প্রেমানুভূতি
হিল্লোল তালুকদার
কেউ ভালবাসেনি আমায়,
বাঁকা চোখের চাহনিতে মাদকতা নিয়ে প্রকাশ করেনি ভালবাসা।
লাল, নীল শাড়ি পরে স্বলজ্জ হাসিতে অব্যক্ত ভাষায় সামনে দাঁড়িয়ে জানতে চায়নি, কেমন লাগছে?
মৃদু বাতাসে অবাধ্য চুল সরানোর উছি…
প্রেমানুভূতি
হিল্লোল তালুকদার
কেউ ভালবাসেনি আমায়,
বাঁকা চোখের চাহনিতে মাদকতা নিয়ে প্রকাশ করেনি ভালবাসা।
লাল, নীল শাড়ি পরে স্বলজ্জ হাসিতে অব্যক্ত ভাষায় সামনে দাঁড়িয়ে জানতে চায়নি, কেমন লাগছে?
মৃদু বাতাসে অবাধ্য চুল সরানোর উছিলায় শুনায়নি হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ির শব্দ।
খোলা চুল হাওয়ায় উড়িয়ে শুকতে দেয়নি সে ঘ্রাণ। হাতে হাত রেখে বিনুনি দুলিয়ে হাটেনি চপল পায়ে, হাটতে হাটতে জমে যাওয়া বিন্দু বিন্দু ঘাম,
মুছিয়ে দেয়নি সযত্নে পড়া শাড়ির আঁচলে।
ভোরের রাঙা আলো মুঠোভরে মাখতে চায়নি তুলতুলে কপোলে।
এলো চুল খোপা করে বলেনি শিশিরসিক্ত শিউলি নয়ত ঝরা বকুলের মালা পড়িয়ে দিতে।
বিকেলের শেষ আলোয় ভরসায় কাঁধে মাথা রেখে দেখতে চায়নি পাখিদের নীড়ে ফেরা।
গোধূলি আলো পেরিয়ে নেমে আসা অন্ধকারে ধরতে চায়নি বিশ্বস্ত হাত।
সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে অপলকে দেখতে চায়নি সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত।
ঝুম বৃষ্টিতে শুনতে চায়নি অপ্রকাশিত প্রেমের কাব্য।
অনুভব করতে দেয়নি অপ্রত্যাশিত স্পর্শের শিহরণ।
পরম নির্ভরতায় জড়িয়ে ধরে আশ্রয় খুঁজেনি এ বুকে।
পূর্নিমা রাতে জেগে থেকে শুনায়নি আবেগের বেসুরো গান।
রাতের নিরবতা ভেঙে তারাদের সাথে মিতালি করতে শেখায় নি।
ক্ষণিক কাছে পাওয়ার উন্মাদনার হৃদস্পন্দন অনুভব করতে দেয়নি কখনো।
তবুও ভালবাসা ফুরিয়ে যায় নি,
পূর্ণতার প্রহর প্রতিক্ষায় ব্যকুল নিরব ভালবাসা।