ছেলেটির অপরাধ ছিল ভালোবাসার। অপরাধ ছিল ভালোবেসে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে না গিয়ে বাবা মায়ের অনুমতির অপেক্ষা। কিন্তু তার পরিনতি হল করুন। বিষ খেয়ে প্রমান করতে হল কতটা ভালোবাসে। তার ফলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হচ্ছে যুবকে।
ভগবানপুরের ম…
ছেলেটির অপরাধ ছিল ভালোবাসার। অপরাধ ছিল ভালোবেসে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে না গিয়ে বাবা মায়ের অনুমতির অপেক্ষা। কিন্তু তার পরিনতি হল করুন। বিষ খেয়ে প্রমান করতে হল কতটা ভালোবাসে। তার ফলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হচ্ছে যুবকে।
ভগবানপুরের মহম্মদপুরের যুবক রতন মান্না পাশের গ্রামের বেনাউদা গ্রামের চন্দন জানার নবম শ্রেণির পাঠরত মেয়েকে বছর খানিক হলো ভালোবেসেছিল।
তাদের ভালোবাসার কথা দুই গ্রামে অনেকেই জানতো। দুই পরিবারের বিষয়টি গোচরে ছিল। বয়স না হওয়ায় প্রেমিক প্রেমিকা শুধু প্রেম করে গিয়েছে। তবে মেয়ের পরিবার থেকে এই প্রেমের বিরোধী ছিল। মেয়ের বাড়ি থেকে বিভিন্ন ভাবে শাসন করা হয় প্রেমিকে। কিন্তু যুবক কোনো তোয়াক্কা না করে নিঃস্বার্থ ভালোবেসে যায়। অভিযোগ মেয়ের বাড়ির ৬-৮ জন ছেলের বাড়িতে চড়াও হয়। ছেলেকে মারধর করে এবং চাপ দিতে থাকে । মেয়েকে কতটা ভালোবাসো বিষ খেয়ে প্রমানদিতে হবে। মেয়ের পরিবারের লোকজন সঙ্গে করে বিষও আনে বলে অভিযোগ, বিষ খেতে না চাইলে জোর পূর্বক প্রেমিকে বিষ খাওয়ানা হয় বলে অভিযোগ। প্রেমিক গুরুতর অসুস্থ হয়ে তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোম ভর্তি।মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে প্রেমিক। প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে ভনবানপুর থানায়।পুলিশ মেয়ের মা সহ চারজনকে আটক করেছে।
যুগে - যুগে প্রেমের পথে এসেছে বাধা। আধুনিক যুগেও তার ব্যতিক্রম নয়। তাইতো প্রেমদিবসে রতনের কপালে গোলাপের পরিবর্তে জুটেছে কাঁটা। তার যন্ত্রণা ভুলে স্বাভাবিক জীবন ফিরবে কি রতন? এখন সেটাই দেখার।