কবিতা- দুই পৃথিবী
তরুণ মজুমদার
যুগ যুগ ধরে এখনো ক্ষুধার্ত আমি
কুঁড়ে ঘর বস্তি বা গোয়াল ঘরে আমার ঠাঁই,
সন্তানরা ঘুরে বেড়ায় ন্যাংটো বা অর্ধন্যাংটো হয়ে
নিরন্ন পেটে এক দানাও ভাত পড়ে নাই।
অথচ তুমি থাক রাজপ্রাসাদে,বড় বড় অট্টালিকায়
তো…
কবিতা- দুই পৃথিবী
তরুণ মজুমদার
যুগ যুগ ধরে এখনো ক্ষুধার্ত আমি
কুঁড়ে ঘর বস্তি বা গোয়াল ঘরে আমার ঠাঁই,
সন্তানরা ঘুরে বেড়ায় ন্যাংটো বা অর্ধন্যাংটো হয়ে
নিরন্ন পেটে এক দানাও ভাত পড়ে নাই।
অথচ তুমি থাক রাজপ্রাসাদে,বড় বড় অট্টালিকায়
তোমার ঘরে ফ্রীজ টিভি এসি কমপিউটার,
দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়াও
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি, পাঁচ কি ছয় সিটার।
যে সুগন্ধি চালের ভাত রোজ খাও তুমি
তার প্রতিটি দানায় আছে আমার ঘামের গন্ধ,
যে অট্টালিকায় তুমি থাক,তার প্রতিটি ইটে লেখা আমার শ্রম
তোমার গাড়ির ইঞ্জিনে আছে আমার কূশলী হাতের ছন্দ।
কিন্তু আমার জোটেনা ভাত,নতুন জামাকাপড়
তুমি লক্ষকোটি টাকা জমাও গরীবের গ্রাস কেড়ে,
আমরা কোটিতে কোটিতে অনাহারে থাকি দিনরাত
তুমি পাহাড় প্রমান মুনাফা বানাও আমাদের শ্রম মেরে।
শীতের রাতে আমরা যখন কাঁপি ঠক্ঠক্
তুমি তখন নীল আলোয় নাইটক্লাবে নাচো,
আমরা যখন বাসি রুটি, টুকরো করে ছিঁড়ি
তুমি তখন হুইস্কী খেয়ে নারীর শরীর যাঁচো।
আমরাও মানুষ, কিসে কম তোমাদের চেয়ে
কি অপরাধে আমার শিশু পায়না শিক্ষা দান,
তোমাদের সুখে রাখতে গিয়ে কঙ্কালসার আমরা
যুগ যুগ ধরে আমরাই কি দেবো বলিদান?