লক্ষাধিক হাতপাখা তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। লকডাউন এর ফলে বিক্রি না হওয়ায় পাখা শিল্পীদের মাথায় হাত।।
গ্রীষ্মকালে তালপাতার তৈরি হাতপাখা বরাবরই চাহিদা থাকে। চাহিদা অনুযায়ী পাখা শিল্পীরা পৌষ মাস থেকেই শুরু হয় হাতপাখার কাজ। পূর্ব …
লক্ষাধিক হাতপাখা তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। লকডাউন এর ফলে বিক্রি না হওয়ায় পাখা শিল্পীদের মাথায় হাত।।
গ্রীষ্মকালে তালপাতার তৈরি হাতপাখা বরাবরই চাহিদা থাকে। চাহিদা অনুযায়ী পাখা শিল্পীরা পৌষ মাস থেকেই শুরু হয় হাতপাখার কাজ। পূর্ব মেদিনীপুরের তালপাতার যোগান বেশি না থাকার ফলে বাঁকুড়া থেকে তালপাতা সংগ্রহ করতে হয় পাখা শিল্পীদের। তালপাতা এনে জলের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে প্রসেসিং করে তারপরেই হাত পাখা তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ধরনের হাত পাখা তৈরি হয়। তালপাতার পাখার পাশাপাশি প্লাস্টিকের হাতপাখা তৈরি করা হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার পাকুরিয়া গ্রামে দশটি পরিবার হাতপাখা তৈরীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। পাকুরিয়া গ্রামে প্রায় 35 থেকে 40 জন এই কাজে যুক্ত। তালপাতার তৈরি প্রতিটি হাতপাখার দাম 8 থেকে 10 টাকা। প্লাস্টিকের তৈরি প্রতিটি হাত পাখার দাম 4 থেকে 5 টাকা। স্পেশাল পাখার দাম কুড়ি টাকা।এই হাত পাখা গুলো মূলত হলদিয়া ঝাড়গ্রাম মেদিনীপুর হাওড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পাইকারি হিসাবে বিক্রি করা হয়। হাতপাখার চাহিদা মূলত চৈত্র বৈশাখ মাসেই বেশি হয়। বিভিন্ন মেলা, উৎসব, বাজার হাসপাতাল এই এলাকা গুলোতে হাতপাখা বেশি বিক্রি হয়। এবছর বাঁধ সাধলো করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাস এর ফলে ভারতবর্ষের জুড়ে চলছে লকডাউন। সেই লকডাউনে আটকে গিয়েছে তালপাতার তৈরি হাতপাখার বাজার। ফলে অনেক আগে থেকেই তৈরি হওয়া হাতপাখা গুলো এখন পড়ে রয়েছে কারিগরের বাড়ির মধ্যেই। লকডাউন কবে উঠবে সেই আশায় রয়েছে হাতপাখার শিল্পীরা। কিন্তু হাতপাখার চাহিদা মূলত গ্রীষ্মকালেই থাকে। গ্রীষ্মকাল চলে গেলে হাতপাখার খুব একটা চাহিদা আর থাকবে না। তাই লকডাউন কি আর কিছুদিনের মধ্যে উঠবে? এমনটাই প্রশ্ন হাতপাখা শিল্পীদের।।