Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সুচিকিৎসার পরিষেবা পাওয়ার কথা লেখা থাকলেও টাকা দিয়ে চিকিৎসা নিতে হলো

স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সুচিকিৎসার পরিষেবা পাওয়ার কথা লেখা থাকলেও টাকা দিয়ে চিকিৎসা নিতে হলো পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার নাটশাল গ্রামের বীনা রানী দোলইকে। ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক শহরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে।
গত রবিবার …


স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সুচিকিৎসার পরিষেবা পাওয়ার কথা লেখা থাকলেও টাকা দিয়ে চিকিৎসা নিতে হলো পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার নাটশাল গ্রামের বীনা রানী দোলইকে। ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক শহরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে।
গত রবিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল থানার নাটশাল গ্রামের বীনা রানী দোলুই। ওইদিনই পরিবারের লোকজনেরা তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে জেলা হাসপাতাল থেকে বের করে এনে তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করেন পরিবারের লোক জনেরা। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকলেও বেড নেই বলে জানিয়ে দেয় নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। পরে 2000 টাকা দিয়ে ভর্তি করা হয় ওই রোগিনীকে। তারপরেই বেড পেয়ে যায় বীনা রানী দোলুই। রোগীর পরিবারের অভিযোগ স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে না কেন? কেনই বা টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হবে? যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড দিয়েছেন এবং নার্সিংহোমগুলিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বিনে পয়সায় চিকিৎসা পাওয়ার জন্য। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা গেলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেন।

 নার্সিংহোমের মালিক ডাক্তার ডি.কে. পাত্র বলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর নিয়মকানুনের সংশোধন হওয়া দরকার। তিনি বলেন আমরা চাই বিনে পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের কিছু গাফিলতির কারণেই আমরা সেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পরে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অনুমোদন পেলেই আমরা বিনে পয়সায় চিকিৎসা করে দেব। যে টাকা অগ্রিম হিসাবে নিয়েছে সেটা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন।