#পাক্ষিক_অণুগল্পের_প্রতিযোগিতা-২-#বিষয়_উন্মুক্ত#একটু_ভালো_থাকার_জন্য#ঋতুপর্ণা_পতি_কর#শব্দসংখ্যা_200#২৬_০৮_২০২০
রাজন্যা শিয়ালদহ স্টেশনে রজতের জন্য অপেক্ষারতা। বারোবছর আগে ২৯শে জানুয়ারি ফেসবুকে ওদের আলাপ হয়েছিল।তখন রাজন্যা ৪২,…
#পাক্ষিক_অণুগল্পের_প্রতিযোগিতা-২-
#বিষয়_উন্মুক্ত
#একটু_ভালো_থাকার_জন্য
#ঋতুপর্ণা_পতি_কর
#শব্দসংখ্যা_200
#২৬_০৮_২০২০
রাজন্যা শিয়ালদহ স্টেশনে রজতের জন্য অপেক্ষারতা। বারোবছর আগে ২৯শে জানুয়ারি ফেসবুকে ওদের আলাপ হয়েছিল।তখন রাজন্যা ৪২, রজত ৩৮। দুই অসমবয়সী নারী-পুরুষের বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয় ফেসবুকে।আনুষ্ঠানিক কথা শুরু কথোপকথন ফোননম্বর বিনিময়ে নিবিড় হয় অল্প সময়েই। ওদের যখন আলাপ হয় রাজন্যার বাঁচার ইচ্ছেটাই চলে যাচ্ছিল অবসাদগ্ৰস্ত হয়ে। প্রয়োজন ছাড়া স্বামী বা দুই সন্তান কারুরই ওর জন্য সময় ছিল না। রজত ওর মধ্যের হারিয়ে যাওয়া রাজন্যাকে আবার নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছিল। অন্যদিকে ছেলে হওয়ার পরে রজতেরও স্ত্রীর সাথে বেড়ে গিয়েছিল দূরত্ব।কখন যে স্বামী-স্ত্রী থেকে ছেলের মা-বাবা হয়ে গেছিল টেরই পায়নি। বুঝতে পেরে রজত চেষ্টা করেছিল কিন্তু স্ত্রীর উদাসীনতায় ব্যর্থ হয়।রাজন্যার কেয়ারিং নেচার রজতকে আকৃষ্ট করতো।পরের বছর ২৯শে জানুয়ারি তখন রজত ভালোবাসার কথা বলেছিল রাজন্যা ফেরাতে পারেনি।ওরা দুজন শুধু একটু ভালো থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু পরিবারের কেউই যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে সর্বদা খেয়াল রেখেছে ।কর্তব্যে কোনো গাফিলতি করেনি ওরা। বারোটা বছর,১৮৮২কিমি দূরত্ব ভালোবাসায় কোনো প্রভাব ফেলেনি।ফোন আর ভিডিও কলিং ছিল একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। অবশেষে দুজনে সিদ্ধান্ত নেয় একবার দেখা করার। দিন স্থির হয় ২৯শে জানুয়ারি। শিয়ালদহে দেখা করে হারিয়ে যাবে সাতদিনের জন্য নাম না জানা কোনো পাহাড়ি গ্ৰামে। রজতের ডাকে ফিরে তাকায় রাজন্যা।রজত বলে "ছুটি শেষ ছোটা শুরু "মেসেজ দিয়ে শুরু হয়েছিল যে বন্ধুত্ব তা আজ পূর্ণতা পাক "ছোটা শেষ, ছুটি শুরু "দিয়ে।