এক অন্য ভুবন
**************************
গৌতম মাহাতো
ঝাড়গ্রাম আতিথ্যের শহর।সে মানুষ হোক চাই প্রকৃতি, পশু বা পরিযায়ী পাখি।ইতিহাস থেকে বর্তমান সে সাক্ষ্য বহন করে চলেছে এই অরণ্যসুন্দরি।এমনি এক অতিথির খোঁজ নিতে গিয়ে দেখলাম তারা আজ আর…
এক অন্য ভুবন
**************************
গৌতম মাহাতো
ঝাড়গ্রাম আতিথ্যের শহর।সে মানুষ হোক চাই প্রকৃতি, পশু বা পরিযায়ী পাখি।ইতিহাস থেকে বর্তমান সে সাক্ষ্য বহন করে চলেছে এই অরণ্যসুন্দরি।এমনি এক অতিথির খোঁজ নিতে গিয়ে দেখলাম তারা আজ আর কুটুম নয় পড়শি।
পুরোনো ঝাড়গ্রামের সাবিত্রী মন্দির সংলগ্ল এলাকায় বসবাস করছে প্রায় হাজারখানেক বাদুড়।এবং তারচেয়েও আশ্চর্যের বিষয় হল পৃথিবীর আট'শ প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে শুধু বাংলাতেই পাবেন ১১৩ টি প্রজাতি, যার বেশ কয়েকটি আবার পেয়ে যাবেন এখানে।তবে microchiroptera- র তুলনায় megachiroptera(fruit bat)দের সংখ্যা অনেক বেশি।খয়েরি রংএর ইজিপ্সিও প্রজাতিরা আবার বেশি বান্ধব সম্পৃক্ত।খয়েরি রঙের এই বাদুড়টির বিস্তৃতি নজর কাড়ার মত।
এলাকাবাসীরাই জানান এই বাদুড়কুল প্রায় ৩০ - ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে বসবাস করছে।তাদের কেউ বিরক্ত তারা করে না। এমনকি কারুর বিরক্ত করা তাঁরা বরদাস্তও করেন না।তারা আছে তাদের নিজেদের মত করে।তবে কোনও কোনও পরিবার আশঙ্কাও ব্যক্ত করেন-"দেশ জুড়ে যখন সতর্ক বার্তা উড়ছে,স্বাস্থ্য দফতরের বারংবার সচেতনতা বাণী আমাদের চিন্তিত করে বই কি!! ছেলেমেয়ে নিয়ে পরিবার,ভাবনায় আছি।স্বাস্থ্য দফতর ও মিউনিসিপলিটি যৌথ ভাবে তত্তাবধানের দায়িত্ব নিলে অনেকটা স্বস্তি পাব"।
যখন সারা দেশ নিপা ভাইরাসের আতঙ্কে থর হরি কম্প তখন এই ঝাড়গ্রামবাসী মৃত্যুর আশঙ্কাকে তুচ্ছ করে আগলে রেখেছে তাদের এই দীর্ঘবসবাসের পড়শিদের।তাদের এই সহাবস্থান ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজিমের মুটে আরও একটি পালক অবশ্যম্ভাবী ভাবে যোগ করবে এতে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।