দুটি পাতা একটি কুঁড়ি মালা সেন দে ২৮।৮।২০২০
শহরের ঘিঞ্জি ছাড়িয়ে মন চাইছিল একটু অবসর , ভালোলাগার ভীড়ে ডাক দিলো শৈলশিখর । হিমশীতল ছোঁয়া পেতে পৌঁছে গেলাম স্বর্গের নন্দন কাননে , স্ফটিকের মত স্বচ্ছ মেঘ ঘুরে বেড়ায় আকাশের নীলে । যতদূর …
দুটি পাতা একটি কুঁড়ি
মালা সেন দে
২৮।৮।২০২০
শহরের ঘিঞ্জি ছাড়িয়ে মন চাইছিল একটু অবসর ,
ভালোলাগার ভীড়ে ডাক দিলো শৈলশিখর ।
হিমশীতল ছোঁয়া পেতে পৌঁছে গেলাম স্বর্গের নন্দন কাননে ,
স্ফটিকের মত স্বচ্ছ মেঘ ঘুরে বেড়ায় আকাশের নীলে ।
যতদূর চোখ যায় পাহাড়ের ঢালে চা গাছের সারি ,
কাঞ্চনজন্ঘার সূর্যোদয়ের টানে ছুটে গেছি বারবার ।
পাহাড়ী ঝরনার সুর মূর্ছনায় ভেসে গেছি , অপরূপ রূপ চাক্ষুষ করব বলে ,
আঁকা বাঁকা পাহাড়ী ঢাল পথে হেঁটে খুঁজেছি দুটি পাতার একটি কুঁড়ির সুখের ঘর ।
বিশ্বাস আমাকে নাড়িয়ে দেয় , কত সহস্র বছরের জ্বালাময়ী আগুন ,
পুড়ে ছাই করে দেয় সরল সোজা জীবনের সংজ্ঞা ! বোঝা পিঠে ঝড় ঝঞ্ঝায় দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়ের বুকে ।
সবুজ ওদের নেশা , দুটি পাতা একটি কুঁড়ি সংখ্যাতত্বে জীবন জড়িয়ে নিয়েছে ,
তিল তিল করে ফুটেছে কুঁড়ি আবার মূহুর্তেই হারিয়েছে পাহাড়ের বুকে ।
পাহাড়ের বুকে চেরী ব্লসমের নিবিড় ছোঁয়ায় মাতাল সন্ধ্যা ,
তারই তলায় অসহ্য যন্ত্রণায় কান্নার বিলাপ পৌঁছায় না দিনশেষে সভ্যতার ইমারতে।
তবুও ওরা আছে , ওরা অতীত ওরা বর্তমান ,
পাহাড়ের ফাঁকে ভোরের সূর্য ওদের ডাকে এবার যেতে হবে ।
অদম্য ইচ্ছাকে নিয়ে শান্তি খোঁজে বড় বড় গাছের ছায়ায় ,
দুটি পাতা একটি কুঁড়িদের সাথে ভাগ করে ছায়া ।
দেখলাম গোধূলির আলোয় ক্লান্তি আর অবসাদ নিয়ে ধাপে ধাপে ফিরে আসা ,
জানিনা কত দূর যেতে হবে ওদের , পথের বাঁকে দৃষ্টি পারে না যেতে যেখানে
পাখিরাও ফিরছিলো , হয়ত গন্তব্য সীমাহীন নীল আকাশ আর নিশ্তব্ধ প্রকৃতি ॥