দৈনিক সেরা কলম সম্মাননা প্রতিযোগীতা –৬
কবিতা–"নদী আর মেয়ের উপাখ্যান"
কলমে– মৌসুমী মন্ডল
অচিন গাঁয়ের অচিন মেয়ে,নদীর ধারে ছোট্ট বাড়ি,
নদীতে যায় জল আনতে,পরণে তার ডুরে শাড়ি।
কলস টা তার অন্য রকম,খুব আলাদা সবার চেয়ে,
আপন হাত…
দৈনিক সেরা কলম সম্মাননা প্রতিযোগীতা –৬
কবিতা–"নদী আর মেয়ের উপাখ্যান"
কলমে– মৌসুমী মন্ডল
অচিন গাঁয়ের অচিন মেয়ে,নদীর ধারে ছোট্ট বাড়ি,
নদীতে যায় জল আনতে,পরণে তার ডুরে শাড়ি।
কলস টা তার অন্য রকম,খুব আলাদা সবার চেয়ে,
আপন হাতের আলপনাতে সাজিয়েছে যতনে মেয়ে।
সেই নদীতে রোজ দুপুরে,একটা ছেলের নৌকা ভাসে,
ডুরে শাড়ির মেয়েকে দেখে সেই ছেলেটা মুচকি হাসে।
তারপরে সেই নৌকাখানা,আবার হারায় নদীর বাঁকে,
একটু খানি দেখার আশায় ,চাতক চোখে তাকিয়ে থাকে।
মনের তিয়াস পূরণ হলে,জলের কলস পুর্ণ করে,
বুকের মাঝে খুশি নিয়ে মেয়েটা ধীরে ঘরে ফেরে।
দুপুরগুলো এমনতরো ,ছিল অচিন মায়ায় ভরা,
মায়ার ঘোরে মাতাল ছিল,পড়ে নি তাই চোখে ধরা।
ধীরে ধীরে শুকায় নদী, গভীরতা কমে গেছে,
এখান-ওখান নদীর বুকে ,পলি-বালুর চর পড়েছে।
বুঝলো মেয়ে,দেখলো যেদিন এলো না আর নৌকাটা সেই,
মানলো বুকে তৃষ্ণা আছে,কলস ভরার জল শুধু নেই।
শূন্য বুকে, শূন্য কলস,ফিরল মেয়ে নিজের বাড়ি,
দু-চোখের অশ্রুপাতের সাক্ষী ছিল ডুরে শাড়ি।
চাপা পড়া নদীটাকে ,মেয়েটা আজ ও মনে মনে....
ভালোবাসে আর লুকিয়ে কাঁদে নিঝুম রাতে খুব গোপনে।
শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতোই,শুকালো সেই ছেলের সাধ,
নদীপাড়ের মেয়েটা কাটায় চোখের জলে নিঘুম রাত।
শুষ্ক নদী, শূন্য কলস,বুকের ভেতর শূন্যতা,
গল্প এমন রোজ ই শুনি,তবুও রাখি মৌনতা।
.................মৌসুমী..............