহাওয়া কম শারীরিক সক্রিয়তা জল কম খাওয়া মসলাদার খাবার ইত্যাদি হতে পারে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান কফি অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় কম করুন নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

6. শীতে  ত্বকের সমস্যা : বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়।
 প্রতিকার : খুব বেশি সাবানের ব্যবহার অত্যধিক,গরম জলে স্নান করবেন না। সাবান ব্যবহারের পর নারকেল তেল অলিভ অয়েল পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন প্রচুর শাকসবজি ফল খান।