Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভাঙ্গা চোরা স্টিক হাতে "চক্ দে ইন্ডিয়া’য় বিভোর মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর এর প্রত্যন্তগ্রামের কন্যারা

ভাঙ্গা চোরা স্টিক হাতে "চক্ দে ইন্ডিয়া’য় বিভোর মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর এর প্রত্যন্তগ্রামের কন্যারা।

কোমল, বিন্দা, রানিকে মনে আছে? মনে না থাকতে পারে ১৩০ কোটির এই দেশে হাজারো এই নাম পাওয়া যাবে। আর যদি বলি চক্ দে ইন্ডিয়ার কোমল…


ভাঙ্গা চোরা স্টিক হাতে "চক্ দে ইন্ডিয়া’য় বিভোর মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর এর প্রত্যন্তগ্রামের কন্যারা।

কোমল, বিন্দা, রানিকে মনে আছে? মনে না থাকতে পারে ১৩০ কোটির এই দেশে হাজারো এই নাম পাওয়া যাবে। আর যদি বলি চক্ দে ইন্ডিয়ার কোমল,বিন্দা,রানি কে মনে আছে? তাহলে এক কথায় উত্তর হবে হ্যাঁ। হবেই বা না কেন কোন এক অখ্যাত গ্রামের গরীব মেয়েরা লাড়াই করে, দেশের হয়ে হকিতে সোনা জয়ের যে গল্প কথা তুলে ধরা হয়েছে তা সকলকেই অনুপ্রাণিত করে।

   সেই চক্ দে ইন্ডিয়ার গল্প একে বারে বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের কন্যা বীথিকা, অনিন্দিতা দের ঘিরে। পটাশপুরের ডাঙ্গর তুলসি গ্রাম,যে গ্রামের মাঠ মেয়েদের দখলে। জেলার একমাত্র এই মাঠে নিয়ম করে চলে ৫০ জন মেয়েদের হকি প্রশিক্ষণ। কিন্তু শুরুটা সহজ ছিলো না, ২০১০-১১ সালে যখন শুরু হয় ৭-৮ মেয়েকে নিয়ে তখন অনেক নিন্দুকের অনেক কথা  শুনতে হয়েছিল। সমস্ত লজ্জা কটুক্তি গায়ে মেখে কোনক্রমেই ভাঙ্গা চোরা স্টিক,এবড়ো-খেবড়ো মাঠে গ্রামেরই কয়েক জনের উৎসাহে শুরু হয় হকি খোলা। অনেক বাধা বিপত্তি অর্থিক সংকট কাটিয়ে  চক্ দে ইন্ডিয়া এখন অনিন্দিতাদের অনুপ্রেরণা। শুধু ডাঙ্গর তুলসি নয় আশে- পাশের চার- পাঁচটি গ্রামের মেয়েরা হকি স্টিক হাতে স্বপ্ন বুনে এই মাঠে। শুধু জেলায় নয় রাজ্যস্ততেও খেলা ধুলা করছে এই গ্রামের মেয়েরা,স্বপ্ন দেখে জাতীয় স্তরে খেলার। তবে বাধা একটাই অর্থের যোগান,মনবল দিয়েছে অনেকে,কিছু কিছু অর্থ সাহায্য পেয়েছে।
 সরকারি ও বেসরকারি ভাবে তবে তা যথেষ্ট নয়, তাই গ্রামের মেয়েরা "চক্ দে ইন্ডিয়া ” ( ভারতকে গর্বিত)  করতে পারে সঠিক পরিকাঠামো ও আর্থিক সহযোগিতা যদি পায়।