দৈনিক প্রতিযোগিতা পর্ব -১৭
হঠাৎ বিয়ে
নবনীতা সই
7,7,20
কলেজে আমি ছিলাম কিছুটা ঐ বেকার নেতা মতন৷ সারাদিন হৈ হুল্লোর আর ইউনিয়ন নিয়ে ব্যস্ত৷ ওটাই আমার স্টাইল৷ সোজা কথা বস, ঐ বড়লোক বাপের পোদে রয়্যাল এনফিল্ড সাঁটানো মাল গুলোর সাথে আমি…
দৈনিক প্রতিযোগিতা পর্ব -১৭
হঠাৎ বিয়ে
নবনীতা সই
7,7,20
কলেজে আমি ছিলাম কিছুটা ঐ বেকার নেতা মতন৷ সারাদিন হৈ হুল্লোর আর ইউনিয়ন নিয়ে ব্যস্ত৷ ওটাই আমার স্টাইল৷ সোজা কথা বস, ঐ বড়লোক বাপের পোদে রয়্যাল এনফিল্ড সাঁটানো মাল গুলোর সাথে আমি পারতাম না৷
কি মুখের ভাষা তোর অনি!
মৌ বলে ওঠে , তুই চুপ কর তো বৈশালী, তোর আবার বেশী বেশী৷
মোটেই না৷
মোটেই হ্যাঁ৷ আসলে ফেসবুকে আজকাল লিখছে তো কেতা দেখাচ্ছে ৷
রাজন্য বলে, শোন মৌ ফেসবুকে সবাই লেখে সেই আ..
বল বল রাজন্য থামলি কেন?
বৈশালী প্লিজ রাগ করিস না৷
গাইস! প্লিজ কিপ কোয়াইট৷ এদের থেকে সিনিয়ার মহাশ্বেতা নিজের স্বভাব সিদ্ধ গাম্ভীর্যে বলে ওঠে, যে গল্পটা বলছে তাকে বলতে দাও৷ হ্যাঁ অনি বল৷
বৈশালী বলে ওঠে , হ্যাঁ অনি তুই বল৷ রাজন্যর তো....
দিলি তো মৌ গৃহযুদ্ধ শুরু করিয়ে?
লে হালুয়া ! আমি কি করলাম গুরু? তোর বৈশালী আজীবন তোকে নাচিয়ে যাচ্ছে৷
আহ্ থামবি তোরা? তুই বল অনি৷
মৌ , মহাশ্বেতা , রাজন্য, বৈশালী আর আমাদের গল্পের নায়ক অনি মানে অরিন্দম ভট্টাচার্য আজ অনেক বছর পর আবার এক জায়গায় হয়েছে৷
মৌ পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে ট্রেকিং করে ৷ মৌ সমকামী তাই বিয়ে করেনি৷
রাজন্য আর বৈশালী দুজনে চাকরী পাবার পর বিয়ে করে নিয়েছে ৷ আর মহাশ্বেতা চাকরী করছে, বিয়ে করেনি৷ কেন করেনি কেউ জানেনা৷
এখানে সবাই বহুদিন বাদে এক জায়গায় হয়েছে অরিন্দমের সেবকের বাড়িতে৷ পাহাড়ী জায়গা , তাই মৌ আগেই রাজি ছিলো৷ রাজন্য আর বৈশালী বিয়ের পাঁচ বছর পর বাচ্চা প্ল্যান করতে গ্যাংকট যাবে তাই ঢুঁ মেরেছে , মহাশ্বেতা অনেক বলাতে৷ আর মহাশ্বেতা সাতদিন আগেই এসেছে , যখন তোয়াকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়৷
অনি বারবার রিকুয়েস্ট করে আসার জন্য৷ তোয়া গত দুদিন আগে এখানকার এক নার্সিংহোমে , কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছে৷ নার্সিংহোম থেকে ছুটি পাবে আরও তিনদিন পর৷ এই কদিন সব বন্ধু মিলে অনির সাথে থাকবে ৷ তারপর আবার মৌ চলে যাবে , ছাংগু, রাজন্য আর বৈশালী গ্যাংটক আর মহাশ্বেতা সেই জলপাইগুড়ির লেডিস হোস্টেলে৷
হ্যাঁ যা বলছিলাম বলে, আবার অনি শুরু করে৷ জানিস তো আমার বাবা সামান্য কেরানী ৷ তবুও একছেলে বলে পড়াশুনায় কোন খামতি রাখেন নি৷ কিন্ত স্টাইল মারার পয়সা ছিলোনা৷ এরকম ছেলে কে তোয়া পাত্তাই দিতো না৷
হ্যাঁ বস কি করে পটালে?
