"ভাঙ্গা স্বপ্ন"
সুজয় জশ--------------------
চঞ্চল কৃষ্ণচূড়া গাছটা,তার কচি পাতার প্রতিটা ভাঁজে,মেলে ধরেছে অনন্ত যৌবন।তবু কয়েকটা আধ শুকনো ডালে,ভর করে বসেছে বার্ধক্য।হলুদ পাতাগুলো --------অস্পষ্ট কুয়াশা ভরা চোখে ঝড়ে পড়ছে,হ…
"ভাঙ্গা স্বপ্ন"
সুজয় জশ
--------------------
চঞ্চল কৃষ্ণচূড়া গাছটা,
তার কচি পাতার প্রতিটা ভাঁজে,
মেলে ধরেছে অনন্ত যৌবন।
তবু কয়েকটা আধ শুকনো ডালে,
ভর করে বসেছে বার্ধক্য।
হলুদ পাতাগুলো --------
অস্পষ্ট কুয়াশা ভরা চোখে ঝড়ে পড়ছে,
হাওয়ার তালে তালে।
আর সবুজ পাতাগুলো ,
গার্হস্থ্য জীবনের প্রতি একনিষ্ঠ।
ঋতুতে ঋতুতে --------
তার দেহের প্রতিটা অলঙ্কার,
দু চোখ মেলে দেখতাম।
গ্রীষ্মের কঠোরতা থেকে বাঁচতে,
কত বুড়ো বক,
আশ্রয় নিত তার ডালে।
অকস্মাৎ একদিন সারা গাছ জুড়ে,
শুরু হলো ঝাকুনি।
মোটা গুড়ির গা বেয়ে,
চুঁইয়ে চুঁইয়ে নামতে লাগলো রক্ত।
তবু বিরামহীন ভাবে, তার কান্ডকে,
মিহি করে কাটা চলছে করাত দিয়ে।
একদিন আগেও যে,
সুদূর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছে -------
আজ দেখলাম, সে মুখ গুজে মাটিতে পড়ল।
তারপর একটা একটা করে অঙ্গ,
সে হারিয়ে ফেললো।
অবশেষে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো তার ইচ্ছেগুলো।
সে হারিয়ে গেলো।
তবু তার স্মৃতি হয়ে,
কিছু কচি, কিছু সবুজ আর
বার্ধক্যের দরজায় দাড়ানো,
কিছু হলুদ পাতা,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়ে গেলো,
তারই কবরের পাশে।
বিকেলের কাসাগলা বিসন্ন রোদে,
ফিকে হয়ে আসা অন্ধকারে,
মুক্ত আকাশে চোখ মেলে দেখি --------
সেই বুড়ো বক গুলো,
আজও ভুল করে চলে আসে,
সুদূর অতীতে মিশে যাওয়া,
সেই কৃষ্ণচূড়ার কবরে।
স্মৃতির ভুলে, তারাও ভুলে যায় -------
আজ সে সকলের থেকে অনেক দূরে,
একেবারে একা!
--------------------- xx---------------