পিতৃস্নেহ
------ প্রভাতরবি(দিবাকর কুন্ডু)
বায়না ধরেছিল মেয়ে একজোড়া নতুন জুতো দিতে হবে,
আচ্ছা হবে না হয়! শুনে বাবা বলেছিল,
নিজের ছেঁড়া জুতো বদলাবে ভেবেছিলো,
কিন্তু মেয়ের আবদার, দিতে তো হবে।
বছর খানেক ধরে ওই একটাই ছেঁড়া জুতো দিয়ে …
পিতৃস্নেহ
------ প্রভাতরবি(দিবাকর কুন্ডু)
বায়না ধরেছিল মেয়ে একজোড়া নতুন জুতো দিতে হবে,
আচ্ছা হবে না হয়! শুনে বাবা বলেছিল,
নিজের ছেঁড়া জুতো বদলাবে ভেবেছিলো,
কিন্তু মেয়ের আবদার, দিতে তো হবে।
বছর খানেক ধরে ওই একটাই ছেঁড়া জুতো দিয়ে চলছিল,
না'হয় আরো কিছু মাস চালিয়ে নেব, বাবা রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছিল।
নিজের থেকে সন্তানের সুখে যে অনেক বেশি আনন্দ।
বাবার আর জুতো কেনা হয়নি, মেয়ে কিছুদিন পরেই বললো,
স্কুল টা বড় দূরে, একটা সাইকেল দরকার
হেঁটে যেতে বড় কষ্ট।
এদিকে বাবা আজকাল চোখে কম দেখে একটু, তাই চশমা আর ছেঁড়া জুতো বদলাবে ভেবেছিলো,
কিন্তু মেয়ের আবদার, শত কষ্ট হলেও সে রেখেছিল।
আজকাল আর কাজে গেলে দুপুরের খাবার বাবা নিয়ে যায় না,
শুধু বলে সকালে এত খাই যে ক্ষিদে পায় না,
আর সাথে বলে বয়সটাও তো বাড়ছে,
তাই বাবার দুপুরে নতুন সাথী হয়েছে 2 টাকার শুকনো মুড়ি।
মেয়ে বড় হচ্ছে টাকার দরকার হবে বিয়েতে,
মেয়ের আবার আবদার আছে যে চাই তার সোনার চুড়ি।
বাবা তার জুতোটা বদলেছিলো কিন্তু চশমা টা আর বদলানো হয়নি,
চোখ টা বড় ঝাপসা লাগে আজকাল,
কিন্তু মেয়ের ওই বিয়ের কথা ভেবে ভেবে টাকাটা সঞ্চিত ছিল,
এক বাবা তাঁর আত্মত্যাগ জানত তাই সন্তানের খুশিতে নিজেই খুশি ছিল।
বাবা কিন্তু সাইকেল নিজে একবারও চড়েনি,
কিন্তু তার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করেছে,
ছেঁড়া জুতো পায়ে, ভাঙা চশমা চোখে, কড়া রোদ্দুরে, শুকনো মুড়িতে, বাবার দিন কেটেছে,
কিন্তু অভিযোগ করেনি কারোর কাছে,
মহান এই আত্মত্যাগ মহান এই পিতা,
যে শুধু সন্তানের খুশিতে খুশি রয়েছে।