এ্যাই চুপ রাজন্য৷
আরে কলেজে থাকতে তো আমাকে পাত্তাই দেয়নি৷
তুই চুপ কর অনি , তুই বুঝবি না, মনে মনে তোয়া তোকে নিশ্চয়ই পছন্দ করতো৷ হট করে কিছু হয়না৷
বাহ্ আমি শালা রোজ কত জেল মেরে স্টাইল ফাটাতাম আর পড়লো তোর প্রেমে?
শালা ঢ্যামনা , তুই ভর্তির পর থেকে বৈশালীর সাথে লটরপটর , সেটা কে না জানে?
যাই বলো মহাশ্বেতা দি এই মৌ আর অনির মুখটা বড্ড খারাপ ৷
তাও ভালো রে বৈশালী, আজকাল স্কুলের মেয়েদের দেখি তো৷ ভাবতেই অবাক লাগে আমরা কি ছিলাম আর এই নিউ জেনারেশন কি!!!
তুই ভাব কম নে৷ সরি সরি তুই বল অনি আর রাজন্য মুখে আঙ্গুল দে৷
সবাই গুজে রাখো৷
ওহ্ রাজন্য এমন ডাবল মিনিং কথা বললে আমি উঠে যাবো৷
লে কেলো! আমি কি করলাম ?
তোরা না ক্যাচক্যাচ কর আমি বা* ঘুমাতে যাই ৷
আরে থাম থাম ৷ বল অনি প্লিজ৷
সবাই প্লিজ চুপ৷ মহাশ্বেতা দি তুমি প্লিজ সবাই কে পকোড়া গুলো সার্ভ করে দাও ৷ আর কেউ কিন্তু ভাট বকবি না৷
তোয়া তো সারা কলেজে ঐ ধরি মাছ না ছুঁই পানি করে বেরাচ্ছে৷ মাল যে আমার জালে গেঁথে আছে কি করে জানবো? যেমন ছটপটে মেয়ে, আর তেমন সুন্দরী মা..
আবার ?
তুই চুপ কর বৈশালী৷
নাহ্ তোদের ভাষা আমি জাস্ট নিতে পারবো না৷ আমি বরঞ্চ ডিনার টা গরম করি৷
লেফটে কিচেন ৷ আর টেবিলে সব আছে৷
আরে !!
ও যাক অনি ৷ চিনিস না ওকে, মালটা যাচ্ছে গ্রুপে গ্রুপে কমেন্ট করতে৷ এই সাতটা আটটায় সব গ্রুপ গুলো সেরার তালিকা টাঙায় এখন সব জায়গায় কমেন্ট করবে৷
ভালোই আছে৷
আর বলিস না৷ তুই বল৷
হ্যাঁ আমার সাথে হট করে তোয়ার আবার যোগাযোগ হয়ে যায়, বসের পার্টিতে ৷ আর আমি তো তখন লয়েল গ্রুপে কাজ করছিলাম ৷
বাবা মা দুজনেই তখন বারাসতে থাকে৷ আমি ফ্ল্যাট ভাড়া করে রাজারহাটে ৷ বস একদিন ফ্যামিলি ফাংশানে ইনভাইট করেছিলো৷
আমাদের ম্যানেজারের শালীর সাথে বিয়ে ঠিক৷ সেদিন ছিলো ,এনগেজমেন্ট৷
আমি তো পুরো মাঞ্জা দিয়ে গেলাম৷ এসব পার্টিতে দারুন দারুন মেয়ে থাকে৷
হ্যাঁ সেজন্যই তো যাস৷
তুই চুপ কর মৌ৷ শোন না তারপর , আমি তো বেশ টুকটাক ঝাড়ি মারছি৷
মাসে মাসে বেতন পাচ্ছি ৷ বাবা মা ভালাই আছে ৷ কোন ঝুট ঝামেলা নেই৷ বসের নেক নজর আছে৷ ব্যাস ভালো একটা মেয়ে পটাতে পারলেই কেল্লা ফতে৷
সেই খানে গিয়ে দেখি, তোয়ার সাথে আমার বসের ইনগেজমেন্ট সেদিন৷
তোয়া তো আমাকে দেখে থ ৷ মুখটা কি শুকনো লাগছিলো৷
মোটেই না অনি, তুই বেশী বলছিস৷
তুই চুপ কর না মাতাজী৷ শোন যা বলছি৷ আমিও তোয়া কে দেখে অবাক৷ কলেজ ছাড়ার পর সবাই তো আমরা ছিটকে গেছি যে যার মতন৷
না ভাই অনি আমি ঠিক যোগাযোগ রাখি৷
সে রাখিস, যাই হোক আমার কলেজের ক্রাশ বলে কথা৷ বুকটা কেমন করে উঠলো বুঝলি?
আরে আমি বুঝেছি , অনি ঐ বুকের মোচড় কে গুরুত্ব দিয়ে আজ পাঁচ বছর জি হুজুরি করছি৷
চুপ কর বে , তুই বৈশালীর মতন মেয়ে পেয়েছিস৷
বলবো বৈশালী কে?
