রাজ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোণা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১। যাদের মধ্যে তমলুকের একই পরিবারের পাঁচ জনসহ এক হাতুড়ে ডাক্তার। এমন পরিস্থিতিতে …
রাজ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোণা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১। যাদের মধ্যে তমলুকের একই পরিবারের পাঁচ জনসহ এক হাতুড়ে ডাক্তার। এমন পরিস্থিতিতে গোটা এলাকায় করোনা সংক্রামণ রুখতে এবং করোনা আতঙ্ক থেকে সাধারণ মানুষকে বিরত রাখতে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল তমলুকের বল্লুক গ্রামের এক পান ব্যবসায়ীর শরীরে প্রথম ধরা পড়ে নোভেল করোনাভাইরাস। এরপরে তমলুক শহর জুড়ে নোভেল করোনাভাইরাস জাল বিস্তার করতে শুরু করে। ইতিমধ্যে ওই পান ব্যবসায়ীকে চিকিৎসা করা স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তারেও ধরা পড়েছে এই করোনাভাইরাস। যার ফলে এখন আতঙ্কিত গোটা তমলুক শহরের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে তমলুকের ওই পান ব্যবসায়ীর ১৪ জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালের বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মধ্যেও নোভেল করোনের উপসর্গ দেখা যায়। এরপর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এর তরফ থেকে ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের ১৪ জনের লালা রস সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে তাদের মধ্যে চারজনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। জানা গেছে ওই চারজন পান ব্যবসায়ী ওই বৃদ্ধের ভাই এর স্ত্রী, পুত্র ও বৃদ্ধের দুই ভাইপো। ইতিমধ্যে সকল করোনা আক্রান্তদের জেলার পাঁশকুড়া গড়ে ওঠা করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন স্থানীয় বল্লুক গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে দিনরাত এক করে গোটা এলাকায় সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে। গোটা এলাকায় বিশেষ টিম গঠন করে নজরদারি চালানো হচ্ছে কারোর মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কিনা। এছাড়াও প্রত্যেকদিন গোটা এলাকায় চলছে বিশেষ জীবাণুনাশক স্প্রে। বল্লুক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শরৎচন্দ্র মেট্যা জানান, "আমরা বিশেষ টিম গঠন করে সব সময় এলাকার মানুষদের পাশে রয়েছি। কারোর মধ্যে কোন করোনা উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে সঙ্গে সঙ্গে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে"।