কবিতা'সাতমহলা’সুদীপ রায়২১.০৯.২০২০
............
বহুদিনের শখ আমার ... পাহাড়তলিতে সাতমহলা একটা প্রাসাদ বানাব, তার পেছনের দিকে বাগান পেরোলেই থাকবেছোট্ট একটা নদী।নদীর ওপাশে ত্থাকবে একটা নীল পাহাড়।পাগদন্ডী পথ উঠে যাবে সেই পাহাড়ের গা …
কবিতা
'সাতমহলা’
সুদীপ রায়
২১.০৯.২০২০
............
বহুদিনের শখ আমার ...
পাহাড়তলিতে সাতমহলা একটা প্রাসাদ বানাব,
তার পেছনের দিকে বাগান পেরোলেই থাকবে
ছোট্ট একটা নদী।
নদীর ওপাশে ত্থাকবে একটা নীল পাহাড়।
পাগদন্ডী পথ উঠে যাবে সেই পাহাড়ের গা বেয়ে,
দুধারেতে ছায়া ঘেরা ঝুপু ঝুপু পাইনের সার।
প্রতিটি পাহাড়ের নিজস্ব একটা গন্ধ থাকে।
আমার নীল পাহাড়েরও থাকবে।
তার সে গন্ধে হবে হাওয়ারা মাতাল,
নিচে সবুজ ঘাসের মাঠে মেঘেদের মত
চরে বেড়াবে শাদা ভেড়াদের পাল।
সেই প্রাসাদে আমি থাকব না মোটেই।
আমি তো শহুরে মানুষ,
হতে ধরে রেখে কল্পনার ফানুস,
যেন এক কুশ্রী বাদুর ...
দমফাটা ঘরে চিঁড়েচ্যাপটা হয়ে থাকাটাই দস্তুর।
যাক গে সেসব কথা ...
সাতমহলা সেই প্রাসাদটার ঘরে ঘরে
জমা থাকবে শুধু কবিতারা,
আমার প্রিয় কবিতারা।
সুশীতল ধারা ...
রবীন্দ্রনাথ, সুনীল, শক্তি, নীরেন, জীবনানন্দ
মন আত্মহারা ।
আমার যখন খুউব মন খারাপ করবে
সেরকমই কোনো একটা বাদলা দিনে
বুকটা যখন ভারী হয়ে ব্যাথায় চিনচিনে,
অথবা জোছনা মাখা নিঝুম একটা রাতে,
যখন একাই কাঁদছি আমি, কেউ নেই সাথে,
পাগলের প্রায় ...
একছুটে চলে যাব সেই সাতমহলায়।
বাইরে দমকা হাওয়া ঝড়ের সোঁ সোঁ
একটি মদিরা পাত্র হাতে নিয়ে তখন
একেবারে একা কোথা গিয়ে বোসো ...
অথবা ঝিমধরা হিমপড়া মায়াবী সে রাত।
মনের ভেতরে যখন শুধু যন্ত্রণার প্রপাত,
আমি সেই প্রাসাদের যে কোনো একটা ঘরে ঢুকে
আনমনে ...
হাতে তুলে নেব দু একটা জীবনানন্দ অথবা সুনীল,
একা নির্জনে।
জানলার পাশে এসে দাঁড়াবে নীরা, বনলতা
তোমাকে ভীষণ ভাবে মিস করব সেদিন ....
জানো সুচরিতা!