তুই বড় কুটকুটে মৌ৷
আরে থামা৷ তারপর কি জানিস, বুফে সিস্টেম , কত দারুণ দারুণ খাবার৷ বস নিজের ফ্যামিলি ফাংশানে ইনভাইট করেছে, ঠিক যতটা বুক ফুলিয়ে গিয়েছিলাম , ততটাই আমি চুপসে গিয়েছিলাম , তবুও মটন তো ছাড়া যায়না৷ আগে খেয়ে নিলাম৷ হট করে একটা বাচ্চা একটা ছোট্ট চিরকুট দিয়ে গেলো৷ দেখলাম লিপস্টিক দিয়ে নাম্বার লেখা৷ আর লেখা আর্জেন্ট ৷
রাতে ধীরেসুস্থে ফোন করলাম ৷
হ্যালো
এতো দেরী করলে?
না মানে!
মানে কি? আমার সহজ কতগুলো প্রশ্নের উত্তর দেবে?
দেবো, আগে বলো কেমন আছো?
ওসব পরে হবে৷
আচ্ছা বলো৷
তুমি বিয়ে করেছো?
না মানে কাউকে তেমন...
অত ভাট বলতে হবেনা৷ তুমি নেশা তো করোনা?
না মানে সিগারেট !
তোমার রক্তের গ্রুপ কি?
বি পজেটিভ , কেন কিছু হয়েছে ?
না হয়নি হবে৷
কি হবে?
যত্তসব আমার কপালে জোটে৷ তোমার বাবা মা কোথায় ?
বাবা মা বারাসতে থাকে, আমি ফ্ল্যাট নিয়ে ভাড়া থাকি৷
এ চাকরীটা ছাড়লে কাজ পাবে?
ছাড়বো কেন?
আগে বলো?
জানিনা৷
বৌ রোজগার করলে , ইগো তে লাগবে?
আরে কি বলে যাচ্ছো , তখন থেকে ধুত্তোরি ৷
আমাকে বিয়ে করবে?
এ্যা...
হ্যাঁ ..
আজ তো তো তো তো
মরণ , তোতলাচ্ছো কেন?
না মানে!
কোন মানে নেই ৷ শোনো আমি জানি কলেজে আমি তোমার ক্রাশ ছিলাম ৷ কিন্তু ভয়ে কোনদিন বলোনি ৷ আমিও তোমায় পছন্দ করতাম, কিন্তু ম্যানতা মারা ছেলে কেউ বিয়ে করে? সারাদিন লেকচার দিচ্ছে আর আমার সামনে আসলেই চুপ৷
না না আমি তো...
থাক আর তো তো করতে হবেনা৷ আমার মা আমার জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে ৷ জামাই বাবুর বস তাই ৷ সে আঁতেল আবার চাকরী করা পছন্দ করেন না, বনেদী পরিবার , জিন্স পড়া যাবে না৷ ফোঁকা যাবে না, যত্তসব ৷ আমি চাকরী করতে চাই ৷
মা কে বুঝিয়ে বলো৷
মা বুঝবে না৷ বাবা চলে যাবার পর আরও ম্যানিয়াক হয়ে গেছে৷ বড় জামাই বাবু ঘরজামাই থাকে৷ এখন মা , দিদি জামাই বাবু সকলে আমাকে বিদায় করতে পারলে বাঁচে ৷
বিয়ে করে নাও ৷ সমস্যা কি?
না, আমি এমন ছেলে বিয়ে করবো না৷ টাকা পয়সা থাকলেই হলো? আমি চাকরী করবো, নিজের মতন থাকবো৷
তাহলে বিয়ে কোরোনা৷
এই বিয়ে ভাঙলে আরও একটা জোগাড় হবে৷ আর মা ইমোশনাল অত্যাচার করে মারবে৷
তাহলে বলে দাও যে আ আ আ
আবার তোতলাচ্ছো কেন?
না মানে৷
কোন মানে নেই ৷ আমাকে নিয়ে পালিয়ে যাবে তো বলো?
কোথায় যাবো?
মহাশ্বেতা দিদি কে মনে আছে?
মহাশ্বেতা ? হ্যাঁ হ্যাঁ কেন?
ধুর এভাবে কথা হয়না৷ আমি আসছি৷
আসছি মানে?
তুমি আসবে নিতে না আমি আসবো?
কোথায় যেন বাড়িটা?
সাংঘাতিক ঘটনা !
আরও আছে৷ দাঁড়া৷
সবাই খেয়ে নাও ৷
আরে বৈশালী বসো বসো , শোনো আগে, তুমি দারুণ লেখার মশলা পাবে৷ পুরো সিনেমা ৷
চলো চলো , সব খেতে খেতে গল্প শোনো৷
আরে অনি বল তারপর..
