কর্তব্যরত রেল পুলিশের এক কনস্টেবল এর তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গেলেন এক ব্যক্তি। প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনে দৌড়ে উঠতে গিয়ে হাত পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন। তাকে চাকায় টেনে নেওয়ার শেষ মুহূর্তে দৌড়ে ট্রেনে উদ্ধার …
কর্তব্যরত রেল পুলিশের এক কনস্টেবল এর তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গেলেন এক ব্যক্তি। প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনে দৌড়ে উঠতে গিয়ে হাত পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন। তাকে চাকায় টেনে নেওয়ার শেষ মুহূর্তে দৌড়ে ট্রেনে উদ্ধার করেন কর্তব্যরত পুলিশের এক কনস্টেবল। প্রাণে বাঁচলেও মাথায় চোট পেয়ে ওই ব্যক্তি বর্তমানে ভর্তি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর স্টেশনে। রাত ৯:৪০ নাগাদ আসানসোল খড়গপুর পেসেঞ্জার ট্রেনটি যখন স্টেশন থেকে ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল তখন দ্রুত দৌড়ে এসে ওই ট্রেনে চাপার চেষ্টা করেছিলেন খড়্গপুরের বারবেটিয়া এলাকার বাসিন্দা সুজয় ঘোষ। ট্রেন গতিতে চলতে শুরু করার সময় ট্রেনের হাতল ধরে উঠতে গিয়ে কোনোভাবে হাত পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন প্ল্যাটফর্মের প্রান্ত ট্রেনের ফাঁকে। পরপর বগি গুলির ধাক্কায় তাকে টেনে নিচ্ছিল চাকার ভেতর। দূর থেকে দেখতে পেয়ে ছুটে এসে তার পায়ে ধরে টেনে বের করে নেন কর্তব্যরত রেল পুলিশের কনস্টেবল ডি কে যাদব। ততক্ষণে পরপর ভোগীর ধাক্কায় মাথায় খানিকটা চোট পেয়ে যান। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় রেলকর্মীরা।
এই ঘটনায় স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া মুহূর্ত রোমহর্ষক। কনস্টেবলের তৎপরতা ও এই প্রাণ বাঁচানোর ছবি দেখে সকলেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা সুজয় ঘোষ নিজেও। শনিবার সকালে হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিশ্বাস করতে পারছেন না যে বেঁচে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সুজয় বাবুর চিকিৎসায় যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। আপাতত তিনি বিপদের বাইরে।