সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব ১৯
বিভাগ ঃ কবিতা
শিরোনামঃ হিসেব মেলেনা
মৃগাঙ্ক মোহন জানা
২৯/০৭/২০২০
এক পাগল মানুষ ভাঁঙা মন্দিরের
চাতালে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে হিসাব কষে চলেছেন।
হাতে একটা ছেঁড়া পাতা ডায়েরি আর কলম।
বিগ্রহ শূণ্য মন্দিরের দ…
সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব ১৯
বিভাগ ঃ কবিতা
শিরোনামঃ হিসেব মেলেনা
মৃগাঙ্ক মোহন জানা
২৯/০৭/২০২০
এক পাগল মানুষ ভাঁঙা মন্দিরের
চাতালে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে হিসাব কষে চলেছেন।
হাতে একটা ছেঁড়া পাতা ডায়েরি আর কলম।
বিগ্রহ শূণ্য মন্দিরের দিকে তাকিয়ে কাগজে কিছু লিখছেন,একটু হেসে মাথা নাড়তে নাড়তে কেটে দিয়ে অন্য পাতায় লিখছেন।
যেন হিসাব মেলাতে পারছেন না কিছুতেই।
ভরা শ্রাবণের আকাশ বৃষ্টি রিক্ত, সাদা।
উদাস দৃষ্টি, উড়ে যাচ্ছে আবার জল নিতে।
ফসলের দিকে তাকিয়ে হিসাব মিলছে না।
চল্লিশ বছরের দীর্ঘ লড়াই।
অকাল বৈধব্যতা বুকে মা ইলেক্ট্রি চুল্লীর লাইনে,
অর্ধোন্মিলিত নয়ন।
পরাজয়ের গ্লানি, হিসাব না মেলার অভিমান বুকে নিয়ে পরপারের খেয়ায়!
বৃদ্ধাশ্রমে পশ্চিমের জানালার ভাঙা পাল্লা ধরে দাঁড়িয়ে এক বাবা।
গোধূলির আলো তার আকাশের গায়ে লেখা হিসাবের খাতার পাতায়।
শূন্য দৃষ্টি!
হিসাব মেলেনি।
শহীদের প্রস্তর মূর্তির চোখে রক্তের ফোঁটা! জীবনের অপচয়! প্রস্তর বুকে হিসাব না মেলার বিদ্রোহী আগুন।
গণিতের প্রৌঢ় শিক্ষকের পাশ দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে এক প্রাক্তন ছাত্র চলে গেলো।
কিছুক্ষণ তাকিয়ে 'শ' এর মতো নিচু মাথা নাড়তে নাড়তে, সরল অঙ্ক মেলাতে পারলেন না সমাজের ব্লাক বোর্ডে। হিসাবে কোথায় ভুল হোলো আরও একবার খুঁজে দেখছেন।
আমাকে পাগল মানুষটার দিকে এভাবে মনোযোগ নিয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে পরিচিত কেউ কেউ মাথা নাড়তে নাড়তে চলে গেলো। বোধকরি হিসাব ঠিক মেলাতে পরলো না।
হঠাৎ ডায়েরিটা মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে
শূন্য বেদীর দিকে হো হো করে হেসে উঠলেন।
আমি কৌতুহলী হয়ে খাতাটা খুলে হিসাব দেখছি।
মুক্তোর মতো ঝকঝকে লেখা পাতার পর পাতা।
যতটা বৃষ্টি পড়ে, ফসল তার কতটুকু পায়?!
মায়ের একফোঁটা দুধের দাম কতো?!
বাবার চোখের জল কে দেখেছো?!
শহীদের রক্তঋণ কে শোধ করবে?!
?!?!?!
আর পড়তে পারছি না!
ঋণের বোঝা বড্ড ভারী হয়ে উঠছে মাথায়!
বিভাগ ঃ কবিতা
শিরোনামঃ হিসেব মেলেনা
মৃগাঙ্ক মোহন জানা
২৯/০৭/২০২০
এক পাগল মানুষ ভাঁঙা মন্দিরের
চাতালে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে হিসাব কষে চলেছেন।
হাতে একটা ছেঁড়া পাতা ডায়েরি আর কলম।
বিগ্রহ শূণ্য মন্দিরের দিকে তাকিয়ে কাগজে কিছু লিখছেন,একটু হেসে মাথা নাড়তে নাড়তে কেটে দিয়ে অন্য পাতায় লিখছেন।
যেন হিসাব মেলাতে পারছেন না কিছুতেই।
ভরা শ্রাবণের আকাশ বৃষ্টি রিক্ত, সাদা।
উদাস দৃষ্টি, উড়ে যাচ্ছে আবার জল নিতে।
ফসলের দিকে তাকিয়ে হিসাব মিলছে না।
চল্লিশ বছরের দীর্ঘ লড়াই।
অকাল বৈধব্যতা বুকে মা ইলেক্ট্রি চুল্লীর লাইনে,
অর্ধোন্মিলিত নয়ন।
পরাজয়ের গ্লানি, হিসাব না মেলার অভিমান বুকে নিয়ে পরপারের খেয়ায়!
বৃদ্ধাশ্রমে পশ্চিমের জানালার ভাঙা পাল্লা ধরে দাঁড়িয়ে এক বাবা।
গোধূলির আলো তার আকাশের গায়ে লেখা হিসাবের খাতার পাতায়।
শূন্য দৃষ্টি!
হিসাব মেলেনি।
শহীদের প্রস্তর মূর্তির চোখে রক্তের ফোঁটা! জীবনের অপচয়! প্রস্তর বুকে হিসাব না মেলার বিদ্রোহী আগুন।
গণিতের প্রৌঢ় শিক্ষকের পাশ দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে এক প্রাক্তন ছাত্র চলে গেলো।
কিছুক্ষণ তাকিয়ে 'শ' এর মতো নিচু মাথা নাড়তে নাড়তে, সরল অঙ্ক মেলাতে পারলেন না সমাজের ব্লাক বোর্ডে। হিসাবে কোথায় ভুল হোলো আরও একবার খুঁজে দেখছেন।
আমাকে পাগল মানুষটার দিকে এভাবে মনোযোগ নিয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে পরিচিত কেউ কেউ মাথা নাড়তে নাড়তে চলে গেলো। বোধকরি হিসাব ঠিক মেলাতে পরলো না।
হঠাৎ ডায়েরিটা মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে
শূন্য বেদীর দিকে হো হো করে হেসে উঠলেন।
আমি কৌতুহলী হয়ে খাতাটা খুলে হিসাব দেখছি।
মুক্তোর মতো ঝকঝকে লেখা পাতার পর পাতা।
যতটা বৃষ্টি পড়ে, ফসল তার কতটুকু পায়?!
মায়ের একফোঁটা দুধের দাম কতো?!
বাবার চোখের জল কে দেখেছো?!
শহীদের রক্তঋণ কে শোধ করবে?!
?!?!?!
আর পড়তে পারছি না!
ঋণের বোঝা বড্ড ভারী হয়ে উঠছে মাথায়!