তারপর কি গিয়ে দাঁড়ালাম ওদের বাড়ির কাছে৷ গলির মোড়টায় দাঁড়িয়ে ফোন করলাম ৷ টেনশানে ঘেমে নেয়ে যা তা৷
তুই বলছিস আমার টেনশান হচ্ছে ৷
দেখি একটা ব্যাগ নিয়ে আসছে৷ আমি ভাবলাম কেলো৷ হট করে আজ দু তিন বছর পর একেবারে বিয়ে?
তারপর৷
তারপর কি সোজা মোটর সাইকেলে উঠে বলে চলো৷
ফ্ল্যাটে আনলাম ৷
বললো আগে জল দাও ৷
তোকে খুব বিশ্বাস করেছে রে৷
হাঁ এমন ভাবে বলছিস যেন আমি ফ্ল্যাটে এনেই ঝাপিয়ে পড়েছি৷
তোর গুরু ক্যালি আছে৷
তারপর বল, রাজন্য সস টা পাস করোনা৷
আমাকে একটু ঝোল দাও ৷ তুই বল৷
কিছুক্ষন পর না , কেঁদে উঠেছে৷
আমি তো তখন ভয়ে কাঠ ৷ এই সময়ে যদি কোন ক্যাচাল হয়, শালা চাকরী তো গেলো, পুলিশি ঝামেলা আলাদা৷
সে তো থামেনা ৷ আমি বললাম আমি কি আবার গিয়ে তোমায় দিয়ে আসবো?
আরও কাঁদে৷
পুরো কেস জন্ডিস৷
তারপর বলে, তুমি বিয়ে যদি না করো তবুও আমি আর ঐ বাড়ি ফিরে যাবো না৷ আমি চাকরী পেয়েছি৷ মহাশ্বেতা দি করিয়ে দিয়েছে৷ কলেজে আমাদের সিনিয়ার ছিলো৷ খুব ভালো গান করতো৷
হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে৷
মহাশ্বেতা দি চাকরী করে , জলপাইগুড়িতে৷ সেখানে আমার চাকরী হয়ে গেছে৷ আমি চলে যাবো৷ আমি কিছুতেই পালাতে পারছিলাম না৷
কিন্তু আমাকে ..
হ্যাঁ তুমি ভাবতে পারো, তোমাকে কেন জড়ালাম ৷ তোমায় আমি চিনি, জানি ৷ তুমি আমাকে পছন্দ করতে তাও জানতাম ৷ আমি যদি ওখানে গিয়ে চাকরী করতাম , মা দিদি জামাই বাবু সবাই মিলে ওখানে গিয়ে ঝামেলা করতো৷ তোমাকে বিয়ে করে নিলে আর সমস্যা নেই ৷ কিন্তু আমি শুধু নিজেটা ই চিন্তা করেছি৷ আজ যখন অনুষ্ঠানে তোমাকে দেখলাম তখন মনে হলো, ভগবানের কৃপা এটা৷ একটা সুযোগ নিজের মতন বাঁচার৷
তারপর কি করলি?
কি করবে? ছেলেরা যা করে, ক্ষুদিরাম হয়ে গেলো৷
তুমি চুপ করো তো৷ কি রোমান্টিক ব্যপার৷
তুমি কি বুঝবে , তখন ওর কি ফাটছিলো৷
যাতা তুমি৷
এটা ঠিক বলেছিস রাজন্য৷
হ্যাঁ ঠিক ৷ তবে কি জানিস আমি ভালো আছি৷ বারাসত চলে গেলাম পরদিন সকালে৷ সোজা মা বাবার কাছে৷ মা কেন জানিনা কোন অমত করেনি৷
আরে ভেবেছে , জোটালো কি করে?
তুই চুপ কর৷
হ্যাঁ রে ঠিক৷ বারাসত কালীবাড়িতে পরদিন বিয়ে করে সোজা অফিসে এসে রিজাইন করলাম ৷ ফ্ল্যাট ছেড়ে, তোয়াকে নিয়ে ওদের বাড়িতে গেলাম৷ ওর মা তোয়ার মুখ দেখেনি৷ ডোন্ট কেয়ার , মহিলা পুরো বড় জামাই য়ের কথামত চলে৷
আমরা শিলিগুড়ি চলে আসলাম৷ সেখান থেকেই সেবকের এই মেডিসিন কম্পানি তে আমি কাজ পেলাম ৷ তোয়া ও এখানের একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে চাকরী পেয়ে গেলো৷ প্রথমে আমি ওর জন্য জব ছেড়েছিলাম , এবার ও ছাড়লো৷ ব্যাস দুজনে এই তিস্তার ধারে , পুরো জমে গেলাম৷ বাবার শরীর টা ভালো না তাই মা আসতে পারেনি৷ মহাশ্বেতা দি চলে আসলো৷
তোয়ার মা আসলো না?
