খুঁজি ব্রাহ্ম খুঁজি বহ্নি
------------------------------
অনমিত্র সান্যাল
-----------------------
০৯/০৭/২০২০
----------------------
হে গভীর হাওয়ার সঙ্গী
হে আমার ঠাকুরঘরের ব্রাহ্ম সময়,
নকল আলোর বহ্নি,
চিরনমস্য সাঁতরে আসা দিব্য…
খুঁজি ব্রাহ্ম খুঁজি বহ্নি
------------------------------
অনমিত্র সান্যাল
-----------------------
০৯/০৭/২০২০
----------------------
হে গভীর হাওয়ার সঙ্গী
হে আমার ঠাকুরঘরের ব্রাহ্ম সময়,
নকল আলোর বহ্নি,
চিরনমস্য সাঁতরে আসা দিব্য,
দ্বিধার প্রশ্নে, প্রাত্যহিকের পুষ্প,
রামধনুতে আটকে থাকা সাতসকালের
ধুলো,তোমার
বিশদ জোড়া অন্ধকারের বন্ধ,
ভাসাও
আমায় ভাসাও,
ঘরের আলো নিবিয়ে দিলে ভণ্ড সুখের ভষ্মাধারে,বন্ধ হবে সাতকাহনে স্বপ্নগুলোর আশা-ও।
বৃহত্তর পল্লবিত সুখ,
হাতের মুঠোয় জাম-পলাশের মরশুমি ফাঁদ প্রবৃত্তিদান, আছড়ে পড়া জলে, বইতে দেওয়া বাতাস ,
বাউল তোমার অজান্তে চুরমার, গান বাইতে অজস্র ঘরদোর, সুর পেরোনো ডিঙি,
অন্ধকার-ও নামলো ফিঙে-র ডানায়,
বাউল তোমার সেই বাউলায় ব্রাত্য চড়াই,শালিক-ঘুঘুর চর পেরোনো স্রোত,
পদ্য লেখা, গাছের ডালে,অপরাহ্ন কই?
নিহত রাত দিব্যি শুয়ে আছে।
তোমার বর্ণে,তোমার অযুত আলোর বরনযোগ্য স্পর্শে,ব্রহ্ম তোমার লব্ধ, রক্তে লাগুক তুঙ্গভদ্রা ঘ্রাণ, চুর্ণী-তে আজ অজস্র তানপুরা, মিলনে তাই স্রোতস্বিনী-র প্রান।
আলেয়াতেই পুড়ুক তোমার রঙ,
অগ্নি,তুমি রক্ষা করো পূর্ণ চাঁদের আলো,
নদীর জলে বুকফাটা চৌচির,
সঙ্গে নিয়ে সমুদ্দুরের ডাক,
স্বৈরাচারী-র দায়িত্বহীন রাত,ফ্রেমে বাঁধা ছবির মতো বন্দী,
শিশুর মতো ছিঁড়ছে মালার সুতো,রুদ্ধবাকেও নকল অশ্রুপাত।
আমার ভাগ্যি নদীর জল,শব্দ ডোবায় নিরস্ত্র দৃকপাত,সুড়ঙ্গে নিশ্চুপ,
আলো হাওয়ায় ঘূর্ণি লাগে বুকে,ঠান্ডা হাওয়ায় পাঁজরে ঠুকঠাক,
গঙ্গাফড়িং,খেজুরতলা পার,
জোনাকপোকায় কি যেন নীল আলো,অগ্নিতে যার নিঃশেষিত কচি বুকের নিভন্ত দিনমান ,বাজির মতো পুড়ছে যে চটপট,
পোড়াও শুধু পোড়াও,আদিগন্ত গোলার মতো ঘোরাও।
খবরদারির দু-মুঠো চুপচাপ,
মাঠ পেরিয়ে ফুলকি নদীর ঢেউ
ভাসাও আমায় ভাসাও...
বন্ধ হবে নদীর ধারে আসাও
নদীর ধারে ঘরখানি অদ্ভুত,অথচ কত প্রহর গোনা বাকি,
বর্ষা রাতের অন্ধকারে একলাটি চুপচাপ,
ফুটছে আলো ফুটছে,
চেনা পাখির কচি ঠোঁটে চোখ জুড়ানো,বাদল দিয়ে ধোয়া আকাশ নীলচে আলোয়,বকুল শাখায় দুলছে।
অগ্নি দিয়ে পেতেছো যে ফাঁদ, ঝাঁ-ঝাঁ আগুন,বকুল শাখায়, বৃষ্টি বেঁধা রাত,থইথই জল নদী,পথচলতি মেঘ,ঝুপ-ঝুপ-ঝুপ বৃষ্টি,ভাসাও আমায় ভাসাও,আগুন দিয়ে শুদ্ধিকরণ,অগ্নিতে সুখ বাঁচাও।
হে গভীর হাওয়ার সঙ্গী ,
হে আমার ঠাকুর ঘরের ব্রাহ্ম সময় অগ্নি,ভাসাও
আমায় ভাসাও,বন্ধ হবে নদীর ধারে আসাও।