তমলুকে ক্ষুদিরাম পার্কে পুতুল বসানোর বিরুদ্ধে এবং সামান্য বৃষ্টিতে জেলা হাসপাতাল জলমগ্ন হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছাত্র-যুব মহিলা।
তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে ক্ষুদিরাম পার্কে পুতুল বসানোর বিরুদ্ধে আজ বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র-যুব মহিলা সংগঠন…
তমলুকে ক্ষুদিরাম পার্কে পুতুল বসানোর বিরুদ্ধে এবং সামান্য বৃষ্টিতে জেলা হাসপাতাল জলমগ্ন হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছাত্র-যুব মহিলা।
তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে ক্ষুদিরাম পার্কে পুতুল বসানোর বিরুদ্ধে আজ বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র-যুব মহিলা সংগঠন। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান ঐতিহাসিক তমলুক শহর। বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর কর্মক্ষেত্র এই শহরের স্মৃতি। জেলাবাসী সগর্বে এঁদের স্মরণ করে। শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ও মাতঙ্গিনী হাজরা এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ক্ষুদিরাম স্মরণে তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়ে শহীদ ক্ষুদিরাম বসু'র পূর্ণাবয়ব মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। যার মূর্তি দেখে আজও সংগ্রামের প্রেরণা জোগায়।
সম্প্রতি জেলা শহরের সৌন্দর্যায়নে কাজ চলছে। হাসপাতাল মোড়ে ক্ষুদিরাম মূর্তির জন্য বড় গোলচক্রও করা হয়েছে।কিন্তু এই মূর্তির থেকেও বড় বড় পুতুল জাতীয় কিছু বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে,যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। যা এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর দৃঢ়তা ও বলিষ্ঠতাকে ম্লান করছে বলে, মনে করেন বিশিষ্ট জনেরা। এলাকার পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আজ ছাত্র-যুব মহিলারা বিক্ষোভ দেখাল তমলুক মহকুমা শাসকের কাছে।
ছাত্র সংগঠন এ আই ডি এস ও ,যুব সংগঠন এ আই ডি ওয়াই ও, মহিলা সংগঠন অল ইন্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কিশোর সংগঠনের পক্ষ থেকে সৌন্দার্যায়নের নামে হাসপাতাল মোড়ে ক্ষুদিরাম পার্কে পুতুল জাতীয় কিছু বসিয়ে ক্ষুদিরামের দৃঢ়তা ও বলিষ্ঠতাকে ম্লান না করা, কলকাতা হাইকোর্টের সামনে অবস্থিত শহীদ ক্ষুদিরাম বসু'র পূর্ণাবয়ব মূর্তির মতো হাসপাতাল মোড়ে নতুন মূর্তি বসানো, এই পার্কে ফুলের বাগান, মূর্তিতে আলো ও রেলিং এর ব্যবস্থা করা
এবং 'হাসপাতাল মোড়' নাম পরিবর্তন করে 'শহীদ ক্ষুদিরাম বসু'র নাম করার দাবী জানায়।
সাথে সাথে মানিকতলা মোড়ের মাতঙ্গিনী হাজরার পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা করা এবং মূর্তিতে আলোর ব্যবস্থা এবং মানিকতলা মোড়ের নাম 'শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরা'র নামে নামাঙ্কিত করার ও দাবী জানায় সংগঠন গুলি। পরে মহকুমা শাসক, জেলাশাসকের কাছে চার প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি প্রদান করে।সংগঠনগুলির তরফ থেকে প্রতিমা জানা, মঞ্জুশ্রী মাইতি, সুদর্শন মান্নার অভিযোগ- তমলুক শহর স্বাধীনতা আন্দোলনের গর্বের শহর। সেখানে ক্ষুদিরামের পার্কের মধ্যে পুতুল বসিয়ে অবমাননা মনে করি। অবিলম্বে এই পুতুল সরাতে হবে।
পাশাপাশি সামান্য বৃষ্টিতে তমলুক জেলা হাসপাতালে বারবার জল জমে গিয়ে রোগীদের যে হয়রানি এবং ডেঙ্গুর যে প্রকোপ বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধেও আজ জেলাশাসক এবং এসডিও-কে অভিযোগ জানানো হয়।