নাহ্ তোয়ার মা আজও মেনে নেয়নি বা ওর জামাই বাবু মানতে দেয়নি৷
তোরা কিন্ত দারুণ আছিস৷
হ্যাঁ এবার বেশ কদিনের জন্য বারাসত যাবো৷ ছুটি জমিয়ে রেখেছি৷
থ্রি চিয়ার্স ফর অনি
হিপ হিপ হুররে৷
শেষ৷
হঠাৎ বিয়ে
নবনীতা সই
7,7,20
কলেজে আমি ছিলাম কিছুটা ঐ বেকার নেতা মতন৷ সারাদিন হৈ হুল্লোর আর ইউনিয়ন নিয়ে ব্যস্ত৷ ওটাই আমার স্টাইল৷ সোজা কথা বস, ঐ বড়লোক বাপের পোদে রয়্যাল এনফিল্ড সাঁটানো মাল গুলোর সাথে আমি পারতাম না৷
কি মুখের ভাষা তোর অনি!
মৌ বলে ওঠে , তুই চুপ কর তো বৈশালী, তোর আবার বেশী বেশী৷
মোটেই না৷
মোটেই হ্যাঁ৷ আসলে ফেসবুকে আজকাল লিখছে তো কেতা দেখাচ্ছে ৷
রাজন্য বলে, শোন মৌ ফেসবুকে সবাই লেখে সেই আ..
বল বল রাজন্য থামলি কেন?
বৈশালী প্লিজ রাগ করিস না৷
গাইস! প্লিজ কিপ কোয়াইট৷ এদের থেকে সিনিয়ার মহাশ্বেতা নিজের স্বভাব সিদ্ধ গাম্ভীর্যে বলে ওঠে, যে গল্পটা বলছে তাকে বলতে দাও৷ হ্যাঁ অনি বল৷
বৈশালী বলে ওঠে , হ্যাঁ অনি তুই বল৷ রাজন্যর তো....
দিলি তো মৌ গৃহযুদ্ধ শুরু করিয়ে?
লে হালুয়া ! আমি কি করলাম গুরু? তোর বৈশালী আজীবন তোকে নাচিয়ে যাচ্ছে৷
আহ্ থামবি তোরা? তুই বল অনি৷
মৌ , মহাশ্বেতা , রাজন্য, বৈশালী আর আমাদের গল্পের নায়ক অনি মানে অরিন্দম ভট্টাচার্য আজ অনেক বছর পর আবার এক জায়গায় হয়েছে৷
মৌ পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে ট্রেকিং করে ৷ মৌ সমকামী তাই বিয়ে করেনি৷
রাজন্য আর বৈশালী দুজনে চাকরী পাবার পর বিয়ে করে নিয়েছে ৷ আর মহাশ্বেতা চাকরী করছে, বিয়ে করেনি৷ কেন করেনি কেউ জানেনা৷
এখানে সবাই বহুদিন বাদে এক জায়গায় হয়েছে অরিন্দমের সেবকের বাড়িতে৷ পাহাড়ী জায়গা , তাই মৌ আগেই রাজি ছিলো৷ রাজন্য আর বৈশালী বিয়ের পাঁচ বছর পর বাচ্চা প্ল্যান করতে গ্যাংকট যাবে তাই ঢুঁ মেরেছে , মহাশ্বেতা অনেক বলাতে৷ আর মহাশ্বেতা সাতদিন আগেই এসেছে , যখন তোয়াকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়৷
অনি বারবার রিকুয়েস্ট করে আসার জন্য৷ তোয়া গত দুদিন আগে এখানকার এক নার্সিংহোমে , কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছে৷ নার্সিংহোম থেকে ছুটি পাবে আরও তিনদিন পর৷ এই কদিন সব বন্ধু মিলে অনির সাথে থাকবে ৷ তারপর আবার মৌ চলে যাবে , ছাংগু, রাজন্য আর বৈশালী গ্যাংটক আর মহাশ্বেতা সেই জলপাইগুড়ির লেডিস হোস্টেলে৷
হ্যাঁ যা বলছিলাম বলে, আবার অনি শুরু করে৷ জানিস তো আমার বাবা সামান্য কেরানী ৷ তবুও একছেলে বলে পড়াশুনায় কোন খামতি রাখেন নি৷ কিন্ত স্টাইল মারার পয়সা ছিলোনা৷ এরকম ছেলে কে তোয়া পাত্তাই দিতো না৷
হ্যাঁ বস কি করে পটালে?
এ্যাই চুপ রাজন্য৷
আরে কলেজে থাকতে তো আমাকে পাত্তাই দেয়নি৷
তুই চুপ কর অনি , তুই বুঝবি না, মনে মনে তোয়া তোকে নিশ্চয়ই পছন্দ করতো৷ হট করে কিছু হয়না৷
বাহ্ আমি শালা রোজ কত জেল মেরে স্টাইল ফাটাতাম আর পড়লো তোর প্রেমে?
