সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব ১৮
বিভাগ ঃ অণুগল্প
২১/৭/২০২০
কলমে ঃ সৈকত চাকী
শিরোনাম ঃ বলরামের মৃত্যু
অজ পাড়া গাঁয়ে একটি পাড়ায় ১০ টি বাড়ির ব্যবধানে বাস করত দুই বন্ধু। তাপস ও বলরাম। তাদের বেশ নাম ও ছিল ভাল ছেলে হিসেবে। বর্তমানে …
সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব ১৮
বিভাগ ঃ অণুগল্প
২১/৭/২০২০
কলমে ঃ সৈকত চাকী
শিরোনাম ঃ বলরামের মৃত্যু
অজ পাড়া গাঁয়ে একটি পাড়ায় ১০ টি বাড়ির ব্যবধানে বাস করত দুই বন্ধু। তাপস ও বলরাম। তাদের বেশ নাম ও ছিল ভাল ছেলে হিসেবে। বর্তমানে তাপস এম. এ করছে। আর বলরাম বাবা মারা যাওয়ার পর মা ও বোনের কথা ভেবে টাকার প্রয়োজনে পাড়ি দিয়েছিল ভিনরাজ্যে। সেখানে সে টাকা রোজগার করে বাড়িতে পাঠাত আর দুই মাসে একবার আসত। এভাবে ঠিকঠাকই চলছিল।
পড়ার চাপে তাপস আর বলরামের এক মাস হল কথা হয়নি। হঠাৎ একদিন বলরামের মা এসে তাপসকে বলরামের কথা জিজ্ঞেস করায় তাপস জানায় যে তার সাথে অনেকদিন কথা হয়নি বলরামের। কথাটা শুনে বলরামের মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন বোনের বিয়ের জন্য টাকা নিয়ে এই সপ্তাহে আসার কথা ওর। কিন্তু কিছুদিন হল ফোন করে পাচ্ছে না, নেট সমস্যা বলছিল। কিন্তু কাল থেকে switch off বলছে,তাই খুব চিন্তা হচ্ছে।
একথা শুনে তাপস ও একটু চিন্তায় পড়ে। সে বলরামের মা-কে বাড়ি পৌঁছে ফেরার পথে হঠাৎ মনে পড়ে বলরাম জিমূত নামে একটি ছেলের ফোন নম্বর দিয়েছিল যে ওর সাথে কাজ করে ওই ভিন্ রাজ্যে।
তাপস দেরি না করে ফোন করে জিমূতকে। প্রথমবার না ধরলেও দ্বিতীয়বার ধরে জিমূত জানায় যে বলরাম তিন দিন আগেই রওনা দিয়েছে বাড়ির উদ্দেশ্যে। কাল রাতেই পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। ফোন রেখে হেঁটে রাস্তা দিয়ে আসার সময় তাপসের নারায়ণ কাকুকে শোনে শহরে একটি পরিযায়ী শ্রমিক সহ একটি ট্রাক দুর্ঘটনার কথা বলতে।
শুনেই সে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কিচ্ছু না ভেবে। খবর নিয়ে যেই হাসপাতালে ওই লোকেদের নেওয়া হয়েছে সেখানে যায়। আর মৃতদেহ গুলির মধ্যে খুঁজে পায় বন্ধু বলরামকে। সে কান্নায় ভেঙে পড়ে। আর বলরামের মাকে কিকরে এসব বলবে এসব চিন্তা করতে থাকে।