Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পুরভোটের দিন ঘোষণার আগেই এগরায় সাংসদ দিলীপ ঘোষ

পুরভোটের দিন ঘোষণার আগেই শাসক- বিরোধী দুই শিবির পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় দুই শিবির কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভোটের ময়দানে।দোল উৎসবের আবহেও এগরা পুরসভা দখলে মরিয়া  গেরুয়া ব্রিগেড।যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।

মঙ্গলবার এগরায় পা …


পুরভোটের দিন ঘোষণার আগেই শাসক- বিরোধী দুই শিবির পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় দুই শিবির কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভোটের ময়দানে।দোল উৎসবের আবহেও এগরা পুরসভা দখলে মরিয়া  গেরুয়া ব্রিগেড।যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।

মঙ্গলবার এগরায় পা রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষ।এ দিন তিনি এগরা পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অঁলুয়াতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত দোল উৎসবে যোগ দেন।সেখানে দিলীপবাবু জাতি- ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।তিনি, জানান, উৎসব সবার ভাল কাটুক।সবাই আনন্দ করুণ।তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় রাস্তার দু ধারে অসংখ্য বিজেপি কর্মী- সমর্থকেরা ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তোলে।

এগরা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহকুমা হাসপাতালের সামনে দিলীপবাবুকে কর্মী- সমর্থকেরা সংবর্ধনা জানান।মিষ্টি খাওয়ানো হয়।ওখানে স্থানীয়দের সঙ্গে দিলীপ হাত মেলান।অনেকে আবার তাঁর (দিলীপ ঘোষ) সঙ্গে মোবাইলে সেল্ফি তোলেন।এরপরে সোজা রওনা দেন এগরা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কসবা এগরার হরিজনপল্লিতে।সেখানেও দিলীপ কচিকাঁচাদের হাতে চকলেট তুলে দেন।তারপর দিলীপ ঘোষ এগরা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত দোল উৎসবের অনুষ্ঠান মঞ্চে যোগ দেন।সেখানে তিনি বলেন, “আপনাদেরকে পুরভোটে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।আমি আবারও এগরায় আসবো।”

এ দিন দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি জেতার পর এটা প্রথমবার দোলযাত্রা।তবে দোল- হোলি জনসম্পর্কের একটা বড়ো মাধ্যম।উৎসবে- আনন্দে সবার সঙ্গে থাকা উচিত।এখানে আমাদের মানুষ ভোট দিয়েছেন, জিতিয়েছেন ও সঙ্গে আছেন।তবে ভোট ঘোষণা হলে ভোট হবে।স্বাভাবিক আমি এলেই মানুষের সঙ্গে দেখা করি এবং কথা বলি।তাই দোল উৎসবে সেই জনসম্পর্ক চলছে।”

তৃনমুলের হেভিওয়েট নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “আমি জানি না।কেউ হনুমান জয়ন্তী করছে, আবার কেউ রামনবমী করছে। তো এটা পরিশকার একটা চাপ বাড়ছে এবং বিজেপি এগোচ্ছে।এতদিন ওরা যা করতো সেটা মানুষ সেটা ভালোভাবে নেয়নি।তবে এখন ডেমেজ কন্ট্রোল হচ্ছে।আগে মুসলমানদের তেলমারা হয়েছে।আর এখন হিন্দুদের তেলমেরে জেতার চেষ্টা করা হচ্ছে।অতএব এসব না করে উন্নয়নের কাজ করুণ।আইনশৃঙ্খলার ব্যবস্থা ঠিক করুণ।গণতন্ত্রকে বাঁচান লোক সেটাই চান।সেইসব না করে এটা করতে গেলে আর কোন রাজনৈতিক লাভ হবে না।”

‘বাংলার গর্ব মমতা’ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলার গর্ব করার মতো অনেক মহাপুরুষ আছেন।রাতারাতি কারুর পোস্টার টাঙিয়ে দিলে কেউ গর্ব হবে না।আমরা সারা পশ্চিমবাংলায় প্রায় ১২০টি পুরনির্বাচনে পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত রয়েছি।লোকসভার সময় এখানকার মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তারা বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন।সেজন্য এগরাতে বিজেপি পুরবোর্ড গঠন করুক, সেই প্রস্তুতি নিয়ে আমরা লড়াই করছি।” তিনি এও বলেন, “সারা পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মহিলাদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চলছেই।হলদিয়াতে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে মা ও মেয়েকে একইসঙ্গে জ্যন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে।দুর্ভাগ্য যে, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সরকার চলছে।সেখানে মহিলাদের কোন সুরক্ষা নেই।সমস্ত বয়সের মহিলারা অসুরক্ষিত।কোন মানুষের জীবনের সুরক্ষা নেই।সেজন্য পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে পরিবর্তন দরকার আছে।তবে তৃণমূল আর নয় এবার বিজেপি চাই।”