শালা ঢ্যামনা , তুই ভর্তির পর থেকে বৈশালীর সাথে লটরপটর , সেটা কে না জানে?
যাই বলো মহাশ্বেতা দি এই মৌ আর অনির মুখটা বড্ড খারাপ ৷
তাও ভালো রে বৈশালী, আজকাল স্কুলের মেয়েদের দেখি তো৷ ভাবতেই অবাক লাগে আমরা কি ছিলাম আর এই নিউ জেনারেশন কি!!!
তুই ভাব কম নে৷ সরি সরি তুই বল অনি আর রাজন্য মুখে আঙ্গুল দে৷
সবাই গুজে রাখো৷
ওহ্ রাজন্য এমন ডাবল মিনিং কথা বললে আমি উঠে যাবো৷
লে কেলো! আমি কি করলাম ?
তোরা না ক্যাচক্যাচ কর আমি বা* ঘুমাতে যাই ৷
আরে থাম থাম ৷ বল অনি প্লিজ৷
সবাই প্লিজ চুপ৷ মহাশ্বেতা দি তুমি প্লিজ সবাই কে পকোড়া গুলো সার্ভ করে দাও ৷ আর কেউ কিন্তু ভাট বকবি না৷
তোয়া তো সারা কলেজে ঐ ধরি মাছ না ছুঁই পানি করে বেরাচ্ছে৷ মাল যে আমার জালে গেঁথে আছে কি করে জানবো? যেমন ছটপটে মেয়ে, আর তেমন সুন্দরী মা..
আবার ?
তুই চুপ কর বৈশালী৷
নাহ্ তোদের ভাষা আমি জাস্ট নিতে পারবো না৷ আমি বরঞ্চ ডিনার টা গরম করি৷
লেফটে কিচেন ৷ আর টেবিলে সব আছে৷
আরে !!
ও যাক অনি ৷ চিনিস না ওকে, মালটা যাচ্ছে গ্রুপে গ্রুপে কমেন্ট করতে৷ এই সাতটা আটটায় সব গ্রুপ গুলো সেরার তালিকা টাঙায় এখন সব জায়গায় কমেন্ট করবে৷
ভালোই আছে৷
আর বলিস না৷ তুই বল৷
হ্যাঁ আমার সাথে হট করে তোয়ার আবার যোগাযোগ হয়ে যায়, বসের পার্টিতে ৷ আর আমি তো তখন লয়েল গ্রুপে কাজ করছিলাম ৷
বাবা মা দুজনেই তখন বারাসতে থাকে৷ আমি ফ্ল্যাট ভাড়া করে রাজারহাটে ৷ বস একদিন ফ্যামিলি ফাংশানে ইনভাইট করেছিলো৷
আমাদের ম্যানেজারের শালীর সাথে বিয়ে ঠিক৷ সেদিন ছিলো ,এনগেজমেন্ট৷
আমি তো পুরো মাঞ্জা দিয়ে গেলাম৷ এসব পার্টিতে দারুন দারুন মেয়ে থাকে৷
হ্যাঁ সেজন্যই তো যাস৷
তুই চুপ কর মৌ৷ শোন না তারপর , আমি তো বেশ টুকটাক ঝাড়ি মারছি৷
মাসে মাসে বেতন পাচ্ছি ৷ বাবা মা ভালাই আছে ৷ কোন ঝুট ঝামেলা নেই৷ বসের নেক নজর আছে৷ ব্যাস ভালো একটা মেয়ে পটাতে পারলেই কেল্লা ফতে৷
সেই খানে গিয়ে দেখি, তোয়ার সাথে আমার বসের ইনগেজমেন্ট সেদিন৷
তোয়া তো আমাকে দেখে থ ৷ মুখটা কি শুকনো লাগছিলো৷
মোটেই না অনি, তুই বেশী বলছিস৷
তুই চুপ কর না মাতাজী৷ শোন যা বলছি৷ আমিও তোয়া কে দেখে অবাক৷ কলেজ ছাড়ার পর সবাই তো আমরা ছিটকে গেছি যে যার মতন৷
না ভাই অনি আমি ঠিক যোগাযোগ রাখি৷
সে রাখিস, যাই হোক আমার কলেজের ক্রাশ বলে কথা৷ বুকটা কেমন করে উঠলো বুঝলি?
আরে আমি বুঝেছি , অনি ঐ বুকের মোচড় কে গুরুত্ব দিয়ে আজ পাঁচ বছর জি হুজুরি করছি৷
চুপ কর বে , তুই বৈশালীর মতন মেয়ে পেয়েছিস৷
বলবো বৈশালী কে?
