সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব-20----------------------------------বিষয়-বন্ধুত্বের অবমাননা--------------------------------------বাজে গল্প--------------নীলাঞ্জনা-------------
গল্পটা খুব পুরনো আরবাতিল বস্তা ঝাড়া,ওই যে রাধা ভাণ্ডার, প্র…
সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব-20
----------------------------------
বিষয়-বন্ধুত্বের অবমাননা
--------------------------------------
বাজে গল্প
--------------
নীলাঞ্জনা
-------------
গল্পটা খুব পুরনো আর
বাতিল বস্তা ঝাড়া,
ওই যে রাধা ভাণ্ডার,
প্রোঃ কানাই কুমার ধাড়া
ছোট্ট করে লেখা
সাইনবোর্ডের সেই তলায়,
তারই গল্প এটা, শুধু
তফাৎ গল্প বলায়।
কানাই হল নন্দমুদীর
একমাত্র ছেলে,
লেখাপড়ায় মাটো
এক্কেবারে এলেবেলে,
মামুলি তার স্বাস্থ্য
বুদ্ধি, নেইকো তাতে সন্দ,
হঠাৎ এল পয়ার ছেড়ে
মন্দাক্রান্তা ছন্দ
তার জীবনে, এ কেমন
রোগ ধরল ভালো,
চৌধুরীদের ছোট মেয়ে
রাধার তখন ষোল।
রথের মেলায় নাগরদোলায়
দেখল তাকে কানাই,
বয়েস তখন বছর কুড়ি,
বাজল মনে সানাই।
রাধাও তাকে দেখেছিল
হয়ত আড়ে আড়ে,
অমন মিষ্টি মুখের ছেলে,
না দেখে কেউ পারে?
তারপরে যা হবার হল,
বক্ষ দুরুদুরু,
কানাই রাধার প্রেমকাহিনীর
সেই তো সবে শুরু।
জানতে পেরে রাধার বাবার
মাথায় বজ্রাঘাত,
চৌধুরীদের চাঁদের দিকে
মুদীর ব্যাটার হাত!
নরম গরম করে বোঝায়
বাড়ির সকল লোকে,
রাজপুত্র পাত্র আছে,
দিচ্ছি বিয়ে তোকে
এই ফাগুনেই, একটুখানি ভাব,
কোথায় মোদের মর্যাদা
আর কোথায় গরুর জাব।
ওই ছোঁড়াকে করলে বিয়ে
কপালে শনি নাচে,
রাধা তখন কানাই বিনা
মরতে রাজী আছে।
অগত্যা এক সন্ধেবেলা চৌধুরীমশাই
খুব গোপনে এলেন যেথা
নন্দমুদীর ঠাঁই,
বলেন করজোড়ে তিনি,
শোন বাবা কানাই,
তোমার বড় মন, তোমাকে
একটি আর্জি জানাই,
বাক্স ভরে দিচ্ছি না হয়
টাকা গাদা গাদা,
একটি মাত্র শর্ত,
তোমায় ভুলতে হবে রাধা।
কথা তেমন আর বেশি নেই,
আছে খুবই অল্প,
যেমন ভেবেছিলে তেমন
শেষ হয়নি গল্প,
রাধার বিয়ে হয়ে গেছে,
এখন সে ভিনদেশী,
ভালবাসার থেকে টাকার
দাম একটু বেশি,
রাধার বাবার টাকায় নতুন
দোকান দিল কানাই,
নাম রেখেছে রাধা ভাণ্ডার।
এবার তবে যাই।