নাবালিকা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে বারেবারে বিয়ের প্রস্তাব। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বারেবারে ছুটে বেড়িয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অবশেষে সরকারি সাহায্যে সে আজ হোমে থেকে স্যোসিওলজি অনার্স পড়ছে।।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেব…
নাবালিকা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে বারেবারে বিয়ের প্রস্তাব। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বারেবারে ছুটে বেড়িয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অবশেষে সরকারি সাহায্যে সে আজ হোমে থেকে স্যোসিওলজি অনার্স পড়ছে।।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস/সপ্তাহ উদযাপনে এসে অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সুপর্ণা দাস।।
ছোটবেলা থেকে বাবা ছেড়ে চলে যায়, মা আর ছোট ভাইকে নিয়ে তিন জনের সংসার। মা বাধ্য হয়ে মেয়ে সুপর্ণা দাস কে মামা বাড়িতে রেখে ছেলেকে নিয়ে মা কলকাতায় লোকের বাড়িতে কাজ করতে চলে যায়। সুপর্ণা যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে তখন থেকেই শুরু হয়েছে বিয়ের প্রস্তাব।সুপর্ণা বারেবারে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়েছে সুপর্ণাকে যখন সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়।সেই সময় আত্মীয়রা জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময়ও সুপর্ণা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে যখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। সুপর্ণার মামা এবং মাসিরা বলেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা তখনই দিতে দেবো যদি তুমি বিয়েতে রাজি হও।সেই সময় সুপর্ণা তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়ে যায়।এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে দেয় আত্মীয়রা। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর এই বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হলে, সুপর্ণা বাড়ি থেকে পালিয়ে সোজা জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছে যায়। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ সব রকম ভাবে সাহায্য করে কাঁথির একটি হোমে রেখে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এখন সুপর্ণা দাস কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
আগামী দিনে মেয়েদেরকে বলবো যে, বাল্যবিবাহ একটা সমাজের একটা রোগ। সেই রোগ নিরাময়ের দায়িত্ব আমাদেরই। আর আমরা যদি প্রতিবাদ না করি তাহলে প্রতিরোধ হবে না। তাদেরকে বলবো নারীরা যদি না এগিয়ে যাই তাহলে সমাজও এগোবে না।