অস্থায়ী মহিলা কর্মচারী এক বছরের বকেয়া বেতন পাওয়ার পরেই করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন।।
ঝর্ণা পাঁজা দাস, হলদিয়া মহাকুমার কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন অস্থায়ী কর্মচারী। গত 2007 সাল থেকে এই কাজ …
অস্থায়ী মহিলা কর্মচারী এক বছরের বকেয়া বেতন পাওয়ার পরেই করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন।।
ঝর্ণা পাঁজা দাস, হলদিয়া মহাকুমার কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন অস্থায়ী কর্মচারী। গত 2007 সাল থেকে এই কাজ করে আসছে। মূলত কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাটা কানেকশন এর কাজ করতো। মাইনে ছিল মাত্র আড়াই হাজার টাকা।তাও কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা নিয়েছিল কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত। গত এক বছর মাইনে বন্ধ করে দিয়েছিল ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু দিদিকে বলো কর্মসূচি চলাকালীন অভিযোগ করেন ওই মহিলা। তারপরেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। প্রশাসন উদ্যোগ নেয় ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মীর বেতন মিটিয়ে দেওয়ার। সেইমতো গত ২০/০৩/২০ তারিখে সুতাহাটা থানার উদ্যোগে এক বছরের বেতন তুলে দেওয়া হয় ওই মহিলার হাতে। সেই বেতন হাতে পেয়ে অনেকটাই ভরসা পেয়েছেন ওই মহিলা। এক বছরের বেতন হাতে পেয়ে ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মচারীর মনে ইচ্ছে জাগে, মুখ্যমন্ত্রী আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে কিছু টাকা সাহায্য করবেন। সেই মতো শুক্রবার হলদিয়ার কুকড়াহাটি থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে পূর্ব মেদনীপুর জেলাশাসকের দপ্তরে এসে জেলাশাসক পার্থ ঘোষের হাতে পাঁচ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। দিদিকে বলো কর্মসূচি হওয়ার জন্যই আজ বকেয়া বেতন পেয়েছেন বলে মনে করেন ওই অস্থায়ী কর্মচারী মহিলা।