পূর্ব মেদিনীপুরের ঢোকার আগেই জেলা পুলিশ আটকে দিল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু কে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাতুলিয়াতে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে আটকে দেওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের দ্বারা। বিজেপি নে…
পূর্ব মেদিনীপুরের ঢোকার আগেই জেলা পুলিশ আটকে দিল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু কে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাতুলিয়াতে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে আটকে দেওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের দ্বারা। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর অভিযোগ কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ তাকে এবং তার কর্ম কর্তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তিনি এটাও অভিযোগ করেন যে তৃণমূলের শাষন কালে রাজ্যে গনতন্ত্র বলে কিছুই নেই এবং রামনগরে তাদের বুথ সভাপতিকে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী দ্বারা খুন করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
আইন শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার প্রশ্নে আবারো জেলায় ঢুকতে বাঁধা দিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসুর গাড়ি আটকালো পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। শুক্রবার সকালে 6 নম্বর জাতীয় সড়কে পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া এলাকায় নাটকীয় ভাবে এই বিজেপির রাজ্য নেতাকে আটকানোর অভিযোগ উঠেছে। স্বভাবতই রাজ্য নেতাকে হেনস্থার অভিযোগ তুলে পুলিশের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। জাতীয় সড়কের ওপর ই বসে পড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। যদিওবা জাতীয় সড়ক জুড়ে 144 ধারা জারি করা হয়েছে জানিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্মীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরে দলীয় কর্মী ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই খুন করা হয়েছে বুথ স্তরের ওই নেতাকে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রামনগরের ওই মৃত কর্মীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য হাওড়া থেকে আসছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু।সঙ্গে ছিলেন বিজেপির তমলুক জেলা সংগঠনের সভাপতি নবারুণ নায়েক সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব রা। এই খবরে এদিন সকাল থেকে কোলাঘাটের হলদিয়া মোড় এলাকায় তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ব্যারিকেড তৈরি করে। কিন্তু সকাল প্রায় এগারটা নাগাদ পুলিশের ব্যারিকেড এড়িয়েই ছ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে সোজা খড়গপুর এর দিকে গাড়ি ছুটিয়ে এগোতে শুরু করেন সায়ন্তন বসু। কিন্তু পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া ফের সায়ন্তন বসু গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। স্বভাবতই রাজ্য নেতার গাড়ি আটকানোর অভিযোগে জাতীয় সড়কের উপরে বসেই বিক্ষোভ শুরু করেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে মাইকিং করে বিডিও ধেন ধুপ ভুটিয়া জানান, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জাতীয় সড়ক জুড়ে 144 নম্বর ধারা জারি করা হয়েছে। তাই এই আইন শৃঙ্খলা যাতে কোনোভাবেই ভঙ্গ না হয় সে বিষয়ে সকলকে আবেদন জানান। এরপরই পরিবহন ব্যবস্থা সচল রাখতে বিজেপি কর্মীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। অবশেষে প্রায় 45 মিনিট পর পুলিশি বাধায় ফের হাওড়া ফিরে যান সায়ন্তন বসু। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন, আমাদের আটকানোর জন্যই 144 ধারা জারি করার কথা বলছে পুলিশ। কিন্তু জাতীয় সড়কে কিভাবে আচমকাই 144 ধারা জারি করা হলো তা আমরা বুঝতে পারছি না। আসলে পুলিশ এখন দলদাসে পরিণত হয়েছে। শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ এমন কাজ করছে। এর জেরেই এখন প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যজুড়ে দলীয় কর্মীদের খুনের ঘটনা ঘটছে। শুধু রামনগর বা খেজুরি নয় সারা রাজ্য জুড়ে 107 জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে। তাই আমরা চাই আইনের শাসন বলবৎ হোক। কিন্তু এদিন সাতমাইল হয়ে রামনগর যাওয়ার পথে আমার গাড়িকে অন্যায় ভাবে আটকানো হল। যেটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) এম এম হাসান জানান, জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেও ভগবানপুর, খেজুরিতে দলীয় নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনার খবর পেয়েই জেলায় ছুটে এসেছিলেন বিজেপির এই রাজ্য নেতা। সে সময়ও এই রাজ্য নেতাকে কোলাঘাট থেকে ফিরে যেতে বাধ্য করে পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে ফের এই রাজ্য নেতার জেলায় আসার খবরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কোলাঘাটের হলদিয়া মোড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু শুক্রবার সায়ন্তন বসু না আসায় অবশেষে বিকেল তিনটের পর ফিরে যায় পুলিশ। এরপর ফির এদিন এই রাজ্য নেতার আসার খবরে সকাল থেকেই কোলাঘাটের হলদিয়া মোড়ে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।