তুই বড় কুটকুটে মৌ৷
আরে থামা৷ তারপর কি জানিস, বুফে সিস্টেম , কত দারুণ দারুণ খাবার৷ বস নিজের ফ্যামিলি ফাংশানে ইনভাইট করেছে, ঠিক যতটা বুক ফুলিয়ে গিয়েছিলাম , ততটাই আমি চুপসে গিয়েছিলাম , তবুও মটন তো ছাড়া যায়না৷ আগে খেয়ে নিলাম৷ হট করে একটা বাচ্চা একটা ছোট্ট চিরকুট দিয়ে গেলো৷ দেখলাম লিপস্টিক দিয়ে নাম্বার লেখা৷ আর লেখা আর্জেন্ট ৷
রাতে ধীরেসুস্থে ফোন করলাম ৷
হ্যালো
এতো দেরী করলে?
না মানে!
মানে কি? আমার সহজ কতগুলো প্রশ্নের উত্তর দেবে?
দেবো, আগে বলো কেমন আছো?
ওসব পরে হবে৷
আচ্ছা বলো৷
তুমি বিয়ে করেছো?
না মানে কাউকে তেমন...
অত ভাট বলতে হবেনা৷ তুমি নেশা তো করোনা?
না মানে সিগারেট !
তোমার রক্তের গ্রুপ কি?
বি পজেটিভ , কেন কিছু হয়েছে ?
না হয়নি হবে৷
কি হবে?
যত্তসব আমার কপালে জোটে৷ তোমার বাবা মা কোথায় ?
বাবা মা বারাসতে থাকে, আমি ফ্ল্যাট নিয়ে ভাড়া থাকি৷
এ চাকরীটা ছাড়লে কাজ পাবে?
ছাড়বো কেন?
আগে বলো?
জানিনা৷
বৌ রোজগার করলে , ইগো তে লাগবে?
আরে কি বলে যাচ্ছো , তখন থেকে ধুত্তোরি ৷
আমাকে বিয়ে করবে?
এ্যা...
হ্যাঁ ..
আজ তো তো তো তো
মরণ , তোতলাচ্ছো কেন?
না মানে!
কোন মানে নেই ৷ শোনো আমি জানি কলেজে আমি তোমার ক্রাশ ছিলাম ৷ কিন্তু ভয়ে কোনদিন বলোনি ৷ আমিও তোমায় পছন্দ করতাম, কিন্তু ম্যানতা মারা ছেলে কেউ বিয়ে করে? সারাদিন লেকচার দিচ্ছে আর আমার সামনে আসলেই চুপ৷
না না আমি তো...
থাক আর তো তো করতে হবেনা৷ আমার মা আমার জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে ৷ জামাই বাবুর বস তাই ৷ সে আঁতেল আবার চাকরী করা পছন্দ করেন না, বনেদী পরিবার , জিন্স পড়া যাবে না৷ ফোঁকা যাবে না, যত্তসব ৷ আমি চাকরী করতে চাই ৷
মা কে বুঝিয়ে বলো৷
মা বুঝবে না৷ বাবা চলে যাবার পর আরও ম্যানিয়াক হয়ে গেছে৷ বড় জামাই বাবু ঘরজামাই থাকে৷ এখন মা , দিদি জামাই বাবু সকলে আমাকে বিদায় করতে পারলে বাঁচে ৷
বিয়ে করে নাও ৷ সমস্যা কি?
না, আমি এমন ছেলে বিয়ে করবো না৷ টাকা পয়সা থাকলেই হলো? আমি চাকরী করবো, নিজের মতন থাকবো৷
তাহলে বিয়ে কোরোনা৷
এই বিয়ে ভাঙলে আরও একটা জোগাড় হবে৷ আর মা ইমোশনাল অত্যাচার করে মারবে৷
তাহলে বলে দাও যে আ আ আ
আবার তোতলাচ্ছো কেন?
না মানে৷
কোন মানে নেই ৷ আমাকে নিয়ে পালিয়ে যাবে তো বলো?
কোথায় যাবো?
মহাশ্বেতা দিদি কে মনে আছে?
মহাশ্বেতা ? হ্যাঁ হ্যাঁ কেন?
ধুর এভাবে কথা হয়না৷ আমি আসছি৷
আসছি মানে?
তুমি আসবে নিতে না আমি আসবো?
কোথায় যেন বাড়িটা?
সাংঘাতিক ঘটনা !
আরও আছে৷ দাঁড়া৷
সবাই খেয়ে নাও ৷
আরে বৈশালী বসো বসো , শোনো আগে, তুমি দারুণ লেখার মশলা পাবে৷ পুরো সিনেমা ৷
চলো চলো , সব খেতে খেতে গল্প শোনো৷
আরে অনি বল তারপর..
তারপর কি গিয়ে দাঁড়ালাম ওদের বাড়ির কাছে৷ গলির মোড়টায় দাঁড়িয়ে ফোন করলাম ৷ টেনশানে ঘেমে নেয়ে যা তা৷
তুই বলছিস আমার টেনশান হচ্ছে ৷
দেখি একটা ব্যাগ নিয়ে আসছে৷ আমি ভাবলাম কেলো৷ হট করে আজ দু তিন বছর পর একেবারে বিয়ে?
তারপর৷
তারপর কি সোজা মোটর সাইকেলে উঠে বলে চলো৷
ফ্ল্যাটে আনলাম ৷
বললো আগে জল দাও ৷
তোকে খুব বিশ্বাস করেছে রে৷
হাঁ এমন ভাবে বলছিস যেন আমি ফ্ল্যাটে এনেই ঝাপিয়ে পড়েছি৷
তোর গুরু ক্যালি আছে৷
তারপর বল, রাজন্য সস টা পাস করোনা৷
আমাকে একটু ঝোল দাও ৷ তুই বল৷
কিছুক্ষন পর না , কেঁদে উঠেছে৷
আমি তো তখন ভয়ে কাঠ ৷ এই সময়ে যদি কোন ক্যাচাল হয়, শালা চাকরী তো গেলো, পুলিশি ঝামেলা আলাদা৷
সে তো থামেনা ৷ আমি বললাম আমি কি আবার গিয়ে তোমায় দিয়ে আসবো?
আরও কাঁদে৷
পুরো কেস জন্ডিস৷
তারপর বলে, তুমি বিয়ে যদি না করো তবুও আমি আর ঐ বাড়ি ফিরে যাবো না৷ আমি চাকরী পেয়েছি৷ মহাশ্বেতা দি করিয়ে দিয়েছে৷ কলেজে আমাদের সিনিয়ার ছিলো৷ খুব ভালো গান করতো৷
হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে৷
মহাশ্বেতা দি চাকরী করে , জলপাইগুড়িতে৷ সেখানে আমার চাকরী হয়ে গেছে৷ আমি চলে যাবো৷ আমি কিছুতেই পালাতে পারছিলাম না৷
কিন্তু আমাকে ..
হ্যাঁ তুমি ভাবতে পারো, তোমাকে কেন জড়ালাম ৷ তোমায় আমি চিনি, জানি ৷ তুমি আমাকে পছন্দ করতে তাও জানতাম ৷ আমি যদি ওখানে গিয়ে চাকরী করতাম , মা দিদি জামাই বাবু সবাই মিলে ওখানে গিয়ে ঝামেলা করতো৷ তোমাকে বিয়ে করে নিলে আর সমস্যা নেই ৷ কিন্তু আমি শুধু নিজেটা ই চিন্তা করেছি৷ আজ যখন অনুষ্ঠানে তোমাকে দেখলাম তখন মনে হলো, ভগবানের কৃপা এটা৷ একটা সুযোগ নিজের মতন বাঁচার৷
তারপর কি করলি?
কি করবে? ছেলেরা যা করে, ক্ষুদিরাম হয়ে গেলো৷
তুমি চুপ করো তো৷ কি রোমান্টিক ব্যপার৷
তুমি কি বুঝবে , তখন ওর কি ফাটছিলো৷
যাতা তুমি৷
এটা ঠিক বলেছিস রাজন্য৷
হ্যাঁ ঠিক ৷ তবে কি জানিস আমি ভালো আছি৷ বারাসত চলে গেলাম পরদিন সকালে৷ সোজা মা বাবার কাছে৷ মা কেন জানিনা কোন অমত করেনি৷
আরে ভেবেছে , জোটালো কি করে?
তুই চুপ কর৷
হ্যাঁ রে ঠিক৷ বারাসত কালীবাড়িতে পরদিন বিয়ে করে সোজা অফিসে এসে রিজাইন করলাম ৷ ফ্ল্যাট ছেড়ে, তোয়াকে নিয়ে ওদের বাড়িতে গেলাম৷ ওর মা তোয়ার মুখ দেখেনি৷ ডোন্ট কেয়ার , মহিলা পুরো বড় জামাই য়ের কথামত চলে৷
আমরা শিলিগুড়ি চলে আসলাম৷ সেখান থেকেই সেবকের এই মেডিসিন কম্পানি তে আমি কাজ পেলাম ৷ তোয়া ও এখানের একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে চাকরী পেয়ে গেলো৷ প্রথমে আমি ওর জন্য জব ছেড়েছিলাম , এবার ও ছাড়লো৷ ব্যাস দুজনে এই তিস্তার ধারে , পুরো জমে গেলাম৷ বাবার শরীর টা ভালো না তাই মা আসতে পারেনি৷ মহাশ্বেতা দি চলে আসলো৷
তোয়ার মা আসলো না?
নাহ্ তোয়ার মা আজও মেনে নেয়নি বা ওর জামাই বাবু মানতে দেয়নি৷
তোরা কিন্ত দারুণ আছিস৷
হ্যাঁ এবার বেশ কদিনের জন্য বারাসত যাবো৷ ছুটি জমিয়ে রেখেছি৷
থ্রি চিয়ার্স ফর অনি
হিপ হিপ হুররে৷
শেষ৷