নিমতৌড়ী স্বধর গৃহ হোমের মহিলারা সারাদিন ব্যস্ত মাক্স তৈরিতে।
মাক্স পরতেই হবে। নাহলে পুলিশ বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। নির্দেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই
পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়ি হোমের মহিলারা করোনা যুদ্ধে সামিল …
নিমতৌড়ী স্বধর গৃহ হোমের মহিলারা সারাদিন ব্যস্ত মাক্স তৈরিতে।
মাক্স পরতেই হবে। নাহলে পুলিশ বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। নির্দেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই
পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়ি হোমের মহিলারা করোনা যুদ্ধে সামিল হতে এগিয়ে এলো। ওদের কারো বাড়ী এই জেলায়, কারও ভিন জেলায়, আবার কারো বাড়ী ভিন রাজ্যে। বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র হলেও এখন ওরা পুলিশ, প্রশাসন, আদালতের নির্দেশে নিমতৌড়ী তমলুক উন্নয়ন সমিতি স্বধর গৃহ হোম ভগিনী নিবেদিতা, পূর্ব মেদিনীপুর হোমে থাকে। নির্যাতিতা, হারিয়ে যাওয়া, পাচার হয়ে যাওয়া আবার বিক্রি হয়ে যাওয়া ৪২ জন মহিলা ও ২জন শিশু তাদের মায়ের সাথে থাকে। অনেকেই শারিরীক, মানসিক প্রতিবন্ধী বা এইচ.আই.ভি রোগে আক্রান্ত, ওদের সুস্থ সবল করে কাউসিলিং এর মাধ্যমে বাড়ীর ঠিকানা খোঁজার সাথে সাথে স্বনির্ভর করে বাড়ীতে বা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে ২০০৮ সাল থেকে হোম পরিচালন কর্তৃপক্ষ কাজ করে আসছে। ওরা কেউ টেলারিং চালায়, কেউ নার্সারীতে চারা তৈরী করে, কেউ রান্না বান্না, জুটের কাজ করে সারাবছর ধরে। সিজিন অনুযায়ী কাজ করে স্ব-নির্ভরতার প্রয়াসে থাকে ওরা। পূজোর সময় পোশাক তৈরী, বর্ষায় আগে চারা তৈরী এছাড়াও সারা বছর ধরে জুট ও ন্যাপকিন তৈরীর কাজ করে। লকডাউন এর ফলে এখন এগুলো কেনা বেচার কাজ সবই বন্ধ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক তৈরীর কাজে মহিলারা হাত লাগিয়েছে। ১০জন মহিলা দিনভর মাস্ক তৈরীতে এখন ব্যস্ত। ইতিমধ্যে মাস্ক তৈরী করে হোমের আবাসিকদের, অভিভাবকদের, পথচলতি মানুষ, ড্রাইভার, এ্যাম্বুলেন্স চালকে বিনামূল্যে দিয়েছে এখন আরো ১০০০ (এক হাজার) মাস্ক তৈরীতে ব্যাস্ত ওরা। এই ১০০০ (এক হাজার) মাস্ক মাননীয় জেলা শাসকের মাধ্যমে মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে করোনা যুদ্ধে সামিল হতে চায়। ওরা নির্যাতিতা হতে পারে দিব্যাঙ্গ কিন্তু সামাজিক দায়িত্ব পালনে ওরা কিছুতেই কম নয়, হার মানতে রাজী নয় এই যুদ্ধে ওদের মনও কাঁদে এই মহামারিতে।