বিষয় --অনুগল্প
শিরোনাম:--* অনুরাগী মন*
কলমে:--------শিবানী গুপ্ত
শঙ্কর একমনে লিখছিলো।সহসা খুট্ করে শব্দ শুনে চমকে তাকায়,দেখে কবিতা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।শঙ্কর মৃদু হাসে,-- কি হলো?অমন করে কি দেখছো শুনি?
কবিতার চোখে মুগ্ধতা--তো…
বিষয় --অনুগল্প
শিরোনাম:--* অনুরাগী মন*
কলমে:--------শিবানী গুপ্ত
শঙ্কর একমনে লিখছিলো।সহসা খুট্ করে শব্দ শুনে চমকে তাকায়,দেখে কবিতা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।শঙ্কর মৃদু হাসে,-- কি হলো?অমন করে কি দেখছো শুনি?
কবিতার চোখে মুগ্ধতা--তোমাকে,তোমাকেই দেখছি--
শঙ্কর নাটুকে ভঙ্গীতে মাথা ঝাঁকায়--ওহো,তাই?
আমি ভিখিরী,যেটুকু পাই ,তাতেই কৃপাধন্য দেবী---
কবিতা চটুল হেসে হাতমুখ নেড়ে অপরূপ ভঙ্গীতে বলে,
"ওহে শঙ্কর মহাশয়,
করোনা এতোটাই বিনয়
বাকচাতুরীতে মনখানা যে
করেছো কবেই জয়-"----
শঙ্কর দুষ্টু হাসি ঠোঁটে মেখে কলমটা থুতনীতে রেখে ভুরু কুঁচকোয়-
"সেজন্য তো বলছি ,পেওনা ভয়
যতোই ছলছুতোয় মন করি জয়"--
কবিতা ও শঙ্করের কথায় বেশ কৌতুক অনুভব করে,তবু নিরীহ মুখে বলে--এ্যাই,ডালমুট খাবে?এনেছি-
শঙ্কর মাথা হেলিয়ে সায় দিতে দিতেই জবাব দেয়,না,না,কথা ঘুরালে শুনবো না
যা বলার,বলেই দাও না--
কবিতা মিষ্টি হেসে জবাব দেয়--
"বলার মতন কত কথাই তো আছে
কোনটা আগে,কোনটা বলি পাছে
দেখাশোনা হয়তো দু'জনার প্রতিদিন
বলবো নাহয় সবকিছু অন্য কোনদিন "-
শঙ্কর তাই শুনে মুখ ফিরিয়ে থাকে গোমড়া মুখো হয়ে, বেশ ,তবে থাক ,বলতে হবে না --
কবিতা আড়চোখে শঙ্করকে দেখে মুচকি হাসে,
ওমা!মান হলো কি সুজন আমার?
তুমিই আমার মনের দোসর
আলাপনে--নিরালাতে
শুধুমাত্র তোমার সাথে
বাঁধি আমি--ভালবাসার ঘর"--
শঙ্কর একথা শোনামাত্র চেয়ার ছেড়ে ওঠে এসে আনন্দে আচমকা জড়িয়ে ধরে কবিতার ওষ্ঠে চুমো খায়,-তাইতো তোমায় এতো ভালোবাসি ,খুউব ভালোবাসি--
কবিতা নিজেকে সরিয়ে নিয়ে দু'চোখ কপালে তুলে ,
" মস্তবড়ো গামলা চাই আমার
যেথা জায়গা হবে সকল ভালোবাসার
সেই গামলাতে দেবো ডুব
সোহাগ ঝরবে টুপ টুপ্"---
শঙ্কর কিন্তু কবিতার কথায় দমবার পাত্র নয়,সাথে সাথে বলে ওঠে -" গামলা?গামলা তো নয়
ড্রাম রেখেছি ঘরে
সেখানেই আমার ভালোবাসা
রাখবে তুমি ভরে "---
কবিতা এবারে মুখে আঁচল চাপা দিয়ে খিলখিল হাসিতে ফেটে পড়ে--- " মরে যাই,মরে যাই,এতো ভালবাসা
কখনো করিনি তো আশা"
শঙ্কর আবেগ ভরে তাকায়-
-আসবে প্রিয়ে,স্বপ্নে আমার পাশে
বলবো কথা তোমায় ভালোবেসে--
কবিতা চটুল লাস্যে ভ্রুভঙ্গি করে --
ডাকার মতন ডাকতে পারো যদি
আসবো ছুটে হয়ে মাতাল নদী
ভাসিয়ে নেবে সব
আমার অনুভব"--
শঙ্কর ও কম সেয়ানা নয়।দুষ্টুমিতে কম যায়না সেও-
নেমেছি গো নদী নেমেছি
তাতেই তো মরেছি
নেমে গিয়ে টের পাই
তুমি এক সমুদ্র গভীর
আমি তো পাইনে খুঁজে
কোন কূল --তীর !
হাসির দমকে কবিতার পেট ফুলে ওঠে শঙ্করের কথা শুনে।চোখ নাচিয়ে বলে,
ওফ্ বাপরে্ পারোও বটে ,থামো তো?
সেই থেকে এসেই কাব্যকথা যতো
শঙ্কর দরাজ গলায় ঘর কাঁপিয়ে হেসে ওঠে,-তা,কি করবো বলো,তুমিইতো আমার কবিতা,আমার গীতিকা --
কবিতা ধমকে ওঠে ,--খুব হয়েছে মশাই,অনেক হলো
এবারে চলো, সাঁঝ ঘনালো--