Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অপু দুর্গার সাহিত্য পত্রিকা সাপ্তাহিক লেখনী সম্মাননা

সাপ্তাহিক প্রতিযোগীতা পর্ব ১৮
বিষয়--- অনুগল্প
শিরোনাম--- সম্পর্ক
কলমে--- প্রীতম ভট্টাচার্য্য
তারিখ-- ২১.০৭.২০২০

সম্পর্ক ! শুধুই কি রক্তের হলেই তা বেশি প্রাধান্য পায় ? না ! কিছু সম্পর্ক এমন ও হয় যা মন থেকে গড়ে ওঠে । যেমন রাঙা দি…


সাপ্তাহিক প্রতিযোগীতা পর্ব ১৮
বিষয়--- অনুগল্প
শিরোনাম--- সম্পর্ক
কলমে--- প্রীতম ভট্টাচার্য্য
তারিখ-- ২১.০৭.২০২০

সম্পর্ক ! শুধুই কি রক্তের হলেই তা বেশি প্রাধান্য পায় ? না ! কিছু সম্পর্ক এমন ও হয় যা মন থেকে গড়ে ওঠে । যেমন রাঙা দিদা আর মন্টু ।
মন্টু পাড়ার বখাটে ছেলে । রোজ গুন্ডামি করে বেড়ায় । আজ এর সাথে ঝামেলা তো কাল তার সাথে । সবার কাছে সে খারাপ হলেও রাঙা দিদার কাছে সে খুব প্রিয় । রাঙা দিদার তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকেছে । দেখাশোনা করার কেউ নেউ ।
বিয়ে থা ?
না ! করেন নি !
মন্টু অনাথ । তাই হয়তো, রাঙা দিদার সাথে ওর একটা নীবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ।
মন্টু বখাটে হলেও সে যথেষ্ট শিক্ষিত । রাঙা দিদা ওকে বার বার বলতেন- "এসব না করে কিছু কাজ তো করতে পারিস ।" মন্টু কানেই তুলত না ।
আজ প্রায় এক সপ্তাহ পর মন্টু রাঙা দিদার বাড়ি এল । এসেই দেখছে রাঙা দিদার ধুম জ্বর । গা একেবারে পুড়ে যাচ্ছে । তক্ষনি ডাক্তার ডেকে আনল । ডাক্তার ওষুধ দিয়ে গেল । এরপর থেকে মন্টু রোজ আসে । রাঙা দিদাকে ওষুধ খাইয়ে দেয় । কিন্তু রাঙা দিদা ওষুধ খেতে চান না । শেষমেষ রাঙা দিদা মন্টুকে কথা দিতে বললেন যে সে নিজের ব্যবসা শুরু করবে আর তার জন্য যা টাকা লাগার রাঙা দিদা দেবেন । প্রথমে মন্টু রাজি না হলেও রাঙা দিদার জেদের সামনে হার মেনে গেল ।
এক বছর হল মন্টু নিজের ব্যাবসা শুরু করেছে । সেই সূত্রে তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয় ।
আজ ঠিক ছ মাস পর মন্টু রাঙা দিদার সাথে দেখা করতে এসেছে নিজের গাড়ি নিয়ে । ভেবেছিল রাঙা দিদাকে Surprise দেবে । কিন্তু এ কি ? রাঙা দিদার বড়ির সামনে এত ভীড় কেন ? ভীড় ঠেলে এগোতেই সে দেখল রাঙা দিদাকে মাটিতে শোয়ানো । তাঁর অন্তিম যাত্রা বের হবে । কান্নায় ভেঙে পড়ে মন্টু । সবাই যখন মন্টুকে বখাটে, বদমাশ বলে হেঁও করত, একমাত্র রাঙা দিদাই ছিল যে তাঁকে কাছে টেনে নিয়ে স্নেহের পরশ দিয়েছিল । আজ এই অনাথের মাথার ওপর থেকে রাঙা দিদার আশীর্বাদ রূপি হাত টাও আর থাকল না । কিন্তু পাড়ার সেই মানুষগুলো বুঝল, যে এই বদমাশ-বখাটে ছেলেটার ভেতর-ও একটা সংবেদনশীল ভাল মানুষ রয়েছে । যার খোঁজ রাঙা দিদা ছাড়া আর কেউ কখনও পায়নি ।