দেশমানুষ নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের একুশের ভোটে নামতে চলেছে মীম।আর এর প্রধান হলেন আসাদ উদ্দিন ওয়াই সি।নিখিল ভারত মজলিস এ ইতেহাদুল মুসলিমিনের প্রধান তিনি।হায়দ্রাবাদ থেকেই যার যাত্রা শুরু।তিনি চাইছেন সমগ্র ভারত জুড়েই তাঁর দল লড়াই এ ন…
![]() |
ছবি- সংগৃহীত |
মুসলমানদের জন্য কিছু ছিনিয়ে আনতে তিনি নাকি বদ্ধপরিকর ।তাই এই দলটিকে চাইছেন সারা ভারতে ছড়িয়ে দিতে।বিশ্বের মোট মুসলমান জনসাধারণের মধ্যে ভারতে বসবাস করেন দশ থেকে এগারো শতাংশের মতো।মিমির উদ্দেশ্যে সেই এগারো শতাংশ কেই নিজের ছাতার তলায় নিয়ে আসা।কিন্তু মুখে বলা আর কাজে করা তো এক নয়।তাই কঠিন এ লড়াই ।আর পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের নির্বাচনে তা যে একেবারেই অসম্ভব ।তবুও আসাদ উদ্দিন থেমে নেই।
ইতিমধ্যেই তিনি বিহারের নির্বাচন নেমে পড়েছেন।যদিও সমীক্ষা বলছে মীম কোন ভালো ফল করতে পারবে না।কারন মুসলমানদের ভোট সব দলই পায়।সেক্ষেত্রে নিজের পছন্দের দল ছেড়ে এই মীম কে অধিকাংশ মানুষই বর্জন করবেন।
শোনা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ও নাকি মীম আসছে।কারন এখানকার 30 শতাংশ ভোটার ই নাকি মুসলিম ।ফলে আসাদ উদ্দিনের লক্ষ্য এখন বাংলার ভোট।পাখির চোখ করেছেন তিনি বাংলার ভোটকেই।
পশ্চিমবঙ্গের তৃনমূলের মমতা সরকার নাকি মুসলিম জনগনকে বঞ্চিত করছেন প্রতি নিয়ত।তাই মমতার সরকার কে বেগ দিতে তিনি এখন আসরে।
এক সময় ভালো ক্রিকেট খেলতেন আসাদ উদ্দিন ।উর্দু আর ইংরেজিতে দারুন বক্তব্য রাখেন।তাঁর বক্তব্য শুনে অনেক মুসলমান ই মুগ্ধ হন একথা সত্য ।এ ছাড়া আইন ও পড়েছেন লন্ডনে ।তাঁর ভক্তরা তাঁকে নাকিব ই মিল্লাত বলেন।যার অর্থ হলো সম্প্রদায়ের জন্য ভবিষ্যতের বাহক।সেই বাহক এই বাংলার 30 শতাংশ ভোটের দিকে এখন ঝুঁকছেন ।
তবে তাঁকে নিয়ে এই বঙ্গে ও রয়েছে মুসলমানদের মধ্যে বিতর্ক ।অভিযোগ উঠছে এই আসাদ উদ্দিন আসলে বিজেপির হয়ে ব কলমে কাজ করছেন।মুসলমানদের ভোট ভাগ করতেই তাঁর আগমন।আর মুসলিম ভোট ভাগ হলে আদপে লাভ বিজেপি দলের।ইতিমধ্যেই অনেক মুসলমানরা জানান তিনি নাকি বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে এ সব করে চলেছেন রাজ্যে রাজ্যে ।আর এ কাজ তারা বরদাস্ত করবেন না।
পশ্চিমবঙ্গের ভোট মানচিত্র বলছে তিরিশ শতাংশ মুসলিম ভোটের ওপরেই নির্ভর করে বঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলি।সিপিআই এম, কংগ্রেস , তৃনমূল দলে এ ভোট আসে।এছাড়া কম হলেও কিছু ভোট যায় বিজেপির ঝুলিতে ও।কারন মুসলিম ভোট পান না এমন কোন সর্ব ভারতীয় দল নেই।আর সেই ভোটে আসাদ উদ্দিন ভাগ বসাতে পারবে না।
বর্তমানের শাসক দলের পক্ষে মুসলিম ভোটের যে সিংহভাগ যায় একথা সত্য ।আগে যেটি যেতো কংগ্রেস ও বামপন্থীদের দিকে।আর এর জন্য মমতা তোষনের রাজনিতী করেন বলেও বিতর্ক রয়েছে।
আসাদ উদ্দিন চাইছেন এই মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতে ।আর তা যদি সম্ভব হয় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এ রাজ্যের তৃনমূল দল।কারন এ রাজ্যের 14 টি লোকসভা অঞ্চল রয়েছে যেখানে মুসলিম ভোট বেশি।
তবে পশ্চিমবঙ্গে আরো অনেক ধর্মগুরু আছেন।যারা মীমের এই কাজকে সমর্থন করেন না।বিশেষ করে মুসলিম ভোট কে এভাবে ভাগ করে সাম্প্রদায়িক দল বিজেপিকে এগিয়ে দিতে।বিহারের ভোট নিয়ে ও সেই এক ই কথা।
বরং এদের অধিকাংশই চাইছেন বঙ্গে মমতার সরকার ঠিকই আছে।
তবুও মীম আসছে এ রাজ্যে।সমুদ্র থেকে পাহাড় ভাগ করতে চাইছেন মুসলিম ভোট।
তবে মীম যে এখানে সুবিধা করতে পারবেন না তা ইতিমধ্যেই বুঝে গেছেন আসাদ উদ্দিন ওয়াই সি।ভোটের ময়দান তো আর ক্রিকেটের স্টেডিয়াম নয়।যেমন খুশি বল করবেন।ছক্কা হাঁকাতে গেলে রাজনীতি টা বুঝতে হবে।