....." সম্পর্ক ".....♥.....চটকদারি গল্প.....।
~~~~~~~~~♦ত্রিদিব কুমার বর্মণ~~
কলিংবেলটা বার কয়েক বাজালাম.....।কড়া নাড়তেই মা এসে দরজা খুলে দিল।আমাকে আর ওকে দেখে প্রথমে চম্ কেউঠল। লক্ষ্য করলাম, মা যেন ক্রমশ: রাগে, ফুলে-ফে…
....." সম্পর্ক ".....♥.....চটকদারি গল্প.....।
~~~~~~~~~♦ত্রিদিব কুমার বর্মণ~~
কলিংবেলটা বার কয়েক বাজালাম.....।
কড়া নাড়তেই মা এসে দরজা খুলে দিল।
আমাকে আর ওকে দেখে প্রথমে চম্ কে
উঠল। লক্ষ্য করলাম, মা যেন ক্রমশ: রাগে, ফুলে-ফেঁপে উঠছে...।প্রেসারে বোধ
হ'য়.... ।
বুঝলাম, ওকে এ'ভাবে আনায় মা রেগে গেছে... । বললে, যাকে - তাকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে আনলেই হ'ল ! শিগ্ গিরি
বিদেয় কর, মানু.... ।
আমি বোঝাতে চাইলুম। মা বুঝতে চায় না। বেশ রাগ-রাগ চোখে চেয়ে বললে, শেষ কথা আমার, অবাধ্যতার সীমা রেখে চল...।হয়, ওকে.....নয়তো আমি...।
মা সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেল..... ।
আমি ওর দিকে তাকাই। নিথর পাথরের
মত। দু'ফোঁটা চোখের জল মনে হ'ল পড়ল আমার পায়ে, ও নীরবে কাঁদছে... ।
অপ্রস্তুত হলাম ওর কাছে। হেঁট হয়ে গেল
আমার মাথা..... ।
এক বুক বিচ্ছেদ নিয়ে ও দাঁড়িয়ে থাকে ।
ফের তাকালাম ওর দিকে, ঠিক সে ' সময়
বৌদি দোতলা থেকে নেমে এল...।
আমাদেরকে দেখেই ত' অবাক ! ভাবতেই
পারে নি আমরা দু'জন হটাত এ'ভাবে......
আঁচল সামলে আমার কাছে এসে হাসতে
হাসতে বললে, পছন্দের তারিফ করি
তোমার। সুন্দর, খুব সুন্দর হয়েছে..... ।
বৌদিকে আমি কোন কথাই গোপন করি না। কিন্তু এ'ব্যাপারে লজ্জা পেলাম... ।
বললাম বৌদিকে, বৌদি ক্ষমা চাইছি।
গোপন করেছি তোমাকে, যাক্, যা' হবার
হ'ল। এ'বার বাবা এবং মাকে রাজি করাও ।
ঠিক আছে বাপু , এ'বার ওপরে এস। দেখছি, কী করা যায়।আমার হাত ধরে টান দিতেই চোখে সরষে ফুল দেখলাম..।
বাবা আমাদের সামনে।দাঁড়িয়ে। দেখছে,
দেখলে। তারপর আমাকে বলল, লজ্জা নেই ? তোমার মাকে কাঁদিয়ে বাহাদুরি
দেখাচ্ছ ? আমরা বেঁচে থাকতে এ'কাজ
এ'বাড়িতে হবে না..... ।
আমার বাবা- মা সেকেলে। গোঁড়ামো,
শুচিবায়ুতা প্রগাঢ়। বাবার ভয়ে এই মুহূর্তে
প্রতিবাদ বা রাগ দেখাতে আমার বুক কাঁপে, যুক্তি তর্কে পরিনত হতে পারে... ।
ও আমার দিকে বোবার মত তাকিয়ে। চোখের জল পড়েই চলেছে। থামার কোন
লক্ষন নেই.... ।
বাবা আমার চুলের মুঠি আঁকড়ে হিড় --
হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে গেল ওপরের ঘরে। আমাকে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে শেকল আটকে চলে গেল..... ।
আমি জানলা দিয়ে অনুনয় - বিনয় করলাম। কাকুতি - মিনতিতে কোন কাজ
হ'ল না..... ।
বৌদি আমার অবস্থাটা ভালোমতো বুঝল। বাবাকে বোঝাতে চাইল...... ।
বললে, যা' হ'বার হয়ে গেছে বাবা, মেনে নিন। ঠাকুরপো'র যখন এত ইচ্ছে, পছন্দ,
....ওকে সুখে থাকতে দিন......।
বাবা বৌদিকে ভত্সর্না করল।.... তোমার
লাই পেয়ে আজ ও এত অধ:পতনে.......।
বৌদি আর কথা বাড়ালে না। বাবা গজ --
গজ করতে করতে নিজের ঘরে ঢুকে পড়ল। বৌদিও নিজের ঘরে ওকে আশ্রয়
দিলে অতি সন্তর্পণে, বাবা - মায়ের অগোচরে..... ।
বৌদির ঘর আমার ঘরের লাগোয়া। মাঝে শুধু একটা দরজা। সহসা খোলা হয় না। প্রয়োজনে বৌদিরাই খুলে থাকে।
আমার খোলার কোন ব্যবস্থা নেই।
কিছুদিন হ'ল দাদা বাড়ি নেই। ব্যবসার কাজে কানপুর গেছে। ফিরতে দেরী হবে ।
তাই, আপাতত বৌদি আর ও আজ রাতটা শুধু ঠাঁই পেয়েছে বৌদির সাথে ।
আমি এখন আর ওকে দেখতে পাচ্ছি না।
জানলার শিঁক ধরে দাঁড়িয়ে ভাবছি, সমস্ত
রাত অসহায়ের মত কেঁদে হয়ত' ভাসিয়ে
দেবে ও..... । নিজেকে বড় ছোট, হীন মনে হ'ল...... ।
দূরের আকাশটা যেন আবছা। ভাব - ভালবাসা যেন বড্ড ফ্যাকাসে। অথচ আমি নিরুপায়। ওর ত' কোন দোষ নেই, তবু কেউ বুঝল না....... ।
রাত গভীর হতেই বৌদি নির্জনতার সুযোগ নিয়ে দরজা খুলে দিলে..... ।
আমি কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি, খেয়ালই
নেই। দরজা খোলার টেরই পাই নি.... ।
আকস্মিক ঘুম ভেংগে গেল একসময়।
দেখলাম, আমার ঘরের দরজা খোলা।
বৌদি চৌকাঠের কাছে দাঁড়িয়ে। যাকে
বাড়িতে নিয়ে এসেছি, সে' দেখি আমার
গায়ের কাছে। আপন মনে আমার বুকের
কাছে মুখ রেখে কত রকম কারি কুরি করছে। আমি আল্ তো করে জড়িয়ে
ধরলাম। ওর সমস্ত গুচ্ছ গুচ্ছ লোমশের
ভেতর বিলি কাটতে লাগলাম। ওর চোখ - দু'টো পিট পিট করতে করতে বেশ কয়েকবার ডেকে উঠল.........
.....উ....উ..হুঁ.....আ......আঁ........।
বৌদির মুখে আজ রাতের মত শেষ কথা
শুধু শুনলাম , ----- ঠাকুর'পো ; সত্যি যদি
প্রেমিকা হ'ত তোমার, কী না করতে..... ।
বৌদি শুতে চ'লে গেল......।
আমি আর ও এ' ঘরে বাকী রাতটা......।।
~~~~~~~~~♠~~~~~~~~~~~~~