সমুদ্র সৈকত দীঘার হাল, বেহাল।। দূষণমুক্ত দীঘায় হোটেল মালিকদের মুখ ঢাকা (মাক্স)।।
ভিড়ে ঠাসা পর্যটকদের আনাগোনা দীঘার সমুদ্র সৈকতের সেই চেনা ছবি আজ আমূল পাল্টে গিয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তের আশঙ্কায় দীর্ঘ লকডাউনে পর্যটন কেন্দ্…
সমুদ্র সৈকত দীঘার হাল, বেহাল।। দূষণমুক্ত দীঘায় হোটেল মালিকদের মুখ ঢাকা (মাক্স)।।
ভিড়ে ঠাসা পর্যটকদের আনাগোনা দীঘার সমুদ্র সৈকতের সেই চেনা ছবি আজ আমূল পাল্টে গিয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তের আশঙ্কায় দীর্ঘ লকডাউনে পর্যটন কেন্দ্র দীঘা, শংকরপুর, মন্দারমনি, তাজপুর আজ জনমানবহীন।খাঁ খাঁ করছে চারিদিক মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিলাসবহুল হোটেল গুলি। সরকারি স্টলগুলো আজ তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শুধুমাত্র ঝাউবনে বাতাসের শব্দ আর সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন ছাড়া শুধুই নিস্তব্ধতা।
নিস্তব্ধতার অন্ধকারই হারিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকা। দীঘার সমুদ্রের টানে লাখে লাখে পর্যটকদের ভিড়ে জীবন চলতে হাজারো মানুষের। হকার থেকে ছোট দোকানদার, ভ্যান, রিক্সা চালক থেকে গাড়ি চালক সবই আজ স্তব্ধ। দীঘা, মন্দারমনি, তাজপুর, শংকরপুর পর্যটন কেন্দ্রে ছোট , বড়, বিলাসবহুল হোটেলগুলি আজ বড়ই একলা। হাজার থেকে বারোশো হোটেল রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। 50 থেকে 60 হাজার কর্মী রয়েছে যারা এই হোটেল গুলিতে কাজের সাথে যুক্ত। বেশিরভাগ হোটেল কর্মীরা বাড়ি ফিরে গিয়েছে। কিছু হোটেল কর্মী হোটেলের মধ্যেই রয়ে গিয়েছে। হোটেল মালিকরা এপ্রিল মাস পর্যন্ত হোটেল কর্মীদের বেতন দিয়ে এসেছে। কাজ না থাকায় হোটেল কর্মীরা আজ দিশেহারা। সমস্যায় পড়েছে হোটেল মালিকরা, একদিকে যেমন হোটেল কর্মীদের বেতন অন্যদিকে বিদ্যুতের বিল, ব্যাংকের ইএমআই, কেবল লাইন সহ বিভিন্ন খরচ বহন করতে হচ্ছে। সারা বছরের হোটেল ব্যবসা চললেও এপ্রিল-মে মাসে প্রচুর পর্যটক দীঘায় ভিড় জমানোয় লাভের মুখ দেখতেন হোটেল মালিকরা। এবছর দীর্ঘ লকডাউন এ হোটেল ব্যবসা পুরোটাই বন্ধ।হাজারো অট্টালিকার নিস্তব্ধতায় হাজারো হাজারো মানুষ প্রহর গুনছে কবে আবার প্রাণ ফিরে পাবে পর্যটন কেন্দ্র দীঘা।

