সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাস এর আতঙ্কে ভুগছে।
চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীঘা মোহনা বাজার থেকে মাছ রপ্তানির জোর ধাক্কা খেয়েছে। এর ফলে মাথায় হাত পড়েছে মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের। মাছ ধরার মরশুমে চীনে দীঘা মোহনা থেকে মা…
সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাস এর আতঙ্কে ভুগছে।
চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীঘা মোহনা বাজার থেকে মাছ রপ্তানির জোর ধাক্কা খেয়েছে। এর ফলে মাথায় হাত পড়েছে মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের। মাছ ধরার মরশুমে চীনে দীঘা মোহনা থেকে মাছ রপ্তানি হয়। বিশেষ করে পমপ্লেট, ফিতা মাছ, স্কুইড, কাটল ফিস, রিবন ফিশ, ব্ল্যাক ইলপ্রভৃতি প্রজাতির মাছ দীঘা মোহনা থেকে রপ্তানি করা হয়।
রপ্তানি বন্ধ হওয়ার কারণে এই সমস্ত মাছের দামও কমে গিয়েছে। এর ফলে মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে।এই সময়টা মাছ রপ্তানিতে কোটি কোটি টাকা রোজগার হতো। তা আপাতত বন্ধ হয়ে গেল।এমনিতে চলতি মৌসুমে সমুদ্রে ইলিশ সহ অন্যান্য মাছ পর্যাপ্ত না পাওয়ায় মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা ব্যাপক আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছিল। তার ওপরে ছিল প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা।যেটুকু মাছ ধরা পড়েছিল তা বিদেশে রফতানি করে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখেছিল মৎস্যজীবীরা।কিন্তু করনা ভাইরাসের কারণে চিনে মাছ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আরো সংকটে পড়ে গেল।
দীঘা ফিশারমেন এন্ড ফিশ ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন,করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের মাছ ব্যবসা ও ক্ষতির মুখে পড়েছে।চীনে পমপ্লেট সহ এই সমস্ত মাছ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাছের 25% দাম কমে গিয়েছে। এভাবে টানা কয়েকদিন রপ্তানি বন্ধ থাকলে দাম পুরোপুরি তলানীতে ঠেকবে।মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা আরো বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও বলেন। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে দীঘা মোহনায় বেশিরভাগ মৎস্য ব্যবসায়ীরা ট্রলার সমুদ্রে পাঠানো বন্ধ করে